সংস্কার অনিবার্য, তবে সবাইকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে: শরীফ নুরুল আম্বিয়া

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৩৪
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া

শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি ছাত্র নেতা থেকে জাতীয় রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক থেকে আপাদমস্তক রাজনীতিক হয়ে উঠেছেন। দলের ভাঙা গড়া আর রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সাক্ষী। বর্তমানে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দল গঠনের অন্যতম সংগঠক। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জোট ছাড়েন। অন্য শরিক দলগুলোকেও আহ্বান জানান জোট ছাড়ার। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তুলে ধরেন দলের অবস্থান। তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

রাজনীতি ডটকম: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। কেউ কেউ সংস্কার দাবি করছেন আবার কেউ কেউ নির্বাচন চাইছেন। এই পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি। প্রাথমিকভাবে তারা ভালো পদক্ষেপই নিয়েছেন। দীর্ঘদিনের একটা স্বৈরশাসনের পরে স্বাভাবিকভাবে একটা নতুন শাসনে যেতে গেলে কিছু বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এইগুলো অস্বাভাবিক কিছু না। তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) যে সংস্কারের কথা বলেছে, ইন পারসেপশন পাবলিকের মাঝে রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এটা গ্রহণ করেছে। একটা সংস্কার হওয়া দরকার। তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচিত নেতা, নির্বাচিত সরকার দেশ শাসন করবে। তবে তার আগে যে সংস্কার হবে, সেখানে যেন জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয়। সংস্কারের জন্য যে রোড ম্যাপ, কীভাবে কোনটার পর কোনটা এবং কী কী সংস্কার করা হবে, কত দিনে হবে সেই বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে দেওয়া উচিত। তাহলেই এইটার ওপর আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে সংস্কারের ব্যাপারে যে মতগুলো সেটার পূর্ণাঙ্গতাও পাবে এবং এটা পরিপূর্ণ হবে।

আবার, যে সংস্কারগুলো হবে আমরা আশা করি সেগুলোও সাংবিধানিকভাবে রেটিফাই হবে। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের ফলাফলের মধ্য দিয়ে সেইটা রেটিফিকেশন হবে। আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হবো। আমি মনে করি এই ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের গণতন্ত্র, একটা সুষ্ঠু সমাজ, একটা বৈষম্যহীন সমাজের সুযোগ এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। সবারই উচিত এই সরকারকে সহযোগিতা করা এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে আরও বেশি সজাগ এবং সচেতন থাকা।

রাজনীতি ডটকম: সংস্কার নিয়ে আপনাদের দলের কোনো প্রস্তাব আছে কী না?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: আমরা এখনো এইটা তৈরি করিনি। আমাদের জাতীয় কমিটির সভা আছে সেখানে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করবো। আমাদের দলের কতগুলো দাবি-দাওয়া আছে। নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের দাবি হচ্ছে- সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। একটা নিরপেক্ষ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বেই সেই নির্বাচন হওয়া উচিত। যতক্ষণ পর্যন্ত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত একটা ব্যবস্থা। আর দ্বিকক্ষ হয়ে গেলে নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আর প্রয়োজন নাও হতে পারে। শুরু করার জন্য বা পরবর্তী নির্বাচনের জন্য আমার মনে হয় কেয়ারটেকার ক্যান নট বি বেস্ট চয়েজ বা অড চয়েজ। কারণ দ্বিকক্ষ পরের নির্বাচনে হতে পারে। যদিও ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কাল ছাড়া অধিকাংশ সময়ই আমরা হয় সামরিক শাসন অথবা সিভিল ডিক্টেটোরিয়াল শাসনের মধ্যেই ছিলাম। সেখান থেকে আমার মনে হয় একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে যেতে আমাদের নাগরিক সচেতনতা দরকার। কারণ একটা পার্টি যখন ডিক্টেটরশিপের দিকে চলে যায় তখন সিভিল সোসাইটি থেকে শুরু করে সবই তার পেছনে পেছনে দৌড়ায়। যতটা রেসপন্স বা যতটা স্বাধীনভাবে দাঁড়ানো উচিত- সব সময় সেটা হয় না। যার কারণে আমাদের অনেক খেসারত দিতে হয়। সার্বিকভাবে আমি মনে করি, শুধু জিডিপি বাড়ানোর বিষয় না, মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানো, বাস্তব বৈষম্যটা কমানো এবং মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যাপার আরও একটু সহজ করে দেয়া সেটাও সরকারের দায়িত্ব। আমার মনে হয়, এতে ভবিষ্যতের রাজনীতিতে কোন সরকার কতটা জনকল্যাণমুখী হলো সেই সব বিষয়গুলো চলে আসবে। সেটা আসলে, যারাই ক্ষমতায় থাকুক তাদের জবাবদিহিতা হবে। শেষ পর্যন্ত পুরো রাজনীতিটাই জনকল্যাণের দিকে অগ্রসর হবে।

রাজনীতি ডটকম: আপনি তো ১৪ দলের উদ্যোগক্তাদের একজন। পরবর্তীতে ১৪ দলীয় জোট ছেড়ে দিলেন। জোট যে উদ্দেশ্যে গঠন হয়েছিলো তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলীয় শাসনের সময় জেএমবি এবং কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় সশস্ত্র হামলা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি করছিলো। তার প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করেছিলাম, এখানে মুক্তিযুদ্ধের ধারা এবং অসাম্প্রদায়িক ধারাটা ক্ষুন্ন হয়ে যাচ্ছে, বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বে একটা আধাসামরিক সরকার আসে। তারা কতগুলো কাজ করার পর ২০০৮ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি মনে করি সেই নির্বাচন তুলনামূলক ফেয়ার হয়েছিল। ও্ই নির্বাচনে মহাজোট জয় লাভ করে। তার পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এইটা একটা দলীয়, পারিবারিক এবং শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তির একনায়কত্বমূলক সরকারে পরিণত হলো। ২০১৪ সালে নির্বাচন ছাড়াই ১৫৩টি আসনে প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় পুনর্নির্বাচনের যৌক্তিত দাবি থাকার পরও তা উপেক্ষিত হয়েছে।

আবার, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক সরকার, একটা ন্যায্য শাসন, শাসনের মধ্যে যে একটা ন্যায্যতা আছে, একটা গণতান্ত্রিকতা আছে, জবাবদিহিতা আছে সেগুলার উপর আমাদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে, যে চিন্তাটা ছিলো ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর সে চিন্তার অবসান হয়েছে। কেননা রাতের বেলায় ভোট হয়েছে এবং মানুষের ভোটের অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের পর আমরা আমাদের ক্ষোভের কথা বলেছি, সরকার যে ভুল পথে চলেছে সেই কথা বলেছি। সরকার কিন্তু তখন আমাদের কথা শোনেনি। সরকারের সহযোগী যারা ১৪ দলের সঙ্গে ছিলো ইনু-মেননসহ তারাও আমাদের কথা শোনেননি। তখন আমরা মনে করেছি, এদেরকে সঙ্গ দেয়ার চেয়ে একা থাকা ভালো। জনগণের পক্ষে যা ন্যায্য সেই কথাগুলো বলে যাওয়া ভালো। ফলে আমরা ১৪ দল ত্যাগ করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছি, দল করেছি এবং আন্দোলন করেছি। এখনকার যে আন্দোলন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, সেই আন্দোলনকে আমরা নৈতিকভাবে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সমর্থন করেছি।

রাজনীতি ডটকম: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে দল গোছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিপরীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ফিরে আসা বা তার শীর্ষ নেতৃত্ব পুনর্গঠন হওয়ার বিষয়ে সম্ভাবনা কী দেখছেন?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম. সাখাওয়াত হোসেন উনার ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে এমনটা বলেছেন বলে আমার ধারণা। এইটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনার অংশ বলে আমার মনে হয়নি। আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হবে কী হবে না, সেটা আমাদের ব্যাপার না। আমরা মনে করি যে দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনে যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, খুন হয়েছে, বিশেষ করে সর্বশেষ এই গণঅভ্যুত্থানের সময় অত্যন্ত নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং দীর্ঘদিন অপশাসনের মধ্যে যে লুটপাট হয়েছে তার উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। বিচারের ক্ষেত্রে কারো প্রতি কোনো বিশেষ অনুরাগ বা দয়া-দাক্ষিণ্য দেখানোর কোনো দরকার নেই। এই বিচার-আচার করাটাই হলো বড় জিনিস এবং ভবিষ্যতে নির্বাচন ও রাজনীতি অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত।

রাজনীতি ডটকম: অন্তর্বর্তকালীন সরকার গঠন হওয়ার পরেই বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন এবং পরবর্তীতে দলীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। অন্তর্বর্তকালীন সরকার নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং সংস্কারের পরে নির্বাচনের দিকে যাবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা বা মেয়াদ আপনাদের ভাবনায় আছে কী না?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: যে কোনো রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচন করে অভ্যস্ত তারা চাইবে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে এই ধরণের আবেগজনিত চাহিদা থাকতে পারে, প্রয়োজনও থাকতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় তাদের এই রকম চিন্তার চেয়ে দেশের মানুষের মধ্যে এবং যারা আন্দোলন করে জয় লাভ করেছে তাদের মধ্যে সংস্কারের গুরুত্ব অনেক বেশি। শেষ পর্যন্ত সংস্কারের যে প্রয়োজন এবং চাহিদা রয়েছে সেটা পূরণ করার সামাজিক যে চাপটা আছে তার সাথে সবাই নিজেদেরকে সমন্বয় করে নেবে।

রাজনীতি ডটকম: সংস্কারমূলক কাজ করা এবং সেই সংস্কারকে স্থায়ী রূপ দেয়ার মতো অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের সেই আইনগত ভিত্তি আছে কী না?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: একটা সরকার যখন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে উচ্ছেদ হয়, একটা অভ্যুত্থান যখন জয় লাভ করে, তখন অভ্যুত্থানের শক্তি, ইচ্ছা এবং লক্ষ্যটাই বৈধতা দান করে। পরবর্তীতে সেটা সাংবিধানিকভাবে অনুমোদিত হয়। পারবে কী, পারবে না এই প্রশ্ন যদি আসে তাহলে বলতে হয় তারা তো শেখ হাসিনার সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করেছে, বুকে গুলি নিয়ে তারা এক্ষেত্রেও সফল হবে বলে আমি মনে করি।

রাজনীতি ডটকম: কোনো একটা আন্তর্জাতিক শক্তির চাপে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের অনেকেই বলাবলি করছেন। ওই আন্তর্জাতিক শক্তির সমর্থনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধেও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি রয়েছে। এইটা আসলে বাংলাদেশকে কোনো চাপের মুখে ফেলতে পারে কী না?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: যে কোনো সরকারই যে কোনোভাবেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি, সংগঠনের সাহায্য-সহযোগিতা নেওয়া- এইটা একটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ। কাজেই এইটা আমাদের দেশ পুনর্গঠনে, অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সহায়ক হয়। সকল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভেতরেই আন্তর্জাতিক শক্তি তাদের স্বার্থ বিবেচনায় এই সমস্ত পরিবর্তনের সঙ্গে সমন্বয় করেই অগ্রসর হয়। কাজেই আমি মনে করি না এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনার দরকার আছে।

রাজনীতি ডটকম: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার কাছে আপনাদের কোনো আহ্বান বা চাহিদা?

শরীফ নুরুল আম্বিয়া: অভ্যুত্থানের শক্তির কাছে আমি এইটাই আহ্বান করবো যে, তারা যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থানটা করেছে, সেই ঘোষিত নীতিতে তারা অটল থাকুক। তাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাক। তাহলে অভ্যুত্থানের যে নীতি ও আদর্শ সেইটা সামনের দিকে অগ্রসর হবে এবং দেশের মানুষই সেখানে জয় লাভ করবে।

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

স্লোগানের স্বরূপ: নান্দনিকতা, সহিংসতা ও অশ্লীলতা

স্লোগান বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিছ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে স্লোগানের ব্যবহার ছিল। “ব্রিটিশ হটাও, দেশ বাঁচাও”; “বিদেশি পণ্য বর্জন করো, দেশি পণ্য ব্যবহার করো”; “তুমি আমি স্বদেশি, স্বদেশি স্বদেশি” “আমরা লড়ব, আমরা জিতব” ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এরূপ অনেক স্লোগানই রাজনৈতিক সচেতন

৪ দিন আগে

প্রধান শিক্ষক : দশম গ্রেড প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি

২২ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । তাতে প্রধান শিক্ষকরা আগে কত টাকা বেতন ও ভাতা পেতেন, আর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে কত পাবেন—তা নিয়ে পরিপূর্ণ হিসাব রয়েছে ।

৪ দিন আগে

ভারত এবং গ্লোবাল সাউথ

ভিওজিএসএস হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্বেগ, স্বার্থ ও অগ্রাধিকারসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা, ধারণা ও সমাধান বিনিময় করা, এবং উন্নয়ন সমাধান বিনির্মাণে কণ্ঠ ও উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি অভিন্ন মঞ্চ প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা।

৫ দিন আগে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হোক

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই খাজা সলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা ইকবাল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করেন যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকবে। রা

৯ দিন আগে