
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশীদুজ্জামান মিল্লাত বলেছেন, “আমি তো মনে করি সরকার চাইলে মে মাসে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যেতে পারে।”
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রশীদুজ্জামান মিল্লাত এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জানতে চান, বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব। আসলে সেই অবস্থা আছে কিনা? বিএনপি তাড়াহুড়া করছে কিনা
জবাবে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জনগণই তাড়াহুড়া করছে। কারণ দেশ চালানোর ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন যদি প্রস্তুত থাকে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে দুই বা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। আমি তো মনে করি নির্বাচন মে মাসে হতে পারে।”
তাঁর মতে, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ যে অবস্থায় রেখে গেছে তার চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় রেখে গেলে নতুন সরকারের পক্ষে দেশ চালানো কঠিন হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব দেশ পরিচালনায় রাজনৈতিক সরকার আসা দরকার।
তিনি বলেন, “দুর্নীতির বিচার হলে আমরা খুশি হই। আমাদের দল যদি সরকার পরিচালনার ভার পায় তাহলে দুর্নীতি দমনের বড় ভূমিকা রাখবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এ বিষয়ক বক্তব্য প্রশংসিত হয়েছে। বিএনপি যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছে তাতেও দুর্নীতির বিচার ও শাস্তির প্রসঙ্গ রয়েছে।”
মিল্লাত বলেন, বিএনপি দুনীতি দমন ও সুশাসনের বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সংস্কার কমিশনগুলোও দুর্নীতি বন্ধে শাস্তি ও নানা সংস্কারের কথা বলেছে, এটা খুশির খবর। এর ধারাবাহিকতা আগামী সরকারের সময়েও থাকবে।এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ নানা সংস্কার কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলোর বেশিরভাগ বিএনপির ৩১ দফাতেও বলা আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে যাতে সত্যিকার বৈষম্য দূর হয়, সে বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুবই আন্তরিক।
“সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, সেটা সংসদে করতে হবে। এর বাস্তবায়ন তো পরবর্তী সংসদের ওপর নির্ভর করবে। এমনকি এই সরকারের বৈধতাও সংসদের কাছ থেকেই নিতে হবে। রেটিফিকেশন না পেলে এই সরকারও বৈধ বলে গণ্য হবে না,” যোগ করেন তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মিল্লাত।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলে স্থানীয় নির্বাচন করা উচিত। এখন তো দেশই চলছে না। উপদেষ্টাদের চিন্তা ভালো। কিন্তু দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছেন। একজন ব্যবসায়ী, একজন মধ্যবিত্তকে জিজ্ঞাসা করে দেখেন, তারা কেমন আছেন?
তাঁর মতে, এখনকার এই স্থবির অবস্থা কাটিয়ে উঠতে হলে রাজনৈতিক সরকার দরকার। সংসদ যে সরকার গঠন করবে তারাই স্থবিরতা কাটাতে পারবে।সেজন্য দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। আর রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার গঠন হলে বিষয়টি সুন্দর হবে।
দেশ কী চলছে?-এমন প্রশ্ন রেখে রশীদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, রাস্তার ট্রাফিক কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন? ওনাদের সদিচ্ছা আছে, কিন্তু কিভাবে দেশ চালাতে হয়, কোনটা আগে, কোনটা পরে-এসব নিয়ে তাদের ধারণা কম। পিএসসি গঠিত হয়েছে কদিন আগে, আবার ছয়জন সদস্যকে বাদ দেয়া হলো। আসলে এই সরকারের অনেকে বুঝে উঠতে পারছেন না। কেউ বলল, এই লোকটা ভালো। তাকেই নিয়োগ দিল। তারপর দেখল ওই প্রতিষ্ঠান ফাংশন করতে পারছে না। বিষয়টি আবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গেলো। আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া এবং সরকার পরিচালনায় সক্ষমতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়া দেশ চালানো সম্ভব না।
” আমার মনে হয়, ব্যবসায়ীরা অস্থির অবস্থায় আছে। তফসিল ঘোষণা করে দিলে ব্যবসায়ীরা চিন্তা করবে স্থিতিশীলতা আসবে। তখন তারা একটি পরিকল্পনা করতে পারবে। এখন কিন্তু বিদেশী বিনিয়োগও বন্ধ। সম্প্রতি কিছু টেন্ডারে বিদেশীরা অংশ নেয়নি। তাদের সেই আস্থা নেই। এখন বিনিয়োগ করলে পরে কী হবে-সেই ভয় আছে। রাজনৈতিক সরকার এসে কী করে, সেই ভয়ে অনেকে এগিয়ে আসছেন না। তবে অর্থনীতি যে অবস্থায় গেছে তাতে বিদেশী বিনিয়োগ আসা জরুরি।
বেসরকারি টেলিভশন বাংলাভিশন আয়োজিত এই টকশোতে অংশ নেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশীদুজ্জামান মিল্লাত বলেছেন, “আমি তো মনে করি সরকার চাইলে মে মাসে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যেতে পারে।”
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রশীদুজ্জামান মিল্লাত এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জানতে চান, বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব। আসলে সেই অবস্থা আছে কিনা? বিএনপি তাড়াহুড়া করছে কিনা
জবাবে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জনগণই তাড়াহুড়া করছে। কারণ দেশ চালানোর ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন যদি প্রস্তুত থাকে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে দুই বা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। আমি তো মনে করি নির্বাচন মে মাসে হতে পারে।”
তাঁর মতে, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ যে অবস্থায় রেখে গেছে তার চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় রেখে গেলে নতুন সরকারের পক্ষে দেশ চালানো কঠিন হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব দেশ পরিচালনায় রাজনৈতিক সরকার আসা দরকার।
তিনি বলেন, “দুর্নীতির বিচার হলে আমরা খুশি হই। আমাদের দল যদি সরকার পরিচালনার ভার পায় তাহলে দুর্নীতি দমনের বড় ভূমিকা রাখবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এ বিষয়ক বক্তব্য প্রশংসিত হয়েছে। বিএনপি যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছে তাতেও দুর্নীতির বিচার ও শাস্তির প্রসঙ্গ রয়েছে।”
মিল্লাত বলেন, বিএনপি দুনীতি দমন ও সুশাসনের বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সংস্কার কমিশনগুলোও দুর্নীতি বন্ধে শাস্তি ও নানা সংস্কারের কথা বলেছে, এটা খুশির খবর। এর ধারাবাহিকতা আগামী সরকারের সময়েও থাকবে।এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ নানা সংস্কার কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলোর বেশিরভাগ বিএনপির ৩১ দফাতেও বলা আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে যাতে সত্যিকার বৈষম্য দূর হয়, সে বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুবই আন্তরিক।
“সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, সেটা সংসদে করতে হবে। এর বাস্তবায়ন তো পরবর্তী সংসদের ওপর নির্ভর করবে। এমনকি এই সরকারের বৈধতাও সংসদের কাছ থেকেই নিতে হবে। রেটিফিকেশন না পেলে এই সরকারও বৈধ বলে গণ্য হবে না,” যোগ করেন তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মিল্লাত।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলে স্থানীয় নির্বাচন করা উচিত। এখন তো দেশই চলছে না। উপদেষ্টাদের চিন্তা ভালো। কিন্তু দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছেন। একজন ব্যবসায়ী, একজন মধ্যবিত্তকে জিজ্ঞাসা করে দেখেন, তারা কেমন আছেন?
তাঁর মতে, এখনকার এই স্থবির অবস্থা কাটিয়ে উঠতে হলে রাজনৈতিক সরকার দরকার। সংসদ যে সরকার গঠন করবে তারাই স্থবিরতা কাটাতে পারবে।সেজন্য দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। আর রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার গঠন হলে বিষয়টি সুন্দর হবে।
দেশ কী চলছে?-এমন প্রশ্ন রেখে রশীদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, রাস্তার ট্রাফিক কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন? ওনাদের সদিচ্ছা আছে, কিন্তু কিভাবে দেশ চালাতে হয়, কোনটা আগে, কোনটা পরে-এসব নিয়ে তাদের ধারণা কম। পিএসসি গঠিত হয়েছে কদিন আগে, আবার ছয়জন সদস্যকে বাদ দেয়া হলো। আসলে এই সরকারের অনেকে বুঝে উঠতে পারছেন না। কেউ বলল, এই লোকটা ভালো। তাকেই নিয়োগ দিল। তারপর দেখল ওই প্রতিষ্ঠান ফাংশন করতে পারছে না। বিষয়টি আবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গেলো। আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া এবং সরকার পরিচালনায় সক্ষমতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়া দেশ চালানো সম্ভব না।
” আমার মনে হয়, ব্যবসায়ীরা অস্থির অবস্থায় আছে। তফসিল ঘোষণা করে দিলে ব্যবসায়ীরা চিন্তা করবে স্থিতিশীলতা আসবে। তখন তারা একটি পরিকল্পনা করতে পারবে। এখন কিন্তু বিদেশী বিনিয়োগও বন্ধ। সম্প্রতি কিছু টেন্ডারে বিদেশীরা অংশ নেয়নি। তাদের সেই আস্থা নেই। এখন বিনিয়োগ করলে পরে কী হবে-সেই ভয় আছে। রাজনৈতিক সরকার এসে কী করে, সেই ভয়ে অনেকে এগিয়ে আসছেন না। তবে অর্থনীতি যে অবস্থায় গেছে তাতে বিদেশী বিনিয়োগ আসা জরুরি।
বেসরকারি টেলিভশন বাংলাভিশন আয়োজিত এই টকশোতে অংশ নেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান।

ব্যাংক খাতের কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্দশা কাটেনি। বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সরকারের ইচ্ছানুযায়ী পরিচালিত হয়েছে, যা ব্যাংক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে। এ খাতে সুশাসন ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা গেলে ব্যাংক খাত আরও ভালো করবে।
৬ দিন আগে
কর্ণফুলীর স্রোতধারার সঙ্গে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরের আছড়ে পড়া উত্তাল ঢেউ। সেই আনন্দের মাঝেই হঠাৎ যোগ দেয় একদল সশস্ত্র তিব্বতীয় গেরিলা। বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আর কর্ণফুলীর স্রোত যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। আনন্দে উদ্বেলিত জনতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তিব্বতীয়দের দিকে।
১৩ দিন আগে
তখন আমাদের চিহ্নিত শত্রু ছিল হানাদার বাহিনী। তাদের সঙ্গে আরও চিহ্নিত হয়েছিল তাদের এ দেশীয় ‘কোলাবোরেটর’ বা সহযোগীরা, যারা ছিল মূলত রাজাকার, আলবদর বা আল শামস বাহিনীর। এরাও চিহ্নিত ছিল। এদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ একাট্টা হয়ে সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রাম রক্তক্ষয়ী ছিল, বহু মানুষ অকাতরে শহিদ হয়েছে।
১৩ দিন আগে
রাজনৈতিক সহিংসতার চক্র যত বড় হয়, ততই সংকুচিত হয় নাগরিকদের নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভিন্নমতের পরিসর এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সামাজিক আস্থাও ক্ষয়ে যায়। আজ একজন হাদি আক্রান্ত,আগামীকাল কে বা কারা টার্গেট হবেন তা কেউ জানে না। সহিংসতা যখন ধীরে ধীরে রাজনৈতিক কৌশলে পরিণত হয়, ‘ব্যবহারযোগ্য হাতিয়ার’ হ
১৪ দিন আগে