অন্তর্বর্তীকালীন না, এই সরকার উপদেষ্টা সরকার

ফরহাদ মজহার

আমি জ্ঞানী ব্যক্তি মোটেও নই। আমি আপনাদের মতোই অতি সাধারণ একজন মানুষ। হয়তো পার্থক্য এটা হতে পারে, কোনো একটা বিষয় নিয়ে একটু ভাবার চেষ্টা করি এবং সমষ্টির জায়গা থেকে, সবার জায়গা থেকে ব্যাপারটা হাজির করার চেষ্টা করি।

আমি বিশ্বাস করি তর্ক-বিতর্ক, আলাপ-আলোচনা এবং একই সঙ্গে সমষ্টিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবার একটা প্রক্রিয়ায়। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবার প্রক্রিয়া, যাদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে বাস করব, একই দেশে বাস করব, একই রাষ্ট্রে বাস করব, তাদের সঙ্গে বহুরকম মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু তারপরও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে— কোন নীতি, কোন সার্বজনীন আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত রাখতে পারি।

এটা প্রথমত আমি যখন চিন্তা করি, মনে রাখি। আর যখন ‘রাজনীতি’ কথাটা আমরা ব্যবহার করি, আমরা এই বর্গটি খুব এলোমেলোভাবে ব্যবহার করি। সত্যিকার অর্থে একটি দেশকে গঠন করতে হলে আপনাকে কিছু প্রশ্ন, কিছু শব্দ, কিছু বর্গ, কিছু ধারণা— এগুলো খুব স্পষ্ট মাথার মধ্যে থাকতে হবে। নইলে দেশটি কিন্তু অগ্রসর হতে পারে না।

এই ব্যাপারটা সাধারণত মীমাংসা করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণি। পৃথিবীর সব দেশেই বুদ্ধিভিত্তিক শ্রেণি, বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশ যখন হয়, তখন অনেকগুলি ধ্যান-ধারণা, রাজনৈতিক বর্গ বলুন বা দার্শনিক বর্গ বলুন, এগুলো পরিষ্কার হয়। পরিষ্কার হলে এটা ধীরে ধীরে জনগণের চেতনার মধ্যে সঞ্চারিত হয় এবং জনগণ তখন আর ভুল করে না।

আমরা কী করি খেয়াল করেন। আমরা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার ও রাষ্ট্রের পার্থক্য বুঝাইতে পারছি না। আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সাংবাদিক ভাইদেরও বুঝাতে পারি না, আপনারা যখন কোনো একটা প্রশ্ন বিশেষভাবে তোলেন, যেভাবে প্রশ্নটা তোলেন, এটা কিন্তু রাজনীতির হয় ক্ষতি হবে অথবা ভালো হবে। আমি একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, গতকাল রাত্রেও একটা টেলিভিশনে আমি বলেছিলাম।

আপনি যখন বারবার এই সরকারকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ বলেন, বলেন না আপনারা সকলে? এই সরকার কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার? না। তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিন্তু একটা লিগ্যাল ধারণা আছে, তার একটা রাজনৈতিক মর্ম আছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে বলা হয়, যে সরকার একটা ব্যবস্থা চলে গিয়েছে, একটা ব্যবস্থা অন্তরিত হয়েছে এবং সেই ব্যবস্থা নতুন ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত সে আছে। পুরনো ব্যবস্থা শেষ, নতুন ব্যবস্থা জনগণ তৈরি করবে। কারা তৈরি করবে? জনগণ তৈরি করবে, কোনো জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন করবে না কিন্তু। জনগণ করবে। ফলে ওই যে আপনার একটা পুরনো ব্যবস্থার পতন ঘটেছে, চলে গেছে, এখন নতুন একটা ব্যবস্থা যখন আসবে, তখন এই পর্বটাকে বলে ইন্টারিম গভর্নমেন্ট। এটাকে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

কিন্তু এই সরকার তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না। আপনারা কেন বারবার এই শব্দটা ব্যবহার করেন? এই সরকার হচ্ছে উপদেষ্টা সরকার। এই সরকার শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়ে গঠিত একটি সরকার। কিন্তু আপনারা সাংবাদিকরা বারবারই জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন। এবং বিভ্রান্ত করার ফলেই আজ এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

একা ড. ইউনুসকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। আপনি এই জাতীয় সংসদ বা যা-ই বলেন, এটার তো কোনো আইনি (লিগ্যাল) বৈধতা নাই। এটা আমরা ঘরে বসে দশটা লোক নিয়ে আলোচনা করতেই পারি যে এটার কোনো লিগ্যাল বৈধতা নাই। এটা তো কোন গণপরিষদে বসে আলোচনা হচ্ছে না। এটা কোনো জাতীয় সংসদে বসে আলোচনা হচ্ছে না। এটা এরকম একটা সভার মতন।

আমরা যদি আজ দাবি করি, এখানে আমরা এই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এই সিদ্ধান্তকে আমাদের সাংবিধানিক বৈধতা দিতে হবে— এটা হয় নাকি রে ভাই? এসব তামাশা চলে নাকি? পৃথিবীর কোথাও কি এগুলো আছে?

সাংবিধানিক বৈধতা একমাত্র দিতে পারে, যদি জনগণ একটি গণপরিষদ নির্বাচন করে। সেই গণপরিষদে যদি সে কোনো বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন এটা সাংবিধানিক বৈধতা পায়। তাও অনেক সময় সাংবিধানিক বৈধতা পায় না, তখন গণভোট বা রেফারেন্ডামের প্রশ্ন আসে।

এখন আপনারা বারবার বলতেছেন গণভোট। গণভোট কে দেবে? এই সরকারের কি এখতিয়ার আছে গণভোট দেওয়ার? সে তো বলছে, আমি এই সংবিধান রক্ষা করব। কীসের গণভোট?

এই যে দেখছেন আপনারা শব্দ ব্যবহার করছেন, জনগণকে উত্তেজিত করছেন— কেন? আমাদের সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে আমাদের সাংবাদিক, তথাকথিত সুশীল ও বুদ্ধিজীবীরা সবাই লুটেরা, মাফিয়া শ্রেণির দালাল; তবে জেনেশুনে না কিন্তু! আপনাদের যদি কোটি টাকা দিয়ে করাইত, আমি খুশি হতাম এই ভেবে যে ঠিক আছে, টাকা তো পাইছে! কিন্তু আপনারা না জেনেই দালালি করতেছেন। না জেনে যে শব্দটা ব্যবহার করা দরকার নাই, সেই শব্দগুলো আপনারা হরহামেশা ব্যবহার করেন।

অথচ জনগণকে এডুকেট করা আপনাদের কাজ। এইটা বলা আপনাদের কাজ যে, এই সরকার একটা উপদেষ্টা সরকার, এর কাছ থেকে আমাদের কিছু বেশি পাওয়ার নাই। আমরা ৫ তারিখে গণঅভ্যুত্থান করেছি এবং ৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে আমাদেরই মধ্যে কেউ একটা অংশ একটা চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমাদের সঙ্গে। সেই বিশ্বাসঘাতকদের খুঁজে বের করতে হবে।

কারণ গণঅভ্যুত্থানের পরে যে কাজটা করা উচিত ছিল, সেটা হচ্ছে নতুন গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করা, অবিলম্বে। এটাকে বলা হয় কন্সটিটিউয়েন্টি পাওয়ার বা গাঠনিক ক্ষমতা। গাঠনিক ক্ষমতা মানে জনগণ অভ্যুত্থান করে, সরকারকে উৎখাত করে একটা ক্ষমতা দিয়েছে। ৫ তারিখে যারা আন্দোলনের শক্তি ছিল, তাদের কাছে একটা গাঠনিক ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণ সমর্পণ করেছে, যখন শেখ হাসিনা চলে গেছে।

তাহলে, যাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল, তারা কেন, কিসের যুক্তিতে, কাদের পরামর্শে এটা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিল?

গণঅভ্যুত্থানের চরিত্রটা কি ছিল? ছাত্র-জনতা-সৈনিক। কিন্তু আপনারা কি সংবাদমাধ্যমে একবারও সৈনিকদের নাম উচ্চারণ করেছেন? আপনারা করেন নাই। তাদের যে যোগ্য মর্যাদা পাওয়ার কথা, আমরা কিন্তু তাদের এটা দেই নাই। ছাত্র-জনতা এবং সৈনিকের মৈত্রীর ভিত্তিতে একটা গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে।

যারা এ গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল, তাদের কাছে জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ তুলে দিয়েছিল। গাঠনিক ক্ষমতাটা তাদের হাতে তখন তুলে দিয়েছে। তাহলে তাদের কারা সেনাবাহিনীর কাছে নিয়ে গেল? তাদের কারা নিয়ে গেল? গিয়ে এই পুরনো সংবিধান, মানে শেখ হাসিনার সংবিধান, যে ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণ আত্মাহুতি দিল, শাহাদাত বরণ করল, ঠিক সেই রাষ্ট্রটাই আবার রক্ষা করবার শপথের পথে নিয়ে গেল।

আপনারা তো ৮ তারিখেই (গত বছরের ৮ আগস্ট) পরাজিত হয়ে গেছেন। এটি কিন্তু আমি আজ নতুন বলছি না। বারবার বলা সত্ত্বেও প্রতিটি লোক হাসাহাসি করছে, এই ফরহাদ মাজহার সাহেব কী বলে!

বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন নতুন সরকার হবে, নতুন রাষ্ট্র নয় কিন্তু!

সেনাবাহিনী যখন অভ্যুত্থান করে, তখন সে কী করে? সে সংবিধান স্থগিত করে। সে বলে, ‘আমি এখন থেকে ফরমানের দ্বারা দেশ চালাব। আদেশের ভিত্তিতে দেশ চলবে। আবার যখন আমি সংবিধান জীবিত করব, তখন সংবিধানের মধ্যে দেশ চলবে।’ তাহলে আপনাদের অভিজ্ঞতা হয় না কেন? শেখেন না কেন অভিজ্ঞতা থেকে?

সামরিক বাহিনী যদি আদেশ দ্বারা, ফরমান দ্বারা দেশ চালাতে পারে, তাহলে জনগণ বুঝি আদেশের দ্বারা দেশটা চালাতে পারবে না? আমাকে বুঝায়া বলেন, কেন পারবে না? অবশ্যই পারবে। তারা নিঃসন্দেহে সংবিধান ছাড়াই দেশ চালাতে পারত, যদি সেই ৫ তারিখে (৫ আগস্ট) তারা বলত— ‘আজ থেকে জনগণ যাদের এই ক্ষমতায় এনেছে, যাদের নেতৃত্বে তারা এই গণঅভ্যুত্থানটা ঘটিয়েছে, তাদের আদেশে দেশ চলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে না পারি।’

তাহলে কারা এই প্রক্রিয়াটাকে নস্যাৎ করে দিলো? এখনো আপনারা বুঝতেছেন না, বাংলাদেশে একটা সেনাবাহিনী, একটা সেনা প্রতিষ্ঠান ভারত আমাদের গড়তে দেবে না। হাজার রকম প্রোপাগান্ডা, গুজব... ব্যক্তির বিরুদ্ধে আপনি আক্রমণ করছেন। হতেই পারে, ব্যক্তি আমি খুব খারাপ লোক হতে পারি, প্রতিষ্ঠান তো খারাপ হতে পারে না। তাহলে প্রতিষ্ঠানটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

আরও খেয়াল করেন, প্রতিটি পদক্ষেপ খেয়াল করেন, কত বড় বড় ভুল আমরা করি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, আপনারা গুম কমিশন করেছেন। আচ্ছা, এটা করার আগে, তাহলে বাংলাদেশের যেসব সেনা সদস্য এসব খারাপ কাজ করেছে, এসব খারাপ কাজ করবার প্রক্রিয়াটা কী ছিল? কেন তারা এই খারাপ কাজটা করল? একজন সৈনিকের সবচেয়ে বড় মর্যাদা হচ্ছে, সে যখন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে না। এটা তার প্রশিক্ষণ না।

দেখেন আপনারা র‍্যাব বানিয়েছেন। র‍্যাব বানিয়ে কী করেছেন? সেনাবাহিনী থেকে লোক এনেছেন। লোক এনে র‍্যাবে ঢুকিয়েছেন। কার অধীনে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এবং রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যদের দিয়ে। আপনারা চালিয়েছেন, পলিটিক্যাল পার্টিগুলো। আপনারা করেছেন এইসব। অপারেশন ক্লিনহার্ট ভুলে গেছি কি আমরা?

সেই সময় আমার লেখা পড়বেন। সেই সময় আমি লিখেছি, ‘বিএনপির ধ্বংসের কারণ হবে এই র‍্যাব গঠন।’ এত বড় গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল, আপনারা কি র‍্যাব বিলুপ্ত হওয়ার কথা বলেছেন কেউ? র‍্যাব বিলুপ্ত হবে না কেন?

এর বিপদের দিকটা আপনাদের বুঝিয়ে বলি, ঘটনাটা কী হয়েছে। কারণ আপনি যেই সেনাবাহিনীকে দিয়ে এই অপরাধের কাজটা আপনারা করিয়েছেন, তাকে আবার সেনাবাহিনীতে ফেরত নিয়ে গেছেন। তাকে আপনারা সেনাবাহিনীর ভেতরে ফেরত নিয়ে গেছেন। তো এটা আয়নাঘর হবে না তো হবেটা কী রে ভাই! এটা তো আপনারা করেছেন। আপনারা তো করতে দিয়েছেন। আপনারা তো র‍্যাব বানিয়েছেন।

এখন ঠিক আছে, আপনারা সেনাবাহিনী, এসএসএফ, ডিজিএফআইয়ের জেনারেলদের এনে বিচার করবেন, আমি তার পক্ষে। আপনারা আদালত বানিয়েছেন। কিন্তু এই আদালত কি প্রশ্নবিদ্ধ না? এটা কি আন্তর্জাতিক আদালত, না ডোমেস্টিক আদালত? শেখ হাসিনার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আদালত।

আমাদের কি সেনা আইন ছিল না? আমাদের কি সেনা আইন নাই? আমাদের কি মিলিটারি কোর্ট নাই? তাহলে সেই মিলিটারি কোর্ট ওয়াকার-উজ-জামান সাহেবকে কেন বলেন না— ‘আমরা আপনাকে এক মাস সময় দিলাম। যাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ আছে, তাদের বিচার আমরা দেখতে চাই।’

তার মানে আপনারা জেনে বা না জেনে আজ একটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন আদা জল খেয়ে। কেন? কারণ আপনারা লুটপাট করতে চান আগামী দিনে। তো এটা তো চলবে না।

আমাদের দরকার প্রতিষ্ঠান। আজ বাংলাদেশ অনেক বেশি অনিরাপদ। আপনি পররাষ্ট্র দপ্তরে যদি যান, বাংলাদেশে কোনো পররাষ্ট্র অবস্থান নাই। কোনো কিচ্ছু নাই।

ধরেন, শেখ হাসিনা আছে ভারতে। ভারত তার কূটনৈতিক কারণে, তার এমব্যারাসমেন্টের জন্য হাসিনাকে ফেরত দেবে না। কিন্তু আরও হাজার হাজার খুনি যে আছে ওখানে, ওদের ফেরত দেবেন না কেন? আপনি আনতে পারলেন না কেন? আমি ড. ইউনুসকে প্রশ্ন করি— আপনি কি গিয়েছিলেন? আমরা তো ফেরত দিয়েছি। আমরা তো সশরীরে ফেরত দিয়েছি। তো আপনি ওই খুনিগুলোকে আনতে পারছেন না কেন? ভারত কি বলছে যে আমি খুনিগুলোকে ফেরত দেবে না? তো বলেন তাহলে।

এই যে কথা কথায় ভারত বিরোধিতা বলেন, তো আমি বুঝে গেলাম যে আপনারা ভারতের সঙ্গেই কাজ করতেছেন। বাকিগুলো কী করল? এরা তো ক্রিমিনালস! বাংলাদেশ থেকে ডিজিএফআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সে জেনারেল পালায়া ভারতে থাকে কী করে? এখন বাংলাদেশের তো সিকিউরিটি বলে কিচ্ছু নাই; আর এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতেছেন।

আমি বিএনপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলাম। এখনো তাদের ভালোবাসি, পছন্দ করি। আমি চাই, পলিটিক্যাল একটা দল আকারে সে গড়ে উঠুক। বিএনপি তো কোনো লিগ্যাল দল না, বিএনপি তো পলিটিক্যাল দল। এই যে কথাটা বললাম ‘পলিটিক্যাল দল’, এটা কারা সংজ্ঞা দেবে? একটা রাজনৈতিক দল আদৌ রাজনৈতিক দল কি না, এটা তো জনগণ ঠিক করবে।

জনগণ কী করে ঠিক করে? ওই যখন গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আলোচনা যখন শুরু হয়, গণপরিষদে বসে তারা ঠিক করে— এই এই গুণ থাকলে, এই এই ক্রাইটেরিয়া থাকলে ইহাকে রাজনৈতিক দল বলে।

[সোমবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তার পুরো বক্তব্যটি ঈষৎ পরিমার্জিত আকারে প্রায় হুবহু তুলে ধরা হলো।]

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

‘যদি’, ‘কিন্তু’ আর ‘কেউ’-এর ফাঁদে কাঁদছে ক্ষমা!

নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, ভোটকে সামনে রেখে এটা জামায়াতের একটা চাল। কারণ ক্ষমা চাওয়ার দাবি তো দীর্ঘ দিনের। তাহলে মার্কিন মুল্লুকে গিয়ে কেন ক্ষমা চাইতে হলো। দেশের বাইরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে, বিষয়টি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচিত হচ্ছে।

১৭ দিন আগে

আইন করে বৈষম্য টিকিয়ে রাখার ধারাই অব্যাহত থাকবে?

দিন দিন দারিদ্র্য বাড়ছে। কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন কর্মসংস্থান নেই। এ পরিস্থিতিতে বেতন বাড়ার খবর মুদ্রাস্ফীতি আরেকবার বাড়িয়ে দেবে কি না, সেটা সময় বলে দেবে।

১৮ দিন আগে

প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো ছয় মানবাধিকার সংগঠনের চিঠিতে যা আছে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সাইডলাইনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি পাঠানো হয়, যার মধ‍্যে সরকারের জন্য অস্বস্তিকর কিছু বিষয় রয়েছে।

২১ দিন আগে

‘জুলাই সনদ প্রশ্নবিদ্ধ’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক এমন শব্দচয়নের বিরোধিতা করে তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ জুলাই জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে খুব শিগগিরই একটি আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা প্রকাশের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

২৩ দিন আগে