
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, চারুকলাকে এবার মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর না করলে প্রয়োজনে তারা অনশন করে মৃত্যুবরণ করবেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন।
তারা বলছেন, এপ্রিলের আগেই চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনই দিয়েছিল। কিন্তু তারাই তাদের কথা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে তারা অনশন শুরু করেছেন।
অনশন শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে রেখে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলা ও বৈষম্য করা হচ্ছে। শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকা-খাওয়ার ব্যয়, যাতায়াতের কষ্ট তো আছেই, নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুমও। মানসিক বিকাশ বা সংস্কৃতি চর্চার নেই কোনো পরিবেশ।
চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে টানা ৮২ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও সাত দিনের আলটিমেটাম শেষে ৩১ জানুয়ারি ফের আন্দোলনে নামেন। এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আবারও আন্দোলনে নামেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়।
২০২৩ সালের ওই আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক সুফিয়া বেগম ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান-পরবর্তী ১৩ ডিসেম্বর নতুন প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয়, ১ এপ্রিল থেকে চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হবে এবং সেখানেই ক্লাস শুরু হবে। আমরা সে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর আবারও জনিয়ে দিয়েছিলাম— প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি, আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। হয়নি কোনো সিন্ডিকেট মিটিং, জারি হয়নি কোনো প্রজ্ঞাপন। ১ এপ্রিল পেরিয়ে গেছে. স্থানান্তরের ঘোষণা বাতাসে মিলিয়ে গেছে। প্রতিশ্রুতি শুধু মুখে, বাস্তবে শূন্য।
এ প্রেক্ষাপটেই অনশনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছি, আর কোনো আশ্বাস নয়, এবার বাস্তব পদক্ষেপ চাই। চারুকলাকে তার প্রকৃত জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অবিলম্বে ফিরিয়ে আনতে হব। আমরা একদফা দাবিতে অবিচল। আমরা আজ অনশনে বসেছি। হয় মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর, নয় অনশনে মৃত্যু।
এর আগে দুপুরে এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সমাধান না আসায় তারা সংবাদ সম্মেলন করে অনশনে বসেন।

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, চারুকলাকে এবার মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর না করলে প্রয়োজনে তারা অনশন করে মৃত্যুবরণ করবেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন।
তারা বলছেন, এপ্রিলের আগেই চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনই দিয়েছিল। কিন্তু তারাই তাদের কথা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে তারা অনশন শুরু করেছেন।
অনশন শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে রেখে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলা ও বৈষম্য করা হচ্ছে। শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকা-খাওয়ার ব্যয়, যাতায়াতের কষ্ট তো আছেই, নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুমও। মানসিক বিকাশ বা সংস্কৃতি চর্চার নেই কোনো পরিবেশ।
চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে টানা ৮২ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও সাত দিনের আলটিমেটাম শেষে ৩১ জানুয়ারি ফের আন্দোলনে নামেন। এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আবারও আন্দোলনে নামেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়।
২০২৩ সালের ওই আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক সুফিয়া বেগম ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান-পরবর্তী ১৩ ডিসেম্বর নতুন প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয়, ১ এপ্রিল থেকে চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হবে এবং সেখানেই ক্লাস শুরু হবে। আমরা সে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর আবারও জনিয়ে দিয়েছিলাম— প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি, আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। হয়নি কোনো সিন্ডিকেট মিটিং, জারি হয়নি কোনো প্রজ্ঞাপন। ১ এপ্রিল পেরিয়ে গেছে. স্থানান্তরের ঘোষণা বাতাসে মিলিয়ে গেছে। প্রতিশ্রুতি শুধু মুখে, বাস্তবে শূন্য।
এ প্রেক্ষাপটেই অনশনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছি, আর কোনো আশ্বাস নয়, এবার বাস্তব পদক্ষেপ চাই। চারুকলাকে তার প্রকৃত জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অবিলম্বে ফিরিয়ে আনতে হব। আমরা একদফা দাবিতে অবিচল। আমরা আজ অনশনে বসেছি। হয় মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর, নয় অনশনে মৃত্যু।
এর আগে দুপুরে এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সমাধান না আসায় তারা সংবাদ সম্মেলন করে অনশনে বসেন।

সেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার পুরোনো একটি ভাষণ, যেখানে তিনি পলাতক হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার উচিত লেন্দুপ দর্জির করুণ ইতিহাস পড়া। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের কান্না, শাপলা চত্বরে নিহত আলেমদের পরিবার-সন্তান
৩ ঘণ্টা আগে
দাফন প্রক্রিয়া চলার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ছোটভাই আরাফাত রহমানের স্ত্রী শামিলা রহমান, তার ছোট মেয়ে জাফিরা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ প্রকাশ্যে এসেছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে। ভিডিওতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক সক্রিয় খালেদা জিয়া সুস্থ শরীরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে গিয়েছিলেন। ২৫ মাস পর ২০২০ সালের মার্চে সাময়িক মুক্তিতে বাসায় ফিরলেও কখনও হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেননি। জীবনের শেষ সাড়ে পাঁচ বছরের অধিকাংশ দিন কেটেছে হাসপাতালে।
৪ ঘণ্টা আগে