ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, সাম্য হত্যার বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে শুরু হওয়া আমরণ অনশন আন্দোলনের ৫৫ ঘণ্টা অতিক্রম করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরবতা অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনকারীদের শারিরীক অবস্থা নাজুক বলে জানিয়েছেন তারা।
গত ২১ মে (বুধবার) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন তিন শিক্ষার্থী-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদ।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, অনশনের প্রথম রাতে প্রক্টর টিম এবং পরে সকালে উপাচার্য উপস্থিত হন। তারা জানান, অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে এখনও পর্যন্ত আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বার্তা আমরা পাইনি,একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছি আগামীকাল তারা আলোচনা করবেন।
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহতাব ইসলাম জানান, আমরা টানা ৫৫ ঘণ্টা অনশন করছি। প্রশাসনের কয়েকজন আমাদের শারীরিক খোঁজখবর নিলেও আমাদের দাবিগুলো নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।
জামালুদ্দীন খালিদ বলেন, অনশনের শুরু থেকেই সংহতি জানালেও আমি গতকাল সন্ধ্যা থেকে সরাসরি অনশনে যোগ দিয়েছি। বিকেলে প্রো ভিসি বিদিশা ম্যামের সঙ্গে দেখা করে দাবিসমূহ জানাই এবং সন্ধ্যার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করি। তিনি ও প্রক্টর স্যার রাত ১২টায় এসে আমাদের অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন। তবে সাম্য হত্যার বিচার প্রসঙ্গে কিছু অগ্রগতির কথা তারা বললেও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদেরকে জানানো হয়নি। তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিলেও এরপর থেকে আর কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং তফসিল ঘোষণাসহ নির্দিষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনশন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আজ যারা অনশনরত অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ন্যায়ের দাবিতে দাঁড়িয়েছেন, তারা একা নয়, আমরা তাদের পাশে আছি, থাকবো। এই দাবি শুধু একটি গোষ্ঠীর নয়, এটি গোটা ছাত্রসমাজের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি।
প্রশাসনের নীরবতার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সাইমা হক বিদিশা ও উপ উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচারে প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ নানা কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশ কিছুদিন চাপে ছিল। যে কারণে ডাকসু কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততর সময়ের মধ্যে ডাকসু কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, সাম্য হত্যার বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে শুরু হওয়া আমরণ অনশন আন্দোলনের ৫৫ ঘণ্টা অতিক্রম করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরবতা অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনকারীদের শারিরীক অবস্থা নাজুক বলে জানিয়েছেন তারা।
গত ২১ মে (বুধবার) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন তিন শিক্ষার্থী-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদ।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, অনশনের প্রথম রাতে প্রক্টর টিম এবং পরে সকালে উপাচার্য উপস্থিত হন। তারা জানান, অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে এখনও পর্যন্ত আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বার্তা আমরা পাইনি,একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছি আগামীকাল তারা আলোচনা করবেন।
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহতাব ইসলাম জানান, আমরা টানা ৫৫ ঘণ্টা অনশন করছি। প্রশাসনের কয়েকজন আমাদের শারীরিক খোঁজখবর নিলেও আমাদের দাবিগুলো নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।
জামালুদ্দীন খালিদ বলেন, অনশনের শুরু থেকেই সংহতি জানালেও আমি গতকাল সন্ধ্যা থেকে সরাসরি অনশনে যোগ দিয়েছি। বিকেলে প্রো ভিসি বিদিশা ম্যামের সঙ্গে দেখা করে দাবিসমূহ জানাই এবং সন্ধ্যার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করি। তিনি ও প্রক্টর স্যার রাত ১২টায় এসে আমাদের অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন। তবে সাম্য হত্যার বিচার প্রসঙ্গে কিছু অগ্রগতির কথা তারা বললেও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদেরকে জানানো হয়নি। তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিলেও এরপর থেকে আর কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং তফসিল ঘোষণাসহ নির্দিষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনশন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আজ যারা অনশনরত অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ন্যায়ের দাবিতে দাঁড়িয়েছেন, তারা একা নয়, আমরা তাদের পাশে আছি, থাকবো। এই দাবি শুধু একটি গোষ্ঠীর নয়, এটি গোটা ছাত্রসমাজের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি।
প্রশাসনের নীরবতার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সাইমা হক বিদিশা ও উপ উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচারে প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ নানা কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশ কিছুদিন চাপে ছিল। যে কারণে ডাকসু কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততর সময়ের মধ্যে ডাকসু কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে।
ইভেন্টের পরিকল্পনা, টিকিটিং, অতিথি সহায়তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, শিল্পীদের সমন্বয়, স্টেজ ম্যানেজমেন্ট, স্পন্সর ও ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা—সব ক্ষেত্রেই এনইউবি শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার ছাপ রেখেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে, ক্লাব কার্যক
৮ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদ
৮ ঘণ্টা আগেকর কর্মকর্তারা বলছেন, গত মে ও জুনে আন্দোলনের জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। যার শুরু গত জুলাই থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগে