এক সপ্তাহ পর পাঠে ফিরলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে এক সপ্তাহের আন্দোলন শেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের দেওয়া ‘আলটিমেটাম’ অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা নিয়ে সরকারের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলে ফের আন্দোলনে নামবেন তারা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালেই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত এই কলেজে। সকাল পৌনে ৯টা থেকে শুরু হয় ক্লাস। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয়েছে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা।

কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, তারা সাত দিনের জন্য আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। এই সাত দিন ক্লাস-পরীক্ষা সবই চলবে। এর মধ্যে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে সরকার কী কার্যক্রম গ্রহণ করে, তার ওপর নির্ভর করে তারা পরবর্তী কর্মসূচি দেবেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজ ঢাকার আরও ছয়টি কলেজসহ সাত কলেজ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। সম্প্রতি আন্দোলনের মুখে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হয়েছে। সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

তবে আরও আগে থেকেই তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি নিয়ে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। সবশেষ সাত দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। বুধবার বিকেলে আমরণ অনশনে বসেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলাকালে কলেজের সামনের সড়কসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও মহাখালী রেলগেট অবরোধ করেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী ঘিরে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

এরপর রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান ও সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন। একই সময়ে তারা ঘোষণা দেন, সাত দিনের মধ্যে সরকারের পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে ফের আন্দোলনে নামবেন তারা।

‘তিতুমীর ঐক্যর’ প্ল্যাটফর্ম থেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা যে সাত দফা নিয়ে আন্দোলন করছেন সেগুলো হলো— তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি দিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা; শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সম্ভব না হলে অবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন; ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগ সংযোজন; একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষার গুণগতমান বাড়াতে আসন সংখ্যা কমানো; এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

অনশন ভাঙানোর সময় যুগ্মসচিব মো. নরুজ্জামান বলেন, ‘২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কোন কাঠামোতে হবে তা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা দ্রুত জানাব। আবাসন ও পরিবহণ সংকট নিরসনে কার্যক্রম গ্রহণ করে আগামী সাত দিনের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি জানাব। শিক্ষা মান বাড়াতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর দাবির বিষয়ে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করব।’

বা দাবি-দাওয়া নিয়েও সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে জানান যুগ্মসচিব নুরুজ্জামান। বলেন, অধ্যক্ষ মহোদয়ের নেতৃত্বে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হবে। তারা বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করবে। তারা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে আমাদের জানাবেন।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৮৪

১১ ঘণ্টা আগে

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে নিয়োগ, পদসংখ্যা ৩৮

১১ ঘণ্টা আগে

আইপিডিসি ফাইন্যান্সে কাজের সুযোগ, পদসংখ্যা ০২

১১ ঘণ্টা আগে

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ পায়নি ৫৭৬৫ জন

ভর্তির জন্য আবেদন করেছে করে ফি জমা দিয়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬২ জন শিক্ষার্থী। ভর্তির জন্য মনোনয়ন মনোনীত হয়েছে এ সংখ্যা মোট আবেদনকারী ৯৮ শতাংশ। বাকি ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনয়ন পায়নি। সারা দেশে ভর্তিযোগ্য কলেজের মধ্যে ৯৫ শতাংশ কলেজ ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পেয়েছে। বাকি ৫ শাতংশ একজন শিক্ষার্থীও

১১ ঘণ্টা আগে