
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ সচিবালায় থাকবে উচ্চ আদালতের অধীনে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে গেল মনে করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় স্থাপনের প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গত ২০-৩০ বছরের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। আজ আমরা মাসদার হোসেনের মামলার রায় পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পরিপূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠার শেষ ধাপ সম্পন্ন করলাম।
আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫-এর গেজেট জারি করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও ছিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল এর পক্ষে মত দিয়েছে। বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের নীতিগত অনুমোদন আগেই হয়েছিল। আজ চূড়ান্ত অনুমোদন হলো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধ্যাদেশ জারি হলে শুধু বিচারকাজে নিয়োজিত বিচারকরা থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা বিচারকরা (নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচারিক প্রশাসন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আইন কমিশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত) থাকবেন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
এ অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলাজনিত বিষয় ও ছুটির পাশাপাশি নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়োগের সব কিছু দেখভাল করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে আসিফ নজরুল বলেন, আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের সচিবালয় সম্পূর্ণ কার্যকর হয়ে যাবে।
১৯৯৫ সালে বিসিএস বিচার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাসদার হোসেন ও তার সহকর্মীরা বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত করার দাবিতে মামলা করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে চূড়ান্ত রায় দেয়। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে পৃথক সচিবালয়ের মাধ্যমে এবার সে রায় বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্প অনুমোদন করবেন প্রধান বিচারপতি
এদিকে উচ্চ আদালতের সচিবালয়ের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রকল্পের ব্যয় ৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে প্রধান বিচারপতি তা অনুমোদন করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি হলে প্রধান বিচারপতি প্রকল্পটি পাঠাবেন একনেকে অনুমোদনের জন্য।
প্রকল্প গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতের সচিবালয়ের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাই কমিটি থাকবে। তারা প্রকল্প গ্রহণ করবে, যা আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন কমিটি পরামর্শক হিসেবে অনুমোদন করবেন। তাদের অনুমোদন পেলে সেটি যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে।

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ সচিবালায় থাকবে উচ্চ আদালতের অধীনে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে গেল মনে করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় স্থাপনের প্রস্তাব নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গত ২০-৩০ বছরের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। আজ আমরা মাসদার হোসেনের মামলার রায় পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পরিপূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠার শেষ ধাপ সম্পন্ন করলাম।
আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫-এর গেজেট জারি করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও ছিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল এর পক্ষে মত দিয়েছে। বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের নীতিগত অনুমোদন আগেই হয়েছিল। আজ চূড়ান্ত অনুমোদন হলো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধ্যাদেশ জারি হলে শুধু বিচারকাজে নিয়োজিত বিচারকরা থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা বিচারকরা (নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচারিক প্রশাসন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আইন কমিশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত) থাকবেন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
এ অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলাজনিত বিষয় ও ছুটির পাশাপাশি নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়োগের সব কিছু দেখভাল করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে আসিফ নজরুল বলেন, আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের সচিবালয় সম্পূর্ণ কার্যকর হয়ে যাবে।
১৯৯৫ সালে বিসিএস বিচার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাসদার হোসেন ও তার সহকর্মীরা বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত করার দাবিতে মামলা করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে চূড়ান্ত রায় দেয়। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে পৃথক সচিবালয়ের মাধ্যমে এবার সে রায় বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্প অনুমোদন করবেন প্রধান বিচারপতি
এদিকে উচ্চ আদালতের সচিবালয়ের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রকল্পের ব্যয় ৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে প্রধান বিচারপতি তা অনুমোদন করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি হলে প্রধান বিচারপতি প্রকল্পটি পাঠাবেন একনেকে অনুমোদনের জন্য।
প্রকল্প গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতের সচিবালয়ের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাই কমিটি থাকবে। তারা প্রকল্প গ্রহণ করবে, যা আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন কমিটি পরামর্শক হিসেবে অনুমোদন করবেন। তাদের অনুমোদন পেলে সেটি যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে।

শেয়ার বাজার সংক্রান্ত মামলার আসামি ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে তাকে আগামী ২৬ নভেম্বর হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী ৩ থেকে ৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার ছয় আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয় আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে