ঢাবি প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন) হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
জুলাই হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ১৫ জুলাই মল চত্বরে যারা হামলা করেছে তাদের মাথায় সাদা ক্যাপ ছিল। এরপর যারা আহত হয়েছে, তাদের ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানেও হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। ডাক্তারদের বলা হয়েছিল চিকিৎসা না দিতে। এর সবই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এসব ঘটনায় আমাদের প্রশাসনেরও যোগসাজশ থাকতে পারে।
বৃহম্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাবি লাউঞ্জে উপাচার্যের হাতে তদন্ত প্রতিবেদ জমা দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল। এ সময় সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা প্রায় ৫৫০ পাতার প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দেন।
কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাবিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হামলা হয়েছে আমরা তার সবকিছু এ প্রতিবেদনে আনার চেষ্টা করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি, ১৫ জুলাই নারী শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। হামলায় ১২২ জন ঢাবি শিক্ষার্থীর জড়িত তাদের প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া বহিরাগত ও অনেক শিক্ষার্থীর হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। এ প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট থেকে পাস হয়ে এলে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানাব এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের না, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলা হয়েছে।
কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে— জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল বলেন, আমরা তদন্ত করার সময় বিভিন্ন জায়গার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজেছি। কিন্তু কোনো ফুটেজ পাইনি। সব হার্ডডিস্ক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে মেইল ও নম্বর পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীরা সেখানে জুলাইয়ে হামলার নানা ছবি, ভিডিও পাঠিয়েছে। এ ছাড়া আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকার খবর দেখেছি। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধান কমিটির এই আহ্বায়ক আরও বলেন, আমরা ছাত্রলীগকে বৈষম্যবিরোধী হিসেবে দেখিনি। যাদের হামলা করতে দেখা গেছে তাদের বিষয়ে উল্লেখ করেছি। এ ছাড়া আমরা হামলার ক্ষেত্রে তিন স্তর প্রতিবেদন তৈরি করেছি। যে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে গেলেও টিকবে, সেগুলোকে আমরা নিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না— এ বিষয়ে কাজী মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলাকালীন ৭০ জন শিক্ষককে পাওয়া গেছে যারা শিক্ষার্থীদের জামায়াত- শিবির, ছাত্রদল-রাজাকার ইত্যাদি বলে ট্যাগিং করেছেন। এর প্রভাব আন্দোলনে পড়েছে। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে অনেকে স্বীকার করেছেন, সেটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আমরা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ করেছি।
প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার সময় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল ইসলাম হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন) হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
জুলাই হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ১৫ জুলাই মল চত্বরে যারা হামলা করেছে তাদের মাথায় সাদা ক্যাপ ছিল। এরপর যারা আহত হয়েছে, তাদের ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানেও হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। ডাক্তারদের বলা হয়েছিল চিকিৎসা না দিতে। এর সবই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এসব ঘটনায় আমাদের প্রশাসনেরও যোগসাজশ থাকতে পারে।
বৃহম্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাবি লাউঞ্জে উপাচার্যের হাতে তদন্ত প্রতিবেদ জমা দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল। এ সময় সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা প্রায় ৫৫০ পাতার প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দেন।
কাজী মাহফুজুল ইসলাম সুপন বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাবিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হামলা হয়েছে আমরা তার সবকিছু এ প্রতিবেদনে আনার চেষ্টা করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি, ১৫ জুলাই নারী শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। হামলায় ১২২ জন ঢাবি শিক্ষার্থীর জড়িত তাদের প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া বহিরাগত ও অনেক শিক্ষার্থীর হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। এ প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট থেকে পাস হয়ে এলে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানাব এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের না, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলা হয়েছে।
কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে— জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল বলেন, আমরা তদন্ত করার সময় বিভিন্ন জায়গার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজেছি। কিন্তু কোনো ফুটেজ পাইনি। সব হার্ডডিস্ক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে মেইল ও নম্বর পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীরা সেখানে জুলাইয়ে হামলার নানা ছবি, ভিডিও পাঠিয়েছে। এ ছাড়া আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকার খবর দেখেছি। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধান কমিটির এই আহ্বায়ক আরও বলেন, আমরা ছাত্রলীগকে বৈষম্যবিরোধী হিসেবে দেখিনি। যাদের হামলা করতে দেখা গেছে তাদের বিষয়ে উল্লেখ করেছি। এ ছাড়া আমরা হামলার ক্ষেত্রে তিন স্তর প্রতিবেদন তৈরি করেছি। যে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে গেলেও টিকবে, সেগুলোকে আমরা নিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না— এ বিষয়ে কাজী মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলাকালীন ৭০ জন শিক্ষককে পাওয়া গেছে যারা শিক্ষার্থীদের জামায়াত- শিবির, ছাত্রদল-রাজাকার ইত্যাদি বলে ট্যাগিং করেছেন। এর প্রভাব আন্দোলনে পড়েছে। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে অনেকে স্বীকার করেছেন, সেটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আমরা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ করেছি।
প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার সময় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল ইসলাম হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে যৌথ ঘোষণায় সই করেছে ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এ যৌথ ঘোষণায় নীতি প্রণয়নে অসংক্রামক রোগ মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকারি দপ্তরগুলো।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র সংসদে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে তানভীর বারী হামিম, এবং এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে তানভীর আল হাদি মায়েদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন এই 'সংঘাত' এর সমাধান করা 'কঠিন একটি কাজ'। তিনি এটিও স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্ভবত সংঘাতের ইতি টানতে আগ্রহী নন।
৫ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অসংক্রামক রোগ দিনদিন বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, ভৌগোলিক অবস্থান এবং বিপুল জনগোষ্ঠীর ছোট এলাকায় বসবাসের প্রেক্ষাপটে এ পরিস্থিতি আরও সংকটময়।
৬ ঘণ্টা আগে