ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পুকুরের পার, জমির ধার কিংবা জলাভূমির পাশে চোখে পড়ে এক ধরনের লতানো শাক, যা আমরা কলমি শাক নামে চিনি। সহজলভ্য এই শাকটি অনেকেই অবহেলা করলেও গবেষকরা বলছেন, এর ভেতরে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। শুধু পেট ভরানোর কাজ নয়, কলমি শাক পারে আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যের সবজির মধ্যে কলমি শাক অন্যতম যা অপুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কলমি শাককে গুরুত্ব দিলে কেবল পুষ্টির ঘাটতি পূরণই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের প্ল্যান্ট নিউট্রিশন গবেষক ড. মেগান লোরেন্স বলেন, ‘কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সহায়তা করে।’
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফুড সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. জি-হুন পার্ক ২০২৩ সালে একটি গবেষণায় বলেন, ‘কলমি শাকের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ (bioactive compounds) প্রদাহ কমাতে ও লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর।’
কলমি শাকে আছে প্রচুর আঁশ, যা হজমক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, এই শাক নিয়মিত খেলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং হজমে সহায়তা করে।
কলমি শাকের পাতায় রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট ড. অ্যালিসন গ্রিন বলেন, ‘কলমি শাক দারুণ এক প্রাকৃতিক আয়রনের উৎস, বিশেষত নারীদের জন্য উপকারী যারা মাসিক বা প্রসব পরবর্তী রক্তাল্পতায় ভোগেন।’
কলমি শাকের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যালকালয়েড যৌগ লিভারকে সুরক্ষা দেয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের ২০২১ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়, কলমি শাক লিভারের টক্সিন দূর করে এবং যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কলমি শাক চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক। যারা দীর্ঘসময় স্ক্রিনে কাজ করেন, তাদের চোখের ক্লান্তি দূর করতে এই শাক উপকারী।
কলমি শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড. মাইলিন হু বলেন, ‘শরীরের কোষ যেন ডিএনএ মিউটেশন থেকে রক্ষা পায়, তার জন্য কলমি শাকের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।’
কলমি শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এতে চর্বির মাত্রা খুব কম থাকায় হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কম পড়ে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজিস্ট ড. রেমন্ড চ্যাং বলেন, ‘সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি নিয়মিত খেলে রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কলমি শাক এখানে খুবই কার্যকর।’
ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা কমাতে সহায়ক
কলমি শাকের পাতায় থাকা নির্দিষ্ট কিছু উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে ও ঘুম আসতে সাহায্য করে। ফিলিপাইনের ইউনিভার্সিটি অব স্যান্টো টমাসের নিউরোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এলেনা এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, কলমি শাকের নির্যাস ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ঘুম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।
আয়ুর্বেদে কলমি শাককে প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে ধরা হয়। এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের করে দেয়, ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
কলমি শাকে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এটি ত্বকের দাগ কমাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর।
কলমি শাক রক্তে গ্লুকোজ শোষণের হার কমিয়ে দেয়। ভারতীয় ডায়াবেটিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডা. রাজেশ প্যাটেল বলেন, ‘সপ্তাহে তিন-চার দিন কলমি শাক খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে, বিশেষত যারা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েট মেনে চলেন।’
এ সব তথ্যের আলোকে পরিষ্কার, আমাদের আশেপাশে জন্মানো কলমি শাক মোটেও অবহেলার কোনো বস্তু নয়। বরং এটি প্রাকৃতিক এক পুষ্টির খনি। বিদেশি গবেষকরা যেমন বলছেন, তেমনি স্থানীয় চিকিৎসাব্যবস্থাতেও এর কদর বহু পুরোনো। শহর হোক বা গ্রাম— খাবারের তালিকায় নিয়মিত কলমি শাক রাখা মানে নিজেকে বহু রোগ থেকে দূরে রাখা।
জলাভূমির এই সামান্য সবুজ লতা একসময় হয়তো আপনার বড় উপকারে আসতে পারে— শুধু খেয়ে দেখার অপেক্ষা!
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পুকুরের পার, জমির ধার কিংবা জলাভূমির পাশে চোখে পড়ে এক ধরনের লতানো শাক, যা আমরা কলমি শাক নামে চিনি। সহজলভ্য এই শাকটি অনেকেই অবহেলা করলেও গবেষকরা বলছেন, এর ভেতরে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। শুধু পেট ভরানোর কাজ নয়, কলমি শাক পারে আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যের সবজির মধ্যে কলমি শাক অন্যতম যা অপুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কলমি শাককে গুরুত্ব দিলে কেবল পুষ্টির ঘাটতি পূরণই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের প্ল্যান্ট নিউট্রিশন গবেষক ড. মেগান লোরেন্স বলেন, ‘কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সহায়তা করে।’
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফুড সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. জি-হুন পার্ক ২০২৩ সালে একটি গবেষণায় বলেন, ‘কলমি শাকের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ (bioactive compounds) প্রদাহ কমাতে ও লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর।’
কলমি শাকে আছে প্রচুর আঁশ, যা হজমক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, এই শাক নিয়মিত খেলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং হজমে সহায়তা করে।
কলমি শাকের পাতায় রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট ড. অ্যালিসন গ্রিন বলেন, ‘কলমি শাক দারুণ এক প্রাকৃতিক আয়রনের উৎস, বিশেষত নারীদের জন্য উপকারী যারা মাসিক বা প্রসব পরবর্তী রক্তাল্পতায় ভোগেন।’
কলমি শাকের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যালকালয়েড যৌগ লিভারকে সুরক্ষা দেয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের ২০২১ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়, কলমি শাক লিভারের টক্সিন দূর করে এবং যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কলমি শাক চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক। যারা দীর্ঘসময় স্ক্রিনে কাজ করেন, তাদের চোখের ক্লান্তি দূর করতে এই শাক উপকারী।
কলমি শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড. মাইলিন হু বলেন, ‘শরীরের কোষ যেন ডিএনএ মিউটেশন থেকে রক্ষা পায়, তার জন্য কলমি শাকের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।’
কলমি শাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এতে চর্বির মাত্রা খুব কম থাকায় হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কম পড়ে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কার্ডিওলজিস্ট ড. রেমন্ড চ্যাং বলেন, ‘সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি নিয়মিত খেলে রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কলমি শাক এখানে খুবই কার্যকর।’
ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যা কমাতে সহায়ক
কলমি শাকের পাতায় থাকা নির্দিষ্ট কিছু উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে ও ঘুম আসতে সাহায্য করে। ফিলিপাইনের ইউনিভার্সিটি অব স্যান্টো টমাসের নিউরোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এলেনা এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, কলমি শাকের নির্যাস ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ঘুম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।
আয়ুর্বেদে কলমি শাককে প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে ধরা হয়। এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের করে দেয়, ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
কলমি শাকে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এটি ত্বকের দাগ কমাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর।
কলমি শাক রক্তে গ্লুকোজ শোষণের হার কমিয়ে দেয়। ভারতীয় ডায়াবেটিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডা. রাজেশ প্যাটেল বলেন, ‘সপ্তাহে তিন-চার দিন কলমি শাক খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে, বিশেষত যারা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েট মেনে চলেন।’
এ সব তথ্যের আলোকে পরিষ্কার, আমাদের আশেপাশে জন্মানো কলমি শাক মোটেও অবহেলার কোনো বস্তু নয়। বরং এটি প্রাকৃতিক এক পুষ্টির খনি। বিদেশি গবেষকরা যেমন বলছেন, তেমনি স্থানীয় চিকিৎসাব্যবস্থাতেও এর কদর বহু পুরোনো। শহর হোক বা গ্রাম— খাবারের তালিকায় নিয়মিত কলমি শাক রাখা মানে নিজেকে বহু রোগ থেকে দূরে রাখা।
জলাভূমির এই সামান্য সবুজ লতা একসময় হয়তো আপনার বড় উপকারে আসতে পারে— শুধু খেয়ে দেখার অপেক্ষা!
করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে তিন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র হজের মূল দিন ৯ জিলহজে আরাফার ময়দান থেকে হজের খুতবা দেওয়া হয়েছে। মসজিদুল হারামের খতিব ও সৌদি আরবের প্রভাবশালী আলেম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ এবার খুতবা দেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআগামী শনিবার (৭ জুন) উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ওইদিন দেশের বেশিরভাগ জায়গায় আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক ও আরামদায়ক। তবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজ পবিত্র হজের দিন, ইওয়ামুল আরাফাহ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে পবিত্র আরাফার পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত হচ্ছে ।
১৭ ঘণ্টা আগে