ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড় উৎখাত করে ‘জনতার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পায়রা চত্বরে আয়োজিত স্মরণসভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সংগঠনের নেতারা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। আমরা আজ সেই দিনটি স্মরণ করতে এখানে একত্রিত হয়েছি। আবরার ফাহাদ এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আবরার ফাহাদ আমাদের শেখিয়েছে প্রতিবাদ করতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে কথা বলতে।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেই সময় যদি আমরা আপস করতাম, তাহলে আন্দোলন থেমে যেত। ডিজিএফআই আমাদেরকে অফার দিয়েছিল আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার জন্য । আমাদের বলা হয়েছিল, চাকরি, গাড়ি, বাড়ি যা চাও বলো। শুধু আন্দোলন কোরো না। আমরা তখন সেই ডিজিএফআই কর্নেলকে বলেছিলাম, শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে, আস্থা রেখেছে। আমরা তাদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না।
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সেই নির্বাচনে ভিপি, জিএসসহ আমরা ১১টি পদে জয়লাভ করেছিলাম। তখন অনেকে ভয় পেয়ে নির্বাচন করতে রাজি হয়নি। যারা এসেছিল, তাদের নিয়েই আমরা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং জিতেছি। যারা আমাদের সঙ্গে ছিল, তারা জানে কিভাবে অল্প কয়েকজনের লড়াইকে জনতার লড়াইয়ে রূপ দিতে হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি জননেতা ফারুক হাসান বলেন, আবরার ফাহাদ এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের এক জ্বলন্ত প্রতীক। যতদিন বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে, যতদিন আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও পতাকা থাকবে ততদিন শহীদ আবরার ফাহাদের স্মৃতি ও তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের জাতিসত্তার অংশ হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে প্রশ্ন করে তৎকালীন ডাকসুর নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী অবদান রেখেছেন। আমি আজ স্পষ্টভাবে বলতে চাই ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনই এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা ও শিক্ষার্থীদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে এনেছিল।১৫–১৬ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও মধ্যে ছিল না। কিন্তু আমরাই একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, যারা সেই ভয়ভীতির দেয়াল ভেঙে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়েছিলাম। আজকের এই প্রতিবাদের যে আগুন, তার প্রথম স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছিল আমরাই।
যতবার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে ফ্যাসিবাদ মাথা তুলবে, ততবার আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকেই আমরা ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড় উৎখাত করব এবং জনতার বাংলাদেশ গড়ে তুলব বলেও জানান তিনি ।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলা ও নৃশংস হত্যার শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করছি। শেখ হাসিনার আমলেও প্রতিবছর ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা শহীদ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করেছে; নিরাপত্তাহীনতা, হামলা, মামলা ও জেলজুলুম সহ্য করেও তারা শহীদকে স্মরণে অনড় থেকেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের ২২শে ডিসেম্বর ডাকসু ইতিহাসে, তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে এক বৃহৎ পরিচিত হামলা সংঘটিত হয়। ২২শে ডিসেম্বর সেদিন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রায় ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী বছরগুলোতেও তাদের বিরুদ্ধে হুমকি ও প্রতিহিংসামূলক কাজ চালানো হয়েছে; তবু ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যরা শহীদ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করেছে এবং স্মরণ করে আসছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের যে সকল নেতৃবৃন্দ ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে সেদিন রাজপথে নেমেছিলেন, ব্যানারে দাঁড়িয়েছিলেন আমি প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ৭ই অক্টোবর যখন বুয়েটের প্রশাসন সিসি ফুটেজ গায়েব করার পায়তারা করলো, তখনই আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছিলাম প্রয়োজনে আরো জীবনের বিনিময়ই হোক, এই সিসি ফুটেজকে রক্ষা করতে হবে। নয়তো আপনার ফাহাদের হত্যাকারীদের ধরতে পারবেন না। তখন বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সংঘর্ষ-মুখোমুখি হয়েছিলো, তবু তারা সিসি ফুটেজ উদ্ধার করেছিল। পরবর্তী সময়ে সেই ফুটেজে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে সারারাত একটি রুমে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের কোটা-সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। সেই সময় হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীও আবরারের বিচার চেয়ে রাজপথে নামেছিল। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের বর্তমান ডাকসু ভিপি সাদেক কায়েম তাকে আমরা সেই সময়ে রাজপথে দেখি নাই। তিনি কোথায় ছিলেন জানেন? আমরা যখন বিক্ষোভ মিছিল করতাম, তারা তাদের আলাদা মিছিল করেছিল ছাত্রলীগের বর্তমান পলাতক সভাপতি জনাব সাদ্দামের নেতৃত্বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড় উৎখাত করে ‘জনতার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পায়রা চত্বরে আয়োজিত স্মরণসভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সংগঠনের নেতারা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। আমরা আজ সেই দিনটি স্মরণ করতে এখানে একত্রিত হয়েছি। আবরার ফাহাদ এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আবরার ফাহাদ আমাদের শেখিয়েছে প্রতিবাদ করতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে কথা বলতে।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেই সময় যদি আমরা আপস করতাম, তাহলে আন্দোলন থেমে যেত। ডিজিএফআই আমাদেরকে অফার দিয়েছিল আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার জন্য । আমাদের বলা হয়েছিল, চাকরি, গাড়ি, বাড়ি যা চাও বলো। শুধু আন্দোলন কোরো না। আমরা তখন সেই ডিজিএফআই কর্নেলকে বলেছিলাম, শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে, আস্থা রেখেছে। আমরা তাদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না।
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সেই নির্বাচনে ভিপি, জিএসসহ আমরা ১১টি পদে জয়লাভ করেছিলাম। তখন অনেকে ভয় পেয়ে নির্বাচন করতে রাজি হয়নি। যারা এসেছিল, তাদের নিয়েই আমরা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং জিতেছি। যারা আমাদের সঙ্গে ছিল, তারা জানে কিভাবে অল্প কয়েকজনের লড়াইকে জনতার লড়াইয়ে রূপ দিতে হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি জননেতা ফারুক হাসান বলেন, আবরার ফাহাদ এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের এক জ্বলন্ত প্রতীক। যতদিন বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে, যতদিন আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও পতাকা থাকবে ততদিন শহীদ আবরার ফাহাদের স্মৃতি ও তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের জাতিসত্তার অংশ হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে প্রশ্ন করে তৎকালীন ডাকসুর নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী অবদান রেখেছেন। আমি আজ স্পষ্টভাবে বলতে চাই ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনই এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা ও শিক্ষার্থীদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে এনেছিল।১৫–১৬ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও মধ্যে ছিল না। কিন্তু আমরাই একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, যারা সেই ভয়ভীতির দেয়াল ভেঙে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়েছিলাম। আজকের এই প্রতিবাদের যে আগুন, তার প্রথম স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছিল আমরাই।
যতবার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে ফ্যাসিবাদ মাথা তুলবে, ততবার আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকেই আমরা ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড় উৎখাত করব এবং জনতার বাংলাদেশ গড়ে তুলব বলেও জানান তিনি ।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলা ও নৃশংস হত্যার শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্মরণ করছি। শেখ হাসিনার আমলেও প্রতিবছর ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা শহীদ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করেছে; নিরাপত্তাহীনতা, হামলা, মামলা ও জেলজুলুম সহ্য করেও তারা শহীদকে স্মরণে অনড় থেকেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের ২২শে ডিসেম্বর ডাকসু ইতিহাসে, তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে এক বৃহৎ পরিচিত হামলা সংঘটিত হয়। ২২শে ডিসেম্বর সেদিন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রায় ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী বছরগুলোতেও তাদের বিরুদ্ধে হুমকি ও প্রতিহিংসামূলক কাজ চালানো হয়েছে; তবু ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যরা শহীদ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করেছে এবং স্মরণ করে আসছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের যে সকল নেতৃবৃন্দ ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে সেদিন রাজপথে নেমেছিলেন, ব্যানারে দাঁড়িয়েছিলেন আমি প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ৭ই অক্টোবর যখন বুয়েটের প্রশাসন সিসি ফুটেজ গায়েব করার পায়তারা করলো, তখনই আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছিলাম প্রয়োজনে আরো জীবনের বিনিময়ই হোক, এই সিসি ফুটেজকে রক্ষা করতে হবে। নয়তো আপনার ফাহাদের হত্যাকারীদের ধরতে পারবেন না। তখন বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সংঘর্ষ-মুখোমুখি হয়েছিলো, তবু তারা সিসি ফুটেজ উদ্ধার করেছিল। পরবর্তী সময়ে সেই ফুটেজে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে সারারাত একটি রুমে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের কোটা-সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। সেই সময় হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীও আবরারের বিচার চেয়ে রাজপথে নামেছিল। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমাদের বর্তমান ডাকসু ভিপি সাদেক কায়েম তাকে আমরা সেই সময়ে রাজপথে দেখি নাই। তিনি কোথায় ছিলেন জানেন? আমরা যখন বিক্ষোভ মিছিল করতাম, তারা তাদের আলাদা মিছিল করেছিল ছাত্রলীগের বর্তমান পলাতক সভাপতি জনাব সাদ্দামের নেতৃত্বে।