বিচিত্র

সি ড্রাগন : পাতা নয় ছদ্মবেশী

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ৪০
সি ড্রাগন

সাগরের গভীরে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় জগৎ। সেখানে বাস করে এমন সব প্রাণী, যাদের রূপ-রঙ আর আচরণ যেন কল্পনার থেকেও বেশি বিস্ময়কর। এদের মধ্যেই আছে এক অনন্য সুন্দর ও বিরল প্রাণী— লিফি সি ড্রাগন।

প্রথম দেখায় অনেকেই ভাবেন, কোনো সামুদ্রিক গাছ বা শৈবাল যেন ধীরে ধীরে পানির স্রোতে ভেসে চলেছে। কিন্তু না, সেটি আসলে জীবন্ত এক প্রাণী। পাতার মতো দেহের গঠন তাকে নিখুঁতভাবে ছদ্মবেশ নিতে সাহায্য করে। এই ছদ্মবেশই তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র—শিকারিদের চোখে ধুলা দেওয়া কিংবা নিজের শিকারকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য আদর্শ।

বৈজ্ঞানিক নাম Phycodurus eques, এই লিফি সি ড্রাগন পাওয়া যায় মূলত অস্ট্রেলিয়ার উপকূলবর্তী সমুদ্রে। গায়ের রঙে মিশে থাকে সবুজ, হলুদ ও বাদামির ছোঁয়া, যা একে সাগরের শৈবাল ও উদ্ভিদের সঙ্গে একেবারে মিলিয়ে দেয়। অনেকে তাই একে সমুদ্রের "জীবন্ত শিল্পকর্ম" বলেই মনে করেন।

প্রায় ২০ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এই প্রাণীটির চলাফেরা খুবই ধীরগতির। শরীরের ক্ষুদ্র পাখনাগুলো পানিতে তাকে ধীরে ও সহজে ভাসতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় থাকে ছোট চিংড়ি ও প্ল্যাঙ্কটনের মতো সামুদ্রিক ক্ষুদ্র প্রাণী। ধীরে চলেই সে শিকার ধরে—ধৈর্যই যেন তার প্রধান কৌশল।

লিফি সি ড্রাগনের প্রজনন প্রক্রিয়াও অন্যরকম। স্ত্রী ড্রাগন ডিম পাড়ে না কোনো পাথরে কিংবা গাছের ডালে। বরং সেই ডিমগুলো পুরুষ ড্রাগনের শরীরের পেছনের দিকে একটি বিশেষ স্থানে স্থাপন করে। এরপর পুরুষ ড্রাগনই সেই ডিমগুলো বহন করে এবং যত্ন করে তা থেকে সন্তানের জন্মের আগ পর্যন্ত আগলে রাখে। প্রকৃতির আরেক অভিনব বিস্ময়!

লিফি সি ড্রাগন এখন বিপন্ন প্রজাতির তালিকায়। সমুদ্র দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং তাদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ায় দিন দিন কমে যাচ্ছে এই অসাধারণ প্রাণীর সংখ্যা। অস্ট্রেলিয়ায় তাই এই প্রাণীকে রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ, তৈরি হয়েছে বিশেষ আইন।

লিফি সি ড্রাগন যেন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃতি কত অসাধারণ এবং কতটা সংরক্ষণের দাবি রাখে। পাতার ছায়ায় লুকানো এই সামুদ্রিক রাজকুমার যেন হারিয়ে না যায় ভবিষ্যতের জগতে—এটাই এখন সবচেয়ে বড় চাওয়া।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত'‍‍‌‌

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে।

১৬ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় নিয়ে যা বলল ভারত

সোমবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, নির্বাসনে থাকা হাসিনার রায় ভারত ‘নজরে নিয়েছে’ এবং ‘বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।

১৬ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান ১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়

১৭ ঘণ্টা আগে

হাসিনা-কামালের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন

১৭ ঘণ্টা আগে