top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণায় ৭ বছরের সাজা

বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণায় ৭ বছরের সাজা
প্রতীকী ছবি

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার পর প্রতারণার ঘটনায় সাজা বদলে যাচ্ছে। আগে এ শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো, সাজাও হতো ধর্ষণের সাজার মতো। এখন এটি ধর্ষণ হিসেবে চিহ্নিত না হয়ে ভিন্ন একটি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই অপরাধের সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড।

এই ধারাসহ নারী ও নির্যাতন দমন আইনের আরও কয়েকটি ধারায় সংশোধন আসছে। এসব সংশোধনী নিয়ে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। এটি নিয়ে আমাদের আইন উপদেষ্টা গত সপ্তাহে বিস্তারিত বলেছেন। উনার ব্রিফিংয়ের পরে আমরা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়েছি। সেগুলো যথাসাধ্য আমলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সবকিছুর আলোকে সংশোধনীগুলো অনুমোদন পেয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্কের ধারাটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। এরপরই একে ধর্ষণ হিসেবে অভিহিত না করে অবৈধ যৌন সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে সাত বছর কারাদণ্ড।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষেণের যেসব মামলা, সেখানেও নতুন করে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগের আইনে নতুন একটি ধারা নিয়ে এসে সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আরও যেসব সেফগার্ড নেওয়া যায়, সেগুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিশু ধর্ষণের মামলাগুলো বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বলাৎকারকেও ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

press

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

আইনের সংশোধনীতে এ বিষয়গুলোও এসেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর মাধ্যমে ধর্ষণের সংজ্ঞা সংশোধন করা হয়েছে এবং শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে বলাৎকারের নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের মামলাগুলো দেরি হওয়ার পেছনে ডিএনএ টেস্টের বড় ভূমিকা ছিল। সে জায়গাগুলো কীভাবে অ্যাড্রেস করা যায়, সেগুলোর মেজার নেওয়া হয়েছে। আমরা নতুন দুটি ডিএনএ ল্যাবও করতে যাচ্ছি।

এর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ অনুযায়ী, দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর সে আইন সংশোধন করা হয়। ওই সময় ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়।

r1 ad
top ad image