২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

তারেক রহমান-বাবরের খালাসের রায় আপিল বিভাগেও বহাল

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৬
ছবি: সংগৃহীত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শতাধিক মানুষ আহত হন।

হামলার পর রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়—একটি হত্যা মামলা, অপরটি বিস্ফোরক আইনে। মামলার শুরু থেকেই তদন্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ঘটনার প্রকৃত তথ্য আড়াল করা এবং ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালের এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে ২০০৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২২ জনের বিরুদ্ধে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে অধিকতর তদন্ত করে সিআইডি। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়। এরপর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার বিচার শুরু হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালত রায় ঘোষণা করে। তাতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জন পান যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেয়। হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানায় যে তদন্তে দুর্বলতা ও অসঙ্গতি ছিল এবং একটি পেশাদার সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

তারা দাবি করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা যথাযথ ছিল এবং সেটিই বহাল রাখা উচিত। অন্যদিকে আসামিপক্ষ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। আপিল বিভাগে এই মামলার শুনানি শুরু হয় গত ১৭ জুলাই। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৩১ জুলাই, ১৯, ২০ এবং ২১ আগস্ট পাঁচ দিন ধরে শুনানি চলে। শুনানি শেষে আদালত আজকের দিনটি রায়ের জন্য নির্ধারণ করে।

আজ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস,অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল, আজমল হোসেন খোকন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির চিঠি পাঠাল দুদক

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছেলে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করার জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।

১ ঘণ্টা আগে

জাতীয় নির্বাচনে থাকছে না পোস্টার

নির্বাচনের দিন ও প্রচারের সময় কোনো ধরনের ড্রোন, কোয়াড কপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। আর বিলবোর্ডের দৈর্ঘ্য হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট আর প্রস্থ ৯ ফুট। একটি আসনে সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে।

২ ঘণ্টা আগে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ

৫ ঘণ্টা আগে

ফের এক হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

কাজের সুবিধার যুক্তিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি বিভাগের নাম হয় জননিরাপত্তা বিভাগ এবং আরেকটির নাম হয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ। জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন রয়েছে পুলিশ অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ কোস

১৮ ঘণ্টা আগে