নবীনদের হেনস্তায় সিভাসুর ১৯ জন বহিষ্কার, ২ জনের ছাত্রত্ব বাতিল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

নবীন শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার ঘটনায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং দুইজনের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে, গণমাধ্যমে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিভাসুর জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটি’র ১৩তম সভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া দুজন হলেন- মাস্টার্সে অধ্যয়নরত অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের অভিষেক নন্দী ও অ্যানিম্যাল সাইন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের মো. আশিকুল ইসলাম রানা।

এর আগে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান হলের' ৪১৮ নম্বর কক্ষে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট রাতে এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। একই বছরের ১৯ নভেম্বর রাতে হলের টিভিরুমে আরেক শিক্ষার্থীকে আক্রমণ ও আহত করার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেয়া এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এ শাস্তি দেয়া হলো।

এদিকে, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সাইন্স ও টেকনোলজি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে মির্জা মাহফুজ হাসান আকাশকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, মো. জাবেরকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, এবং মো. রশিদ শাবাব শুভ, তানজিম মো. সিয়াম ইকবাল ও মো. মেহেদী হাসানকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে ওই অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন আট শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ফিশারিজ অনুষদের ১৪ জনকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে ওই অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের মো. তৌহিদুল ইসলাম শিহাবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, মো. সাজেদ-উল-ইসলাম সিফাতকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং মো. শাহেদুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত উল্ল্যাহ জিলান, মো. মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, আসিফ আল হাসান, মো. ইলিয়াস আল জাবের, তাইদুল ইসলাম তপু, মো. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, নাজমুস সাদাত তৌহিদ, আবুল হাসান ফাহাত, মো. শাহরুখ খান ও মো. বেলাল হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মো. রিয়াজুল জান্নাহ ওয়াসীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব

আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে কমনওয়েলথ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

৫ ঘণ্টা আগে

আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল নিয়ে আপিলের রায়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সাংবিধানিক ইতিহাস দীর্ঘ। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা সংযোজিত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

৫ ঘণ্টা আগে

ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

তিনি বলেন, বিশ্ব যখন অপরিবর্তনীয় জলবায়ু ক্ষতি এবং বহুপাক্ষিকতার প্রতি আস্থাহীনতার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি, তখন বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কোনো দূরবর্তী ধারণা নয়, বরং প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও ভাঙনে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, জীববৈচি

১৭ ঘণ্টা আগে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় বৃহস্পতিবার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রণীত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে