
শাহরিয়ার শরীফ

জীবনের শুরুতেই মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন আবুল কালাম। ভাই-বোনদের আদরে বড় হলেও হৃদয়ের সেই শূন্যতা কখনোই ভরেনি। হয়তো সে কারণেই নিজের সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন আরও বেশি করে। কিন্তু আবারও নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস— এবার নিজেই রেখে গেলেন দুই অবুঝ সন্তানকে। আবুল কালামকে যেমন মা-বাবা ছাড়াই বেড়ে উঠতে হয়েছে পৃথিবীর বাস্তবতায়, সেই একই বাস্তবতার মুখোমুখি এখন তারই দুই সন্তান।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে ১৫০ কেজি ওজনের একটি বিয়ারিং প্যাড ওপর থেকে পড়ে থেঁতলে দেয় আবুল কালামের শরীরের ওপরের অংশ। চোখের সামনে ফুরিয়ে যায় মাত্র ৩৫ বছরের জীবন।
এ দিন সকালে দুর্ঘটনার সময় আবুল কালামের পকেটে থাকা পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করা কালাম নিজেই হয়তো পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন দেশের বাইরে, নিজের আর সন্তানদের জীবনমান একটু উন্নত করতে। কিন্তু পাসপোর্টের মেয়াদ আট বছর বাকি থাকতেই নিভে গেল তার জীবনপ্রদীপ।
এমন আকস্মিক মৃত্যুর পর স্বজনরা যখন শোকে কাতর, তখন তার রেখে যাওয়া দুই শিশু সন্তান সবার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। পাঁচ বছরের আব্দুল্লাহ আর তিন বছরের সুরাইয়া জানেই না, বাবার চেয়েও কম বয়সে তারাও বাবাহারা হলো।
স্বজনদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও প্রশ্ন— দুই শিশুকে কে দেবে পিতৃস্নেহ? কীভাবে তাদের বড় করবেন কালামের স্ত্রী?
দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলা এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো আবুল কালাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষে শুরু করেন জীবনসংগ্রাম। সংসারের স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে ২০১২ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। সেখান থেকে ফিরে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন পাশের গ্রামের আইরিন আক্তারকে।
পরে কালাম কাজ শুরু করেন একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে। বিমানের টিকেট বিক্রি করে বেশ ভালোই চলছিল তার। প্রতিদিন সকালে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। আর কোনোদিন ঘরে ফিরবেন না তিনি। সন্তানরা দেখবে না বাবার প্রিয় মুখ।
প্রয়াত আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। নিজের কষ্টভরা শৈশব ভুলে যেতে চাইতেন সন্তানদের হাসি দেখে। বাসায় ফেরার পর সন্তানরা দৌড়ে এসে যখন তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তখন হয়তো সব ক্লান্তি মিলিয়ে যেত। তাদের নিয়েই দেখতেন সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
কিন্তু ফার্মগেটের সেই নির্মম সকালে মেট্রোরেলের ওপর থেকে ছিটকে পড়ল ১৫০ কেজি ওজনের একটি বিয়ারিং প্যাড। কোনো সতর্কতা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সেটি সরাসরি আঘাত করল তার মাথায়। মুহূর্তেই নিভে গেল জীবনের আলো। এক দুর্ঘটনায় পরিবার হারাল তাদের আশ্রয়; দুই শিশু হারাল পিতার স্নেহ, আর এক নারী হারালেন জীবনের সঙ্গী।
আবুল কালামের মৃত্যুর খবরে শোকার্ত ঈশ্বরকাঠি গ্রামের মানুষ। স্বজনদের পাশাপাশি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আশপাশের লোকজনও।
ঘরে বসে আবুল কালামের ছবি হাতে বসে ছিলেন বড় বোন সেলিনা বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বারবার উঠে আসছিল কালামকে নিয়ে আহাজারি। বলেন, ‘আমার ভাইটি সারাজীবন কষ্ট করেছে। কিশোর বয়সে মা-বাবাকে হারিয়েছে। আজ দুই শিশুসন্তান রেখে সেও না ফেরার দেশে চলে গেল। এখন এই শিশু দুটির কী হবে? কে দেবে তাদের পিতৃস্নেহ? তার বিধবা স্ত্রী কার কাছে যাবে? আল্লাহ, তুমি আমার ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে এমন কেন করলে?’
বন্ধুর মৃত্যুতে শোকে কাতর আবুল কালামের বাল্যবন্ধু রিহিনুজ্জামান বলেন, মাসখানেক আগে আবুল কালাম গ্রামে এসেছিল। দেখা হয়েছিল আমার সঙ্গে। সেই হাস্যোজ্জ্বল বন্ধুটি আজ নেই— বিশ্বাস করতে পারছি না।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুরে মেট্রোরেলের দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আগে আবুল কালাম শেষ ফোনালাপ করেছিলেন মেজো ভাবি আছমা বেগমের সঙ্গে। তিনি ফোনে বলেছিলেন, ‘ভাবি, ইলিশ মাছ কিনে রাখেন। দুয়েকদিনের মধ্যে বাড়ি আসব।’
আছমা বেগম বলেন, ‘সে বলেছিল ইলিশ কিনে রাখতে। আমি রেখেছিলামও… কিন্তু এখন কে খাবে সেই ইলিশ?’
এদিকে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত আবুল কালামের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। নিহতের পরিবারে কর্মক্ষম কোনো ব্যক্তি থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
প্রকৌশল সূত্র জানায়, বিয়ারিং প্যাড বা কম্পন নিয়ন্ত্রণ স্প্রিং মূলত ট্রেন চলাচলের সময় লাইনের কম্পন শোষণ করে কাঠামোর স্থিতি বজায় রাখে। এসব যন্ত্রাংশের বোল্ট সংযোগ মাসিকভাবে পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু নিয়মটি মানা হয়নি। দীর্ঘদিনের কম্পনের কারণে স্প্রিংটি আলগা হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সড়ক পরিবহন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এটি সবচেয়ে মজবুত ও টেকসই হওয়ার কথা ছিল। যথাযথ ব্যয় ও পরিশ্রমের পরও যারা নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অবশ্যই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। তারা জানতেন— যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে, তবুও অবহেলা করেছেন।
দায়িত্বশীলদের অবহেলায় এভাবে প্রাণ হারাতে হবে, তা হয়তো ভাবেননি কালাম। কিন্তু জীবনের নানা বাঁকেই লড়াই করতে করতে যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তা ফেসবুকে কালামের শেষ স্ট্যাটাসেই স্পষ্ট। লিখেছিলেন, ‘ইচ্ছে তো অনেক। আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।।’
কালাম কি বুঝতে পেরেছিলেন, এ স্ট্যাটাস দেওয়ার পরদিনই তাকে চিরতরে ছেড়ে যেতে হবে জীবনকে!

জীবনের শুরুতেই মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন আবুল কালাম। ভাই-বোনদের আদরে বড় হলেও হৃদয়ের সেই শূন্যতা কখনোই ভরেনি। হয়তো সে কারণেই নিজের সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন আরও বেশি করে। কিন্তু আবারও নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস— এবার নিজেই রেখে গেলেন দুই অবুঝ সন্তানকে। আবুল কালামকে যেমন মা-বাবা ছাড়াই বেড়ে উঠতে হয়েছে পৃথিবীর বাস্তবতায়, সেই একই বাস্তবতার মুখোমুখি এখন তারই দুই সন্তান।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে ১৫০ কেজি ওজনের একটি বিয়ারিং প্যাড ওপর থেকে পড়ে থেঁতলে দেয় আবুল কালামের শরীরের ওপরের অংশ। চোখের সামনে ফুরিয়ে যায় মাত্র ৩৫ বছরের জীবন।
এ দিন সকালে দুর্ঘটনার সময় আবুল কালামের পকেটে থাকা পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করা কালাম নিজেই হয়তো পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন দেশের বাইরে, নিজের আর সন্তানদের জীবনমান একটু উন্নত করতে। কিন্তু পাসপোর্টের মেয়াদ আট বছর বাকি থাকতেই নিভে গেল তার জীবনপ্রদীপ।
এমন আকস্মিক মৃত্যুর পর স্বজনরা যখন শোকে কাতর, তখন তার রেখে যাওয়া দুই শিশু সন্তান সবার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। পাঁচ বছরের আব্দুল্লাহ আর তিন বছরের সুরাইয়া জানেই না, বাবার চেয়েও কম বয়সে তারাও বাবাহারা হলো।
স্বজনদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও প্রশ্ন— দুই শিশুকে কে দেবে পিতৃস্নেহ? কীভাবে তাদের বড় করবেন কালামের স্ত্রী?
দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলা এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো আবুল কালাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষে শুরু করেন জীবনসংগ্রাম। সংসারের স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে ২০১২ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। সেখান থেকে ফিরে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন পাশের গ্রামের আইরিন আক্তারকে।
পরে কালাম কাজ শুরু করেন একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে। বিমানের টিকেট বিক্রি করে বেশ ভালোই চলছিল তার। প্রতিদিন সকালে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। আর কোনোদিন ঘরে ফিরবেন না তিনি। সন্তানরা দেখবে না বাবার প্রিয় মুখ।
প্রয়াত আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। নিজের কষ্টভরা শৈশব ভুলে যেতে চাইতেন সন্তানদের হাসি দেখে। বাসায় ফেরার পর সন্তানরা দৌড়ে এসে যখন তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তখন হয়তো সব ক্লান্তি মিলিয়ে যেত। তাদের নিয়েই দেখতেন সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
কিন্তু ফার্মগেটের সেই নির্মম সকালে মেট্রোরেলের ওপর থেকে ছিটকে পড়ল ১৫০ কেজি ওজনের একটি বিয়ারিং প্যাড। কোনো সতর্কতা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সেটি সরাসরি আঘাত করল তার মাথায়। মুহূর্তেই নিভে গেল জীবনের আলো। এক দুর্ঘটনায় পরিবার হারাল তাদের আশ্রয়; দুই শিশু হারাল পিতার স্নেহ, আর এক নারী হারালেন জীবনের সঙ্গী।
আবুল কালামের মৃত্যুর খবরে শোকার্ত ঈশ্বরকাঠি গ্রামের মানুষ। স্বজনদের পাশাপাশি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আশপাশের লোকজনও।
ঘরে বসে আবুল কালামের ছবি হাতে বসে ছিলেন বড় বোন সেলিনা বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বারবার উঠে আসছিল কালামকে নিয়ে আহাজারি। বলেন, ‘আমার ভাইটি সারাজীবন কষ্ট করেছে। কিশোর বয়সে মা-বাবাকে হারিয়েছে। আজ দুই শিশুসন্তান রেখে সেও না ফেরার দেশে চলে গেল। এখন এই শিশু দুটির কী হবে? কে দেবে তাদের পিতৃস্নেহ? তার বিধবা স্ত্রী কার কাছে যাবে? আল্লাহ, তুমি আমার ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে এমন কেন করলে?’
বন্ধুর মৃত্যুতে শোকে কাতর আবুল কালামের বাল্যবন্ধু রিহিনুজ্জামান বলেন, মাসখানেক আগে আবুল কালাম গ্রামে এসেছিল। দেখা হয়েছিল আমার সঙ্গে। সেই হাস্যোজ্জ্বল বন্ধুটি আজ নেই— বিশ্বাস করতে পারছি না।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুরে মেট্রোরেলের দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আগে আবুল কালাম শেষ ফোনালাপ করেছিলেন মেজো ভাবি আছমা বেগমের সঙ্গে। তিনি ফোনে বলেছিলেন, ‘ভাবি, ইলিশ মাছ কিনে রাখেন। দুয়েকদিনের মধ্যে বাড়ি আসব।’
আছমা বেগম বলেন, ‘সে বলেছিল ইলিশ কিনে রাখতে। আমি রেখেছিলামও… কিন্তু এখন কে খাবে সেই ইলিশ?’
এদিকে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত আবুল কালামের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। নিহতের পরিবারে কর্মক্ষম কোনো ব্যক্তি থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
প্রকৌশল সূত্র জানায়, বিয়ারিং প্যাড বা কম্পন নিয়ন্ত্রণ স্প্রিং মূলত ট্রেন চলাচলের সময় লাইনের কম্পন শোষণ করে কাঠামোর স্থিতি বজায় রাখে। এসব যন্ত্রাংশের বোল্ট সংযোগ মাসিকভাবে পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু নিয়মটি মানা হয়নি। দীর্ঘদিনের কম্পনের কারণে স্প্রিংটি আলগা হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সড়ক পরিবহন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এটি সবচেয়ে মজবুত ও টেকসই হওয়ার কথা ছিল। যথাযথ ব্যয় ও পরিশ্রমের পরও যারা নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অবশ্যই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। তারা জানতেন— যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে, তবুও অবহেলা করেছেন।
দায়িত্বশীলদের অবহেলায় এভাবে প্রাণ হারাতে হবে, তা হয়তো ভাবেননি কালাম। কিন্তু জীবনের নানা বাঁকেই লড়াই করতে করতে যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তা ফেসবুকে কালামের শেষ স্ট্যাটাসেই স্পষ্ট। লিখেছিলেন, ‘ইচ্ছে তো অনেক। আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।।’
কালাম কি বুঝতে পেরেছিলেন, এ স্ট্যাটাস দেওয়ার পরদিনই তাকে চিরতরে ছেড়ে যেতে হবে জীবনকে!

মাহফুজ আলম গণমাধ্যম সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন বলেন, ‘ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া পলিসি’ এবং ‘সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন’ অচিরেই মন্ত্রিসভায় তোলার প্রস্তুতি চলছে। সরকার অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর জন্য একটি নীতিমালা করে রেখে যাবে এবং যেসব পত্রিকা নিয়মিত ছাপা হয় না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ন
৭ ঘণ্টা আগে
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ১ জন রয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
এর আগে, ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়। নিহত ওই পথচারীর নাম আবুল কালাম। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নরিয়ায়।
৯ ঘণ্টা আগে