top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

আবু সাঈদের জীবনদান ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

আবু সাঈদের জীবনদান ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

বিশিষ্ট কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে আবু সাঈদ বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। শহিদ আবু সাঈদ প্রবেশ করেছে এক অবিনশ্বর জীবনে। আবু সাঈদের জীবনদানকে দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-দার্শনিক ঘটনা বলে অভিহিত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘গণঅভ্যুত্থানত্তোর আলাপচারিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তক, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদের মধ্যে একটা অভিপ্রায় ছিল। এই অভিপ্রায়টি নিজের জন্য নয় বরং সামষ্টিক, যার বাস্তবায়ন সে দেখতে চেয়েছে। এই সামষ্টিক অভিপ্রায়টা ছিল গণঅভ্যুত্থান। আবু সাঈদের আত্ম-বলিদানের কারণে তার নাম শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে আলোচিত হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ফরহাদ মজহার বলেন, যদি আমরা বিশ্বসভায় শক্তিশালী স্থান অর্জন করতে চাই, তাহলে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উঁচু স্তরে পৌঁছাতে হবে।

আলোচনা সভায় বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, মৃত্যুর সামনে আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত ছবি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি বলেন, শহিদ আবু সাঈদের কর্ম ও চিন্তা সারা পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকবে।

প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী দিনে শহিদ আবু সাঈদের এই বিশ্ববিদ্যালয় (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়) দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের আসনে অধিষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আলোচনা সভায় গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক বক্তব্য রাখেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

r1 ad
top ad image