রাজশাহী ব্যুরো
এনজিও ও স্থানীয় সুদকারবারিদের ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে রাজশাহীতে এবার আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার ভোরে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিজ গ্রামের পান বরজেই গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
নিহত আকবর হোসেন খাড়ইল গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। তার পরিবারে দুই ছেলে—সুজন শাহ (৩০) ও সুমন শাহ (১৮)। বাবার মৃত্যুর পর হতাশায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
জানা যায়, পানের চাষ করেই চলতো আকবরের সংসার। কিন্তু চলতি মৌসুমে পান বিক্রি করে কোনো আয় হয়নি। বাজারে পান অস্বাভাবিকভাবে সস্তায় বিক্রি হওয়ায় দেনার বোঝা আরও বেড়ে যায়। তার মাথার ওপর ছিল অন্তত ১১টি এনজিও এবং স্থানীয় মহাজনদের প্রায় ৬–৭ লাখ টাকার ঋণ।
আকবর হোসেনের ছেলে সুজন শাহ (৩০) জানান, তার বাবা অন্তত চার লাখ টাকা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এর বাইরে সুদের টাকার বোঝা ছিল কয়েক লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহেই প্রায় ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। কিন্তু পান বিক্রি করে কোনো আয় না হওয়ায় ঋণ শোধ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, “এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন এসে কিস্তির টাকা চাইতো। বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। অপমান আর ঋণের চাপ সইতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।”
জানা যায়, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ভার্ক, ডিএফইডি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিক, ইএসডিও, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) ও গণ-উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক) নামের অন্তত ১১টি এনজিওতে আকবর হোসেনের ঋণ ছিল।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এনজিওর কিস্তির চাপ গ্রামীণ দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন শোষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কৃষকরা ফসল ফলালেও বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “আকবর হোসেন কৃষক মানুষ ছিলেন। পান চাষে লোকসান হওয়ায় ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবার ময়নাতদন্ত ও মামলা দুটোরই বিরোধিতা করছে।
ওসি বলেন, “যদি পরিবার এনজিওর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করে, আমরা ব্যবস্থা নেব।”
উল্লেখ্য, মাত্র চার দিন আগেই, গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে মিনারুল নামে এক ব্যক্তি ‘ঋণের চাপ ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছিলেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঋণ সংকটে প্রাণ দিলেন রাজশাহীর এক আরেক কৃষক।
এনজিও ও স্থানীয় সুদকারবারিদের ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে রাজশাহীতে এবার আকবর হোসেন (৫০) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার ভোরে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিজ গ্রামের পান বরজেই গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
নিহত আকবর হোসেন খাড়ইল গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। তার পরিবারে দুই ছেলে—সুজন শাহ (৩০) ও সুমন শাহ (১৮)। বাবার মৃত্যুর পর হতাশায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
জানা যায়, পানের চাষ করেই চলতো আকবরের সংসার। কিন্তু চলতি মৌসুমে পান বিক্রি করে কোনো আয় হয়নি। বাজারে পান অস্বাভাবিকভাবে সস্তায় বিক্রি হওয়ায় দেনার বোঝা আরও বেড়ে যায়। তার মাথার ওপর ছিল অন্তত ১১টি এনজিও এবং স্থানীয় মহাজনদের প্রায় ৬–৭ লাখ টাকার ঋণ।
আকবর হোসেনের ছেলে সুজন শাহ (৩০) জানান, তার বাবা অন্তত চার লাখ টাকা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এর বাইরে সুদের টাকার বোঝা ছিল কয়েক লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহেই প্রায় ৫ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। কিন্তু পান বিক্রি করে কোনো আয় না হওয়ায় ঋণ শোধ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, “এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন এসে কিস্তির টাকা চাইতো। বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। অপমান আর ঋণের চাপ সইতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।”
জানা যায়, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ভার্ক, ডিএফইডি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিক, ইএসডিও, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) ও গণ-উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক) নামের অন্তত ১১টি এনজিওতে আকবর হোসেনের ঋণ ছিল।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এনজিওর কিস্তির চাপ গ্রামীণ দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন শোষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কৃষকরা ফসল ফলালেও বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “আকবর হোসেন কৃষক মানুষ ছিলেন। পান চাষে লোকসান হওয়ায় ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবার ময়নাতদন্ত ও মামলা দুটোরই বিরোধিতা করছে।
ওসি বলেন, “যদি পরিবার এনজিওর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করে, আমরা ব্যবস্থা নেব।”
উল্লেখ্য, মাত্র চার দিন আগেই, গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে মিনারুল নামে এক ব্যক্তি ‘ঋণের চাপ ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছিলেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঋণ সংকটে প্রাণ দিলেন রাজশাহীর এক আরেক কৃষক।
তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
৪ ঘণ্টা আগেলিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।
৫ ঘণ্টা আগেসাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেনাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে