চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ২

রাজশাহী ব্যুরো

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে নেত্রকোনা ও ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ৷

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. আলমগীর (৩৪) ও তার ভাই রাজীব হোসেন (২১)। মো. আলমগীর চলন্ত বাসে ডাকাতির মূল হোতা ও ডাকাত দলের সর্দার বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, রিমান্ডপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলামের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলহোতা আলমীরকে নেত্রকোনার পূর্বাধলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আলমগীরের তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাই রাজীবকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এসময় তাদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, ৪ হাজার ২১০ টাকা, ২টি ছোড়া, ২টি রুপার আংটি, এনআইডি কার্ড, এটিএম কার্ডসহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

এসপি বলেন, আন্তজেলা ডাক্তার চক্রের মূলত হোতা আলমগীর৷ তিনি দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিলেন৷ গ্রেপ্তার আলমগীর প্রাথমিকভাবে বাস ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে৷

তিনি আরো বলেন, লুন্ঠনের সময় শ্লীলতাহানি হয়েছে এখন পর্যন্ত এমন তথ্য পেয়েছি৷ তবে প্রাথমিকভাবে বাস ডাকাতির সময় ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টার কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি৷

পুলিশ সুপার বলেন, মূলহোতা আলমগীরকে ৭ দিন ও তার ভাই রাজীবকে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে৷ এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সাভারের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাতে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার সবুজ ও শরীফুজ্জামানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট নওরিন করিম। অপরদিকে গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলামের পাঁচদিনের রিমান্ড চলছে।

এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার (এএসআই) আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তিনদিন পর শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় নাটোরের বাসিন্দা ওমর আলী নামের এক যাত্রী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত মধ্যরাতে ইউনিক রোড রয়েলসের বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানি করার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে চালক বাস নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এসময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৬ ওষুধের দোকানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

অভিযান শেষে ইউএনও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অসাধু উপায়ে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রাথমিকভাবে ফার্মেসি মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির জন্যই এ অভিযান। সামনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

১৮ ঘণ্টা আগে

পটুয়াখালীতে ডিবিবিএলের বুথ ডাকাতির চেষ্টায় মূল হোতা গ্রেপ্তার

এ ঘটনায় এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা নিতে না পারলেও বুথটি ভাঙচুর করে মালামাল লুট করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক চুরির ঘটনায় মামলা রয়েছে।

১৯ ঘণ্টা আগে

বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে রংপুর অঞ্চলের আমন আবাদে

১ দিন আগে

অনিবার্য কারণে রাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ ঘোষণা

১ দিন আগে