
রাজশাহী ব্যুরো

কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলা করা হয়েছে। কারাগারে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে মামলার আবেদনে আসামি হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, ফজলে নূর তাপস, ফজলে শামস পরশসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিএনপি নেতা পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তৎকালীন পিপি মোশারফ হোসেন কাজল, সাবেক এমপি হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, পুলিশের তৎকালীন আইজিপি, তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার, জেলার ফোরকান ওয়াহিদ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেলার শাহাদাত, সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, রাজশাহী কারাগারের চিকিৎসক আবু সায়েম, রাজশাহী কারাগারের তৎকালীন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বানী, হাজারীবাগের মনির হোসেন, এএস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফ, আলী আহাম্মদ, হিরু কামাল, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর হাজী হাসান পিল্লু, বিপ্লব আহমেদ, বিডিআর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ ও রাজশাহীর তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন বজলুর রহমান। এছাড়া অজ্ঞাত আরও আসামি আছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি করা হয়। এ মামলায় ওই বছরেরই ৩ জুন পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও আদালত এ মামলার রায়ে নাসির উদ্দিন পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে পিন্টুকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার কল্পনা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতে পিটিশনও দাখিল করেন তিনি। আদালত নিজ খরচে পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আদালতের চিঠি পেয়ে ২০১৫ সালের ২ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইছ উদ্দিন কারাগারে গেলেও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার অজুহাতে পিন্টুকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। পরদিন তিনি মারা যান। তবে রাজশাহীর তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ ওই সময় নাসির উদ্দিন পিন্টুর মারা যাওয়ার ঘটনাকে ‘নরমাল ডেথ’ বলে প্রচার করেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর রাজনৈতিক উত্থানে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব শূন্য করার উদ্দেশ্যে আসামিরা তাকে হত্যা করে এবং হত্যায় সহযোগিতা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়।
মামলার বাদী পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন। মামলার পর তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে হাজি সেলিমকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তার ভাই। পরাজয়ের পর এতে তিনি ঈর্ষান্বিত হন। ক্ষমতায় আসার পর হাজি সেলিমসহ অন্যরা তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিডিআর হত্যা মামলার আসামি করেছিলেন। তাদের পরিকল্পনাতেই আমার ভাই পিন্টুকে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়।
বাদীর আইনজীবী আব্দুল মালেক রানা জানান, আদালত হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলা করা হয়েছে। কারাগারে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে মামলার আবেদনে আসামি হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, ফজলে নূর তাপস, ফজলে শামস পরশসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিএনপি নেতা পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তৎকালীন পিপি মোশারফ হোসেন কাজল, সাবেক এমপি হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, পুলিশের তৎকালীন আইজিপি, তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার, জেলার ফোরকান ওয়াহিদ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জেলার শাহাদাত, সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, রাজশাহী কারাগারের চিকিৎসক আবু সায়েম, রাজশাহী কারাগারের তৎকালীন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বানী, হাজারীবাগের মনির হোসেন, এএস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফ, আলী আহাম্মদ, হিরু কামাল, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর হাজী হাসান পিল্লু, বিপ্লব আহমেদ, বিডিআর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ ও রাজশাহীর তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন বজলুর রহমান। এছাড়া অজ্ঞাত আরও আসামি আছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি করা হয়। এ মামলায় ওই বছরেরই ৩ জুন পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও আদালত এ মামলার রায়ে নাসির উদ্দিন পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে পিন্টুকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার কল্পনা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতে পিটিশনও দাখিল করেন তিনি। আদালত নিজ খরচে পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আদালতের চিঠি পেয়ে ২০১৫ সালের ২ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইছ উদ্দিন কারাগারে গেলেও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার অজুহাতে পিন্টুকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। পরদিন তিনি মারা যান। তবে রাজশাহীর তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ ওই সময় নাসির উদ্দিন পিন্টুর মারা যাওয়ার ঘটনাকে ‘নরমাল ডেথ’ বলে প্রচার করেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর রাজনৈতিক উত্থানে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব শূন্য করার উদ্দেশ্যে আসামিরা তাকে হত্যা করে এবং হত্যায় সহযোগিতা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়।
মামলার বাদী পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন। মামলার পর তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে হাজি সেলিমকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তার ভাই। পরাজয়ের পর এতে তিনি ঈর্ষান্বিত হন। ক্ষমতায় আসার পর হাজি সেলিমসহ অন্যরা তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিডিআর হত্যা মামলার আসামি করেছিলেন। তাদের পরিকল্পনাতেই আমার ভাই পিন্টুকে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়।
বাদীর আইনজীবী আব্দুল মালেক রানা জানান, আদালত হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দলীয় পদ হারানোর এক বছর ১০ মাস পর আবারও ‘ঘরে ফিরলেন’ রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকাকেন্দ্রিক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন।
১ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেট সংলগ্ন একটি খাবার হোটেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুখোশধারী একদল হামলাকারী। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনা ক্যাম্পাসজুড়ে চাঞ্চল্য ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না—২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা তার প্রমাণ দেখেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে ক্ষমতাসীনরা দানবে পরিণত
২ দিন আগে
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিমন মিয়ার আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ দিন আগে