নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বারুইগ্রাম চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত পশু বেচাকেনার হাটের যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে উচ্চ আদালতের সে স্থগিতাদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আগের মতোই পশুর হাট বসানো হয়েছে।
গত ২১ জুলাই হাইকোর্ট হাটের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতি বৃহস্পতিবার করে চলে আসা হাটটি গতকাল বৃহস্পতিবারও (২৪ জুলাই) বসেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই হাটের কোনো বৈধতা নেই। সরকারি কোনো নথিতে হাটটি তালিকাভুক্ত নয়। তারপরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারি দলটির স্থানীয় কিছু নেতার ছত্রছায়ায় হাটটি পরিচালিত হতো, যেখান থেকে উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাও ‘ভাগ’ পেতেন বলে অভিযোগ রয়েছেই। সে কারণেই অবৈধ হলেও বছরের পর বছর এ হাট চলে আসছে।
অবৈধ হাটটি বাতিল করার জন্য নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আল আমিন খান গম ২১ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। ২১ জুলাই বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানি হয়।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট হাটের যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। পাশপাশি কেন হাটটি বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) প্রতি রুল ইস্যু করেন।
তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার আগের মতোই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তার গোল চত্বরের পশ্চিমউত্তর দিকে বারুইগ্রাম চৌরাস্তায় হাটটি বসানো হয়। আগের মতোই গরু-ছাগলের উপস্থিতিতে জমজমাট ছিল হাটটি।
রিটকারী আল আমিন খান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বারুগ্রাম চৌরাস্তায় গিয়ে দেখি, আগের মতোই হাট বসেছে। পশু বেচাকেনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের কোনো প্রভাব পড়তে দেখিনি।
নথিপত্র ঘেঁটে ও রিট আবেদনকারীর দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বারুইগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতে অবস্থিত। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ ব্যয় করে সওজের জলাভূমি ভরাট করে সেখানে পশু বেচাকেনার হাট গড়ে তোলা হয়। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় হাটটি দ্রুতই জমজমাট হয়ে উঠে। এ হাটের কারণে উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজারের বৈধ পশুর হাটটি ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় এই হাটের নাম না থাকায় হাটের হাসিল থেকে আদায় করা লাখ লাখ টাকার কিছুই সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সেই টাকা ভাগাভাগি হতো বলে প্রচার রয়েছে।
রিটকারী আল আমীন খান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, প্রশাসন ও রাজনৈতিক মদতে দিনের পর দিন বারুইগ্রাম চৌরাস্তার অবৈধ হাটটি চলে আসছে। এই হাটের কারণে চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজারের বৈধ হাটটি বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু অবৈধ হাট বন্ধের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আবেদন করেও সাড়া পাইনি। এখন তো হাইকোর্টের আদেশও কেউ মানছে না।
হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে হাট কীভাবে বসল— জানতে চাইলে নান্দাইলের ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, উচ্চ আদালতের কোনো আদেশ হাতে পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নান্দাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়জুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জবাবে বলেন, বারুইগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি আমার পেরিফেরিভুক্ত নয়। ফলে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বারুইগ্রাম চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত পশু বেচাকেনার হাটের যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে উচ্চ আদালতের সে স্থগিতাদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আগের মতোই পশুর হাট বসানো হয়েছে।
গত ২১ জুলাই হাইকোর্ট হাটের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতি বৃহস্পতিবার করে চলে আসা হাটটি গতকাল বৃহস্পতিবারও (২৪ জুলাই) বসেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই হাটের কোনো বৈধতা নেই। সরকারি কোনো নথিতে হাটটি তালিকাভুক্ত নয়। তারপরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারি দলটির স্থানীয় কিছু নেতার ছত্রছায়ায় হাটটি পরিচালিত হতো, যেখান থেকে উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাও ‘ভাগ’ পেতেন বলে অভিযোগ রয়েছেই। সে কারণেই অবৈধ হলেও বছরের পর বছর এ হাট চলে আসছে।
অবৈধ হাটটি বাতিল করার জন্য নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আল আমিন খান গম ২১ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। ২১ জুলাই বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানি হয়।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট হাটের যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। পাশপাশি কেন হাটটি বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) প্রতি রুল ইস্যু করেন।
তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার আগের মতোই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তার গোল চত্বরের পশ্চিমউত্তর দিকে বারুইগ্রাম চৌরাস্তায় হাটটি বসানো হয়। আগের মতোই গরু-ছাগলের উপস্থিতিতে জমজমাট ছিল হাটটি।
রিটকারী আল আমিন খান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বারুগ্রাম চৌরাস্তায় গিয়ে দেখি, আগের মতোই হাট বসেছে। পশু বেচাকেনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের কোনো প্রভাব পড়তে দেখিনি।
নথিপত্র ঘেঁটে ও রিট আবেদনকারীর দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বারুইগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতে অবস্থিত। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দ ব্যয় করে সওজের জলাভূমি ভরাট করে সেখানে পশু বেচাকেনার হাট গড়ে তোলা হয়। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় হাটটি দ্রুতই জমজমাট হয়ে উঠে। এ হাটের কারণে উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজারের বৈধ পশুর হাটটি ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় এই হাটের নাম না থাকায় হাটের হাসিল থেকে আদায় করা লাখ লাখ টাকার কিছুই সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সেই টাকা ভাগাভাগি হতো বলে প্রচার রয়েছে।
রিটকারী আল আমীন খান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, প্রশাসন ও রাজনৈতিক মদতে দিনের পর দিন বারুইগ্রাম চৌরাস্তার অবৈধ হাটটি চলে আসছে। এই হাটের কারণে চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজারের বৈধ হাটটি বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু অবৈধ হাট বন্ধের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আবেদন করেও সাড়া পাইনি। এখন তো হাইকোর্টের আদেশও কেউ মানছে না।
হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে হাট কীভাবে বসল— জানতে চাইলে নান্দাইলের ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, উচ্চ আদালতের কোনো আদেশ হাতে পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নান্দাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়জুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জবাবে বলেন, বারুইগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি আমার পেরিফেরিভুক্ত নয়। ফলে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
ওই নারীর নাম ফিরোজা (ছদ্মনাম) আক্তার (৩২)। নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে তার স্বামীর দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে থানা ও আদালতে মামলা-মোকদ্দমা চলছে।
১৮ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির টহল দল ওই ২১ জনকে আটক করে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেখেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন নারী। বাকি ১১ জন শিশু।
১ দিন আগেপ্রায় ১৪ বছর পর নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা ও মোহনগঞ্জ পৌর শাখা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেএ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুতের তার ঝুলে ছিল। বিষয়টি খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
২ দিন আগে