রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি পৌর এলাকায় ৪৬ ঘণ্টা পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সদর থেকে সব রুটে যান বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরের অভ্যন্তরীণ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি অটোরিকশাসহ সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন হওয়ায় এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে বেশি। চাকরিজীবী মানুষকে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তবে গতকাল থেকে এই পর্যন্ত আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে রাঙ্গামাটি পৌর এলাকায় জারিকৃত ১৪৪ ধারা দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার জেরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সম্প্রীতি সভা ডেকেছেন জেলা প্রশাসক।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ডাকা শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসুচি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এর আগে শুক্রবার পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
রবিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা দোষীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে একটি কমিটি কাজ করছে বলে জানান।
অন্যদিকে অবরোধের কারণে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জানান, শুক্রবার সকাল এবং দুপুরের স্কর্ট মিলিয়ে ১১০-১১৫টি জিপ, ৫০টি মাহিন্দ্রা ও সিএনজি সাজেকে প্রবেশ করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও অনেকে গেছেন। হঠাৎ অবরোধের ঘোষণা আসাতে পর্যটকরা আর ফিরতে পারেননি। গতকাল থেকেই পর্যটকরা সাজেকেই কাটাচ্ছেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় জানান, সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১৪০০ এর মতো পর্যটক অবস্থান করছেন। যেহেতু পর্যটকরা ফিরে যেতে পারেননি, তাই রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটকদের থাকার খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় পর্যটকদের কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। সাজেকে পর্যটকরা আটকা পড়েছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা সকলে নিরাপদে ও সুস্থ আছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানান, পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আপাতত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি পৌর এলাকায় ৪৬ ঘণ্টা পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সদর থেকে সব রুটে যান বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরের অভ্যন্তরীণ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি অটোরিকশাসহ সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন হওয়ায় এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে বেশি। চাকরিজীবী মানুষকে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তবে গতকাল থেকে এই পর্যন্ত আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে রাঙ্গামাটি পৌর এলাকায় জারিকৃত ১৪৪ ধারা দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার জেরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সম্প্রীতি সভা ডেকেছেন জেলা প্রশাসক।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ডাকা শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসুচি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এর আগে শুক্রবার পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
রবিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা দোষীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে একটি কমিটি কাজ করছে বলে জানান।
অন্যদিকে অবরোধের কারণে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জানান, শুক্রবার সকাল এবং দুপুরের স্কর্ট মিলিয়ে ১১০-১১৫টি জিপ, ৫০টি মাহিন্দ্রা ও সিএনজি সাজেকে প্রবেশ করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও অনেকে গেছেন। হঠাৎ অবরোধের ঘোষণা আসাতে পর্যটকরা আর ফিরতে পারেননি। গতকাল থেকেই পর্যটকরা সাজেকেই কাটাচ্ছেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় জানান, সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১৪০০ এর মতো পর্যটক অবস্থান করছেন। যেহেতু পর্যটকরা ফিরে যেতে পারেননি, তাই রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটকদের থাকার খরচ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, অবরোধের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় পর্যটকদের কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। সাজেকে পর্যটকরা আটকা পড়েছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা সকলে নিরাপদে ও সুস্থ আছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানান, পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আপাতত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযান শেষে ইউএনও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অসাধু উপায়ে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রাথমিকভাবে ফার্মেসি মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির জন্যই এ অভিযান। সামনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৪ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা নিতে না পারলেও বুথটি ভাঙচুর করে মালামাল লুট করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক চুরির ঘটনায় মামলা রয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে