শীর্ষ নেতাদের ‘মুখ সামলাতে’ বেগ পাচ্ছে বিএনপি

শাহরিয়ার শরীফ
টকশো-অনুষ্ঠানে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্য বিতর্ক উসকে দিচ্ছে, তৈরি করছে সমালোচনা। ছবি কোলাজ: রাজনীতি ডটকম

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মানসিকভাবে ফুরফুরে বিএনপির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংঘাত-সহিংসতা, চাঁদাবাজি, দখলের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর প্রবণতা। এসব ঘটনায় জড়িত কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

এর মধ্যে বিএনপির জন্য উপদ্রব হয়ে হাজির হয়েছে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের লাগামহীন বক্তব্য। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে দলের ভেতরে-বাইরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে জুলাই আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা তরুণদের নিয়েও কটাক্ষ করছেন বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডকে।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে উপদেষ্টা ও অন্যান্য সারির যেসব নেতা ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন, তাদের কয়েকজনকে এরই মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। সবশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে, যিনি আবার একসময় ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি। ‘বাগযুদ্ধে’ সবচেয়ে বেশি সমালোচনার জন্ম দেওয়া থেকে এ নেতাকে রোববার (২৪ আগস্ট) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন প্রেক্ষাপটে মন খুলে কথা বলতে গিয়ে অনেক অতিউৎসাহী রাজনীতিক বেফাঁস কথাবার্তা বলছেন। নির্বাচন সামনে রেখে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতে এমন কথা বলতে পারেন। তবে দল হিসেবে বিএনপিকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘এখন নতুন কনটেক্সটে (পটভূমি) মুক্ত পরিবেশে কথা বলতে গিয়ে অনেকেই লাগামহীন হয়ে পড়ছেন। হতে পারে নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের জাহির করতেই দল থেকে সতর্ক করার পরও বিতর্কিত বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু এতে যে তাদের ক্ষতি হচ্ছে, সেটি হয়তো তারা বুঝতে পারছে না। এর প্রভাব নির্বাচনেও পড়বে। ভুক্তভোগী বিএনপিকেও হতে হবে।’

বিএনপিও বলছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল নেতারা এসব ‘বেফাঁস’ বক্তব্য দিলেও সেগুলো বিএনপির দলীয় বক্তব্য নয়। এ কারণেই দল থেকে নেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে, নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘যারা অতিউৎসাহী হয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসব কথাবার্তা বিব্রত করে। বিএনপি এসব বক্তব্য ধারণ করে না বলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

দুদু-বুলু-হাবিবের বক্তব্যে সমালোচনার ঝড়

এর আগে এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর এক বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রস্রাব করলে এনসিপি ভেসে যাবে— এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক ট্রল হয়।

বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এনসিপি নেতাদের বলেছিলেন, তারা তারেক রহমানের নাম নেওয়ার আগে যেন ওজু করেন। তার এ বক্তব্য ব্যাপক সমালোচিত হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। বুলু সবশেষ খালেদা জিয়া নোবেল পাওয়ার যোগ্য দাবি করে রোববার বক্তব্য দিয়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা টকশোতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘বীভৎস মববাজি’ বলে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। রোববার নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে অংশ নেওয়ার সময় এনসিপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তার নেতাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনাও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব গত ৯ আগস্ট এক বক্তব্যে বলেন, ‘ধানের শীষের বাইরে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার কথা বলে সেখান থেকে কেউ সুস্থভাবে ফিরে আসতে পারবে, আমার কাছে সেটা মনে হয় না।’

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে স্লোগান নিয়ে হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘যারা এই স্লোগান দেবে তাকে ধরে হাতের কাছে দা, কুড়াল, চাকু যা থাকবে তাই দিয়ে জিহ্বা কেটে কালো কুকুর দিয়ে খাওয়াবেন। মামলা হলে আমার নামে হবে।’

অবশ্য হাবিবুর রহমান হাবিবের দাবি, তার বক্তব্যের অসম্পূর্ণ অংশ ছড়িয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। এ জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।

জানতে চাইলে রাজনীতি ডটকমকে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার দল, নেত্রী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলবে, বিএনপিকে কটাক্ষ করে স্লোগান দেবে, আর আমি চুপ করে থাকব? আমি মনে করি দলের স্বার্থ পরিপন্থি কোনো কথা আমি বলি না। কর্মীদের ধানের শীষ ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে নিষেধ করলেও যদি সমালোচনা হয় তাহলে কিছু বলার নেই। দল তো জানে আমি ভুল কিছু বলছি না।’

সবাইকে ‘ছাড়িয়ে গেছেন’ ফজলুর রহমান

ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ হয়ে বিএনপিতে আসা ফজলুর রহমান অন্তবর্তকালীন সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। সবশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরকে দায়ী করে টকশোতে বক্তব্য দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

বিএনপি যেখানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দাবি করছে সেখানে ফজলুর রহমানের ভাষ্য, ‘এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মূল পরিকল্পনাকারী ‘কালো শক্তি’ জামায়াত।’

ফজলুর রহমানের এমন বক্তব্যে ছড়িয়ে পড়লে দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন তার কুশপুতুল দাহ করেছে। এ বিএনপি নেতার গ্রেপ্তারও দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।

বিতর্ক উসকে দেওয়া বক্তব্য অবশ্য ফজলুর রহমান এই প্রথম নয়। বরং শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে নানা ইস্যুতে বিএনপির যেসব কেন্দ্রীয় নেতা ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়েছেন তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ফজলুর রহমান।

গত ডিসেম্বরে এক বক্তব্যে ইউনূস সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আপনি দেশ চালাইবেন, নাক টিপলে দুধ বের হবে, কে আপনি?’

‘হাসিনা খারাপ, আওয়ামী লীগ খারাপ না’— গত জুলাইয়ে এমন বক্তব্য রেখে সমালোচনায় পড়েছিলেন ফজলুর রহমান।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের আগে ফজলুর রহমানের বক্তব্য ছিল, ‘ইউনূস সাহেব যখন বাংলাদেশের সমস্ত পথ হারাইয়া ফেলছেন, উনি পথ পাওয়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের কাছে ১২ ঘণ্টা প্লেন চালাইয়া লন্ডন পর্যন্ত গেছেন।’

‘৫০০ টাকার জায়গায় ১০০০ টাকা দিলে ওয়াজের বা মোনাজাতের ভাষা পরিবর্তন হয়ে যায়’— আলেমদের কটাক্ষ করে টকশোতে এমন বক্তব্যও দিয়েছেন এই আইনজীবী।

ফজলুর রহমানের আর বিভিন্ন বক্তব্য ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হলেও সব বক্তব্যকে ছাড়িয়ে গেছে তার ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যটি। গণঅভ্যুত্থানভিত্তিক বৃহত্তর রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’র ব্যানারে ৯৭টি সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়ে তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

খোদ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারাই ফজলুর রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করছেন। তাদের অনেকে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরাই বলছেন, ফজলুর রহমানকে শুরুর দিকে দল থেকে সতর্ক করা হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ফজলু ভাইর কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে মাফ চাই। বিএনপিকে মাফ করে দেন ভাই।’

অবশেষে শোকজ

দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও বরকত উল্লাহ বুলুকে তাদের বক্তব্যের জন্য চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে বিএনপি। বিতর্কিত ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়— এমন বক্তব্য না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে। তবে এসব নেতাদের মধ্যে বেশি আলোচনায় থাকা ফজলুর রহমানকে এতদিনেও সতর্ক করেনি দলটি।

শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে দেওয়া বক্তব্যের জেরে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠলে তাকে দল থেকে কড়া ভাষায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এতে বলা হয়েছে, আপনি গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন উল্লেখ করে ফজলুর রহমানকে এসব নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

যার বক্তব্য নিয়ে ওত তোলপাড় সেই ফজলুর রহমানের দাবি, তার কাছে শোকজের কপি পৌঁছায়নি। হাতে পেলে এ নিয়ে কথা বলবেন।

রাজনীতি ডটকমকে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে কেন শোকজ করা হয়েছে জানি না। শোকজের কপি হাতে পাইনি। আগে হাতে পাই, পরে এ নিয়ে কথা বলতে পারব।’

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

দল আমার ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত দেবে, মাথা পেতে মেনে নেব: ফজলুর রহমান

রাজধানীতে তার ভাড়া বাসার সামনে কিছু ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে তিনি মবের শিকারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ সম্পের্কে ফজলুর রহমান বলেন, আমার এ দেশে নিশ্চিন্তে বাঁচার অধিকার রয়েছে। এটা আমার মৌলিক অধিকার। আমি দেখছি এই অধিকারের ওপর বাধা পড়ছে।

৫ ঘণ্টা আগে

পিআর নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান

প্রায় ৫০ মিনিট রাখা দীর্ঘ বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য কঠিন হবে। কারণ বিএনপিকে এখন অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। বিএনপি একদিকে দাঁড়িয়েছে, আর একদিকে দাঁড়িয়েছে দেশের সব ষড়যন্ত্রকারী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধের শক্তি এবং বিদেশি

৬ ঘণ্টা আগে

যে কোনো নারীর প্রতি 'স্লাটশেমিংয়ের' বিরুদ্ধে হাসনাত আব্দুল্লাহ

পোস্টে তিনি লেখেন, নারীর রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, সে বিএনপির হোক, এনসিপির হোক,বামপন্থি হোক, ডানপন্থি হোক কিংবা দলবিহীন, তার শরীর, সম্পর্ক, পোশাক বা ব্যক্তিগত জীবন টেনে এনে স্লাটশেমিং করার অধিকার কেউ পায় না। এটা রাজনীতি নয়, এটা পুরুষতান্ত্রিক ঘৃণার সবচেয়ে নোংরা প্রকাশ।

৭ ঘণ্টা আগে

ময়নামতির আদি ইতিহাস: প্রাচীন বাংলার অমূল্য দলিল

প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর স্থানীয় স্বাধীন রাজ্যগুলো ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম এখানে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে এবং সেই সময়েই ময়নামতিতে গড়ে ওঠে অসংখ্য বৌদ্ধ মঠ ও মহাবিহার। ইতিহাসবিদদের মতে, এই অঞ্চল একসময় পাল রাজবংশ ও পরবর্তীতে সে

১০ ঘণ্টা আগে