
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি না হওয়ার অভিযোগ তুলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। চলমান রাজনৈতিক সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের আহ্বায়ক মোস্তফা আলমগীর রতনের সই করা এক বিবৃতিতে দলের এ অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে জনগণের দাবি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিও সেই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে একটি ভয়ভীতিহীন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, ভোটার ও প্রার্থীসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের নিরাপত্তা প্রত্যাশাসহ একটি অবাধ-সুষ্ঠু-অর্ন্তভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রত্যাশ্যা করে এর প্রস্তুতিও নিয়েছিল। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশাব্যঞ্জক বক্তব্যের পরও বাস্তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো ক্রমেই অনিশ্চিত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রথমত নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ একাধিক দলকে নির্বাচন প্রস্তুতিকালীন সংলাপে ডাকা হয়নি, এমনকি আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হলেও তাতে কোনো কার্যকর সাড়া পাওয়া যায়নি।
তফসিল ঘোষণার পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, গার্মেন্টস কর্মী দিপু দাসকে হত্যার মতো ঘটনাসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে। মাজার, খানকা, বাউল ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এতে নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
নির্বাচন জামানতসহ সিডি কেনার শর্ত ও অর্থ নির্ধারণের মাধ্যমে কালো টাকা উৎসারিত দল ও ব্যক্তিদের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, গণমানুষ, সৎ, যোগ্য মানুষকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা অবাধ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে অনুমোদন দেয় না। এ ছাড়া কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের কোনো প্রতিপালন দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছে দলটি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় নির্বাচনি সহিংসতার শঙ্কা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় দখল হয়ে গেলেও কারও কাছ থেকেই সে বিষয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষ আচরণ না করা, দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ শীর্ষ নেতাদের ‘গায়েবি মিথ্যা মামলা’য় আটক রাখা হলেও নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার মতো অভিযোগও তুলেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
দলটি বলছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। সরকার দেশের জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশের ভোটারদের দলকে ও ভোটারদের নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হবে না। এ ছাড়া দলটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, রাজনৈতিক সংকট এড়িয়ে দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা আসবে না, দেশ নতুন সংকটে পতিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সর্বোচ্চ উদ্যোগ রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণে করার চেষ্টা করলেও চলমান পরিস্থিতি নির্বাচনের পথে অন্তরায়। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলটি আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে ১৯৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি না হওয়ার অভিযোগ তুলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। চলমান রাজনৈতিক সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের আহ্বায়ক মোস্তফা আলমগীর রতনের সই করা এক বিবৃতিতে দলের এ অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে জনগণের দাবি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিও সেই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে একটি ভয়ভীতিহীন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, ভোটার ও প্রার্থীসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের নিরাপত্তা প্রত্যাশাসহ একটি অবাধ-সুষ্ঠু-অর্ন্তভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রত্যাশ্যা করে এর প্রস্তুতিও নিয়েছিল। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশাব্যঞ্জক বক্তব্যের পরও বাস্তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো ক্রমেই অনিশ্চিত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রথমত নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ একাধিক দলকে নির্বাচন প্রস্তুতিকালীন সংলাপে ডাকা হয়নি, এমনকি আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হলেও তাতে কোনো কার্যকর সাড়া পাওয়া যায়নি।
তফসিল ঘোষণার পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, গার্মেন্টস কর্মী দিপু দাসকে হত্যার মতো ঘটনাসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়েছে। মাজার, খানকা, বাউল ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এতে নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
নির্বাচন জামানতসহ সিডি কেনার শর্ত ও অর্থ নির্ধারণের মাধ্যমে কালো টাকা উৎসারিত দল ও ব্যক্তিদের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, গণমানুষ, সৎ, যোগ্য মানুষকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা অবাধ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে অনুমোদন দেয় না। এ ছাড়া কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের কোনো প্রতিপালন দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছে দলটি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় নির্বাচনি সহিংসতার শঙ্কা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় দখল হয়ে গেলেও কারও কাছ থেকেই সে বিষয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষ আচরণ না করা, দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ শীর্ষ নেতাদের ‘গায়েবি মিথ্যা মামলা’য় আটক রাখা হলেও নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার মতো অভিযোগও তুলেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
দলটি বলছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। সরকার দেশের জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশের ভোটারদের দলকে ও ভোটারদের নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হবে না। এ ছাড়া দলটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, রাজনৈতিক সংকট এড়িয়ে দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা আসবে না, দেশ নতুন সংকটে পতিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সর্বোচ্চ উদ্যোগ রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণে করার চেষ্টা করলেও চলমান পরিস্থিতি নির্বাচনের পথে অন্তরায়। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলটি আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে ১৯৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন,বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেয়েছে, তাই আজ আনন্দের দিন। আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার পথে হাঁটছি। এই আনন্দ সবার।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনসিপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। দলে তাকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন একজন শীর্ষ নেতা।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় দেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট চক্র আবারও ‘জঙ্গি কার্ড’ খেলার পাঁয়তারা করছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এ ছাড়া ‘দেশে জঙ্গি নাটকের পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না’ বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
৪ ঘণ্টা আগে