প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত 'জুলাই জাতীয় সনদ'-এর খসড়া নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি বলছে, সংবিধানের ওপর রাজনৈতিক সমঝোতার দলিলকে স্থান দেওয়া এবং সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না রাখাসহ কয়েকটি বিধান 'অগ্রহণযোগ্য'।
বুধবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় খসড়া নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি। একই দিন অন্য আরও চারটি দল খসড়া নিয়ে নিজেদের মতামত ঐকমত্য কমিশনে জমা দেয়। এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মতামত জমা দেওয়ার সময় আগামীকাল শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মোটাদাগে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়ার অঙ্গীকার অংশের তিনটি ধারা এবং সূচনা বক্তব্য নিয়ে আগের দিন মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিএনপি সূত্র জানায়, মূলত সে বিষয়গুলোই কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর স্থান দেওয়া, সনদ নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং সনদের ব্যাখ্যার ভার থাকবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে—এই বিষয়গুলোর সঙ্গে বিএনপি একমত হয়নি। এর পাশাপাশি আরও কিছু খুঁটিনাটি ও শব্দচয়নগত বিষয়েও মতামত দেওয়া হয়েছে। বিএনপি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামা অংশে যেসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে, বিশেষ করে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিলকে সংবিধানের ওপর স্থান দেওয়া, কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করার যাবে না—ইত্যাদি বিষয় অগ্রহণযোগ্য এবং যৌক্তিক নয়। তা ছাড়া রাষ্ট্র সৃজনের সময়, অর্থাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর তুলনা করা সঠিক নয়।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকাল এনডিএম, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও আমজনতার দল খসড়া নিয়ে লিখিত মতামত জমা দিয়েছে।
এবি পার্টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সমন্বিত খসড়ায় তাদের মতামতের বেশ কিছু প্রতিফলন ঘটেছে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের আয়োজন করা যায় কি না, সে বিষয়ে সরকার বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরামর্শ চাইতে পারে।
গত ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেটি নিয়ে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় ‘সমন্বিত খসড়া’, যা গত শনিবার সন্ধ্যায় দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
সনদ বা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত 'জুলাই জাতীয় সনদ'-এর খসড়া নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি বলছে, সংবিধানের ওপর রাজনৈতিক সমঝোতার দলিলকে স্থান দেওয়া এবং সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না রাখাসহ কয়েকটি বিধান 'অগ্রহণযোগ্য'।
বুধবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় খসড়া নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি। একই দিন অন্য আরও চারটি দল খসড়া নিয়ে নিজেদের মতামত ঐকমত্য কমিশনে জমা দেয়। এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মতামত জমা দেওয়ার সময় আগামীকাল শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মোটাদাগে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়ার অঙ্গীকার অংশের তিনটি ধারা এবং সূচনা বক্তব্য নিয়ে আগের দিন মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিএনপি সূত্র জানায়, মূলত সে বিষয়গুলোই কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর স্থান দেওয়া, সনদ নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং সনদের ব্যাখ্যার ভার থাকবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে—এই বিষয়গুলোর সঙ্গে বিএনপি একমত হয়নি। এর পাশাপাশি আরও কিছু খুঁটিনাটি ও শব্দচয়নগত বিষয়েও মতামত দেওয়া হয়েছে। বিএনপি আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত, স্বাক্ষরিত এবং বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের জন্য কোনো বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামা অংশে যেসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে, বিশেষ করে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিলকে সংবিধানের ওপর স্থান দেওয়া, কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করার যাবে না—ইত্যাদি বিষয় অগ্রহণযোগ্য এবং যৌক্তিক নয়। তা ছাড়া রাষ্ট্র সৃজনের সময়, অর্থাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর তুলনা করা সঠিক নয়।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকাল এনডিএম, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও আমজনতার দল খসড়া নিয়ে লিখিত মতামত জমা দিয়েছে।
এবি পার্টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সমন্বিত খসড়ায় তাদের মতামতের বেশ কিছু প্রতিফলন ঘটেছে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের আয়োজন করা যায় কি না, সে বিষয়ে সরকার বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরামর্শ চাইতে পারে।
গত ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেটি নিয়ে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় ‘সমন্বিত খসড়া’, যা গত শনিবার সন্ধ্যায় দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
সনদ বা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে।
এসময় আমান উল্লাহ আমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করি, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আবার গণতন্ত্রের পূর্ণ প্রত্যাবর্তন ঘটবে।
১৯ ঘণ্টা আগেভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত কখনোই গণতন্ত্রের বা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা সবসময় বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে। এ দেশের মানুষকে তারা শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। তারা বিশ্বজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, যা সম্প
২১ ঘণ্টা আগেবিএনপি আগামী ১৫ অক্টোবর জুলাই সনদ সইয়ের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
১ দিন আগেসবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে জনগণ একে অপরের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে অংশ নেয়- এটাই বাংলাদেশি জাতির ঐতিহ্য।’ তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন।’
২ দিন আগে