জুলাই বর্ষপূর্তিতে ভার্চুয়ালি ভাষন দেবেন খালেদা জিয়া

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৫৯
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিএনপির বিশেষ আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিখি হিসেবে থাকবেন, গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন বলে আশা করছি।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথমটি এটি। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আলোচনা সভায় ব্যানারে লেখা আছে, ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের পরিবারেরে সন্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান।

এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সভাপতিত্ব করবেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।

অনুষ্ঠানের উপলক্ষে অতিথিরাসহ নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

ব্যানারে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদসহ কয়েকজন শহীদ এবং ‘এক দফা এক দাবি’ এবং ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ ব্যানার হাতে ছাত্র-জনতার গ্রাফিতি চিত্র রয়েছে।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যে বিএনপি ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে, বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকারবিষয়ক অনুষ্ঠান, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ অন্তত ২২টি ভিন্নধর্মী আয়োজন।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জুলাই আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, এক জনতার জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল— ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।

৭ ঘণ্টা আগে

এক দফা ঘোষণার পর পরিস্থিতি ছিল ‘ডু অর ডাই’: নাহিদ

ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে থাকা নহিদ ইসলাম বলছেন, সরকারি বাহিনীসহ সরকারি দলের অনুসারীদের নির্বিচারে আক্রমণ-হামলাই এই আন্দোলনকে বেগবান করে। বিশেষ করে ১৬ জুলাই গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়।

১১ ঘণ্টা আগে

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তায় জোর

তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারের প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

১১ ঘণ্টা আগে

১ জুলাই— ইতিহাসের একমাত্র ‘৩৬ দিনের মাসে’র সূচনাবিন্দু

ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ মাস। বর্ষপঞ্জির পাতায় সেটি ৫ আগস্ট লেখা থাকলেও যে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট শাসনের, সেই ছাত্র-জনতার হৃদয়ে দিনটি ৩৬ জুলাই হিসেবেই জেগে রয়েছে।

১৮ ঘণ্টা আগে