প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
১ জুলাই ২০২৪। ঠিক এক বছর আগের এই দিনেও স্বাভাবিক নিয়মে শুরু হয় এক জুলাই মাস। তবে এই জুলাই মাসটি ইতিহাসের সব জুলাইয়ের থেকে আলাদা। আর সব জুলাই ৩১ দিনে ফুরিয়ে গেলেও গত বছরের জুলাই ‘স্থায়ী হয়েছিল’ ৩৬ দিন।
ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ মাস। বর্ষপঞ্জির পাতায় সেটি ৫ আগস্ট লেখা থাকলেও যে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট শাসনের, সেই ছাত্র-জনতার হৃদয়ে দিনটি ৩৬ জুলাই হিসেবেই জেগে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেওয়া এই গণআন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি নিয়ে। গত বছরের জুন থেকেই রাজপথে নামতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা, ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ের মাধ্যমে যার সূত্রপাত।
সেই আন্দোলনকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিতে জুলাইয়ের প্রথম এই দিনটিতে আত্মপ্রকাশ করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’, যা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরিণত হয় ছাত্র-জনতার কণ্ঠস্বরে। এর নেতৃত্বেই সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ছাত্রদের আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটে।
২০১৮ সালেও তীব্র ছাত্র আন্দোলনের চাপে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয় সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্প্রবর্তিত হয়, যেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলার জন্য ১০ শতাংশ, সংখ্যালঘুদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের সরকারি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করা হলে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। কোটাকে মেধাবীদের প্রতি বৈষম্য হিসেবে মনে করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।
সরকার প্রতিবাদকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে চাইলে পরিস্থিতি বিদ্রোহে রূপ নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারপন্থি কর্মী-সমর্থকরা একযোগে আক্রমণ চালায়। আন্দোলনে অন্তত ১,৪০০ জন নিহত ও প্রায় ২০,০০০ জন আহত হয়েছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে নিষ্ঠুর দমনপীড়ন। এই জুলাই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যা আর তিন দিনের মাথায় মেয়াদ এক বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে।
জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া মাসব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে ১ জুলাই বাদ জোহর দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করতে বলেছে সরকার। এ ছাড়া সব মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়েও দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে।
এ দিন জুলাই ক্যালেন্ডার দেওয়া হবে। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও শুরু হবে, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই শহিদ স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু করবে সরকার।
বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু হচ্ছে চীর মৈত্রী হলে বিশেষ আলোচনা সভার মাধ্যমে। আলোচনার বিষয় ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’।
গণআন্দোলনের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনসিপি। ১ জুলাই শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে পদযাত্রার সূচনা হবে, পালন করা ৬৪টি জেলাতেই।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও ভিন্ন ভিন্ন একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য ১ জুলাই দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে কর্মসূচি।
১ জুলাই ২০২৪। ঠিক এক বছর আগের এই দিনেও স্বাভাবিক নিয়মে শুরু হয় এক জুলাই মাস। তবে এই জুলাই মাসটি ইতিহাসের সব জুলাইয়ের থেকে আলাদা। আর সব জুলাই ৩১ দিনে ফুরিয়ে গেলেও গত বছরের জুলাই ‘স্থায়ী হয়েছিল’ ৩৬ দিন।
ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ মাস। বর্ষপঞ্জির পাতায় সেটি ৫ আগস্ট লেখা থাকলেও যে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট শাসনের, সেই ছাত্র-জনতার হৃদয়ে দিনটি ৩৬ জুলাই হিসেবেই জেগে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেওয়া এই গণআন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি নিয়ে। গত বছরের জুন থেকেই রাজপথে নামতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা, ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ের মাধ্যমে যার সূত্রপাত।
সেই আন্দোলনকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিতে জুলাইয়ের প্রথম এই দিনটিতে আত্মপ্রকাশ করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’, যা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরিণত হয় ছাত্র-জনতার কণ্ঠস্বরে। এর নেতৃত্বেই সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ছাত্রদের আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটে।
২০১৮ সালেও তীব্র ছাত্র আন্দোলনের চাপে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয় সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্প্রবর্তিত হয়, যেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলার জন্য ১০ শতাংশ, সংখ্যালঘুদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের সরকারি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করা হলে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। কোটাকে মেধাবীদের প্রতি বৈষম্য হিসেবে মনে করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।
সরকার প্রতিবাদকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে চাইলে পরিস্থিতি বিদ্রোহে রূপ নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারপন্থি কর্মী-সমর্থকরা একযোগে আক্রমণ চালায়। আন্দোলনে অন্তত ১,৪০০ জন নিহত ও প্রায় ২০,০০০ জন আহত হয়েছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে নিষ্ঠুর দমনপীড়ন। এই জুলাই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যা আর তিন দিনের মাথায় মেয়াদ এক বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে।
জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া মাসব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে ১ জুলাই বাদ জোহর দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করতে বলেছে সরকার। এ ছাড়া সব মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়েও দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে।
এ দিন জুলাই ক্যালেন্ডার দেওয়া হবে। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও শুরু হবে, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই শহিদ স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু করবে সরকার।
বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু হচ্ছে চীর মৈত্রী হলে বিশেষ আলোচনা সভার মাধ্যমে। আলোচনার বিষয় ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’।
গণআন্দোলনের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনসিপি। ১ জুলাই শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে পদযাত্রার সূচনা হবে, পালন করা ৬৪টি জেলাতেই।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও ভিন্ন ভিন্ন একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য ১ জুলাই দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে কর্মসূচি।
বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। দেশে সাধারণ মানুষের জানমাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। কেউ জানে না, কে কোথায় হেনস্থার শিকার হবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেপিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে লাভবান কারা হবে তা ভাবতে হবে। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হলে ফ্যাসিস্টরা সুযোগ পাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেশায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দেশে ফেরার তারিখ যখন চূড়ান্ত হবে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে বলা হবে।
১ দিন আগেরাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ জামায়াত আমিরের এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিক কৌশল ও ‘স্টান্টবাজি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াত আদৌ ক্ষমা চেয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। বলছেন, এ ইস্যুতে ক্ষমা চাই
১ দিন আগে