ভোটের রাজনীতিতে ইসলামি দলগুলোর মুখোমুখি বিএনপি

শাহরিয়ার শরীফ
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২: ০৩

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ প্রকট হয়েছে। সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দূরত্ব দেখা দিয়েছে রাজপথে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে। একদিকে পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে পিআরের পক্ষে থাকা জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য ইসলামিক দল বিপরীত মেরুতে রয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষের এমন অবস্থানের জেরে এই দুই দলের বিপুল জমায়েতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পর্যন্ত পায়নি বিএনপি। এতে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি বনাম ইসলামি দলগুলোর মধ্যে নতুন মেরুকরণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের কারণে গত জুনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের লন্ডন বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল তা উবে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এমন বিতর্ক চলতে থাকলে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। যদিও এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্য এসেছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।

নির্বাচনি হাওয়া বইতে শুরু করলে রাজনৈতিক দলগুলো দূরত্ব বা বিভেদ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন ঘিরে তৎপর হয়ে উঠলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে নির্বাচনে দেরি হলে বা দলগুলোর বিভেদ আরও প্রকট হয়ে উঠলে ঐক্য বিনষ্ট হয়ে তা পতিত আওয়ামী লীগকে সুবিধা করে দিতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আপাতত যা দেখা যাচ্ছে তা বিএনপি ও ইসলামি দলগুলোর নতুন মেরুকরণ হিসেবে দেখা যায়। তবে পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গেছে— এমনটা এখনই বলার সময় আসেনি। কারণ নির্বাচনের আগে অনেক লেনদেন থাকে, অনেক হিসাব এখনো বাকি। ফলে সামনে পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা এখনই বলার সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতি নাও থাকতে পারে।’

এদিকে বিএনপি নেতারা পিআর পদ্ধতির আলোচনাকে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তারা জোর দিচ্ছেন নির্ধারিত সময়ে বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারঘোষিত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে— এমন আশাও ছাড়ছেন না দলটির নেতারা।

গত রোববার (২০ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে৷ আশা করি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই নির্বাচন হবে।’

অন্যদিকে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপি নেতারা বিএনপির এমন অবস্থানের কড়া সমালোচনা করছেন। একইসঙ্গে পিআর পদ্ধতি ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন নেতারা।

পিআর নিয়ে বিভেদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ নানা খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। বিভিন্ন খাতের সংস্কারে কমিশন গঠন করা হয়। তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা পড়লে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুপারিশ করে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় কিছু রাজনৈতিক দল সংসদের দুই কক্ষেই এ পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এর বিরোধিতা করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও পিআর নিয়ে রাজনীতিবিদদের মধ্যে কথার লড়াই চলছে।

পিআরের পক্ষে-বিপক্ষে কারা?

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ছিল ৫৫টি। এর মধ্যে এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে চারটি দলের নিবন্ধন বাতিল রয়েছে এবং আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। বাকি ৫০টি দলের মধ্যে ১৮টি দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে। আর বিপক্ষে অবস্থান ২৮টি দলের। চারটি দল তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

এর মধ্যেও রয়েছে আলাদা আলাদা অবস্থান। কিছু দল আংশিকভাবে এই পদ্ধতির পক্ষে। কেউ আবার নিম্নকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে চান। কোনো কোনো দল থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে নিম্ন নয়, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি প্রয়োগ করা হোক। কোনো কোনো দলের একাংশ পিআরের পক্ষ, আরেক অংশ বিপক্ষে মত দিয়েছেন— এমন নজিরও আছে।

দেখা গেছে, পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে থাকা দলগুলো মূলত বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক। আর এনসিপির বাইরে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামিক দল পিআরের পক্ষে।

পিআর ইস্যুতে আটকে গেছে আমন্ত্রণ!

এখন আর বক্তব্যের মধ্যে এখন সীমাবদ্ধ নেই পিআর পদ্ধতির পক্ষে-বিপক্ষের আলোচনা। এই ইস্যু এখন গড়িয়েছে সরাসরি রাজনীতির মাঠে। গত ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বেশ কিছু দাবিতে সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানে এনসিপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল আমন্ত্রণ পেলেও বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, যারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, আমাদের ওই সমাবেশে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। পিআরের বিপক্ষের কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

অন্যদিকে পিআর পদ্ধতিতে ভোটসহ সাত দফা দাবিতে একই ভেনুতে ডাকা সমাবেশে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি জামায়াতও।

দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরও ইসলামী আনদোলনের মতো বলেন, পিআর পদ্ধতির বিপক্ষের কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

আবার পিআর পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও জামায়াতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি।

পিআর নিয়ে বিভেদ, কী বলছেন রাজনীতিবিদরা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ঘিরে দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐক্য গড়ে উঠলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিভেদ দেখা দিয়েছে। এই ইস্যু ঘিরে দিন দিন জুলাই ঐক্যে ফাটল বাড়তে পারে— এমন আশঙ্কা থাকলেও রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ আশা ছাড়তে রাজি নন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘দেশের মানুষ এক ধরনের নির্বাচন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত। সেখানে হঠাৎ করে নতুন একটি পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য করা। আমরা জনগণের দল হিসেবে দেশের বাস্তবতার কথা চিন্তা করে প্রস্তাব করেছি। অন্যরা তাদের মতো প্রস্তাব করেছে। তবে আশা করি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হতে হতে আলোচনার টেবিলে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে সংস্কার আটকে যাওয়ায় জন্য বিএনপিকে দায়ী করে জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে স্বচ্ছ নির্বাচনের বিরোধিতা করা মানে তারা জাতির প্রত্যাশা নিয়ে সচেতন নয়।’ দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ পিআরের দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন।

এদিকে বিএনপির সমমনা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম পিআর নিয়ে আলোচনার জন্য জামায়াতকে দায় দিচ্ছেন। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত সুকৌশলে রাজনীতিতে বিভাজন শুরু করেছে। অথচ ২০১৪ সাল ‌পর্যন্ত, এমনকি ২০২৫ সালের শুরুর দিকেও পিআর নিয়ে আলোচনা ছিল না। ঐক্যমত্য কমিশনও পিআর নিম্নকক্ষে পিআর চালুর কথা বলছে না। সেখানে এক ধরমের চাপ দেওয়ার জন্য পিআর নিয়ে কথা বলা হচ্ছে।তবে এতে কোনো লাভ হবে না।’

এদিকে পিআর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলতে থাকলে নির্বাচন ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, এমন বিভাজন চলতে থাকলে জাতীয় ঐক্য যেমন দোদুল্যমান অবস্থায় চলছে, নির্বাচনও দোদুল্যমান হয়ে পড়বে। আর নির্বাচন বিলম্বিত কিংবা না হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে তা অনুধাবন করতে হবে।’

ভোটের তারিখ নিয়ে নতুন গতি

এদিকে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা ও এরপর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু হতাহতের ঘটনার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙে আরেক দফা বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত মঙ্গলবার বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

পরদিন বুধবার প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেন ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে। দল ও জোটগুলো হলো— গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাসদ, গণফোরাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিস ও ১২ দলীয় জোট।

সবশেষ গতকাল শনিবার ১৪টি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এগুলো হলো— জাতীয় গণফ্রন্ট, ১২ দলীয় জোট, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ন‍্যশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, ইসলামী ঐক্যজোট, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), জাকের পার্টি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

এসব বৈঠকে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সবশেষ গতকালের বৈঠকের পর নির্বাচনের তারিখ নিয়ে এসেছে বক্তব্য। বৈঠক থেকে বের হয়ে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা ক্যাটাগরিকলি বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা, তারিখ তিনি ঘোষণা করবেন। এর চাইতে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না।

এমন ঘোষণার পরই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কিছুটা কেটে গেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বিভেদ-বিভক্তি এড়িয়েই দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে উঠলে অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন দলগুলোর নেতারা।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

মামলাবাজ, চাঁদাবাজদের দিন ফুরিয়ে আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

দেশে যারা মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত তাদের দিন ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

৪ ঘণ্টা আগে

২০২৪ সালে বিএনপির আয় ১৫.৬৫ কোটি টাকা: রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিগত এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে । ২০২৪ সালে দলটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে দলটির ফান্ডে জমা আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

৫ ঘণ্টা আগে

সেনাপ্রধানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সারজিস

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, আর্থিক সহযোগিত ও পুনর্বাসনের জন্য সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রশংসা করেন এনসিপির শীর্ষ এই নেতা।

৫ ঘণ্টা আগে

পর্যবেক্ষকের নিবন্ধন পেতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘পর্যবেক্ষক সংস্থা’ হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাগুলোকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে ১৫ দিন সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

৬ ঘণ্টা আগে