আসিয়ান সদস্যপদের জন্য থাইল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
শুক্রবার থাইল্যান্ডের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে প্রাতঃরাশের সময় আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদের জন্য সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে ঢাকার প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে থাইল্যান্ডের বিশিষ্টজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

থাই বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসিয়ানের খাতভিত্তিক সংলাপ অংশীদার হিসেবে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। তবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক গোষ্ঠীর পূর্ণ সদস্য হওয়া।’

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককের একটি হোটেলে থাই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে এক প্রাতঃরাশ বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস একথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এ পথেই আমাদের ভবিষ্যৎ।’

বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সার্ক ও বিমসটেকের গর্বিত সদস্য। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোর আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

বৈঠকে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজীবা, সাবেক এক উপপ্রধানমন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের নেতারা অংশ নেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে, আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জনে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ আসিয়ানের শীর্ষ দেশগুলোর সমর্থন পাওয়া যাবে।

অধ্যাপক ইউনূস থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে আরও বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর জোর দেন। বলেন, উভয় দেশ একই রকম ইতিহাস ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আমরা যে ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, এই বৈঠকের মাধ্যমে তার সূচনা হলো।

সাম্প্রতিক বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশৃঙ্খলা অনেক কিছুকে নাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বিশ্ব এই ‘বিশৃঙ্খল অবস্থা’কে তার সুবিধাতেও রূপান্তর করতে পারে। আমাদের আরও সহযোগিতা দরকার। আমরা একটি নতুন ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে ভাবতে পারি কি না, সে নিয়েও ভাবা দরকার।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তন এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন। বলেন, এই অভ্যুত্থান একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসককে উৎখাত করে বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের একটি আঞ্চলিক জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান)। এর সদস্য দেশগুলো হলো— মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, মিয়ানমার, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া। এ বছর পূর্ব তিমুর এই জোটের সদস্যপদ পেতে পারে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশ আসিয়ানে যুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশও দীর্ঘ দিন ধরেই আসিয়ানের সদস্যপদ পাওয়া চেষ্টা করছে। আঞ্চলিক এই জোটে যুক্ত হলে বাণিজ্যসহ নানা খাতে সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সবশেষ গত চীন সফরেও যাওয়ার আগের দিনও প্রধান উপদেষ্টা আসিয়ানের সদস্য হিসেবে যোগদান করার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

পিআরের বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে: খসরু

আমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।

১৯ ঘণ্টা আগে

কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্রকে অংশীদার হতে হবে: তারেক রহমান

একজন কন্যাসন্তানের বাবা হিসেবে আমি জানি মেয়েদের ক্ষমতায়ন কোনো নীতি নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও অঙ্গীকার। বাংলাদেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন হলো যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।

১ দিন আগে

তৃণমূলে বিএনপি-জামায়াত টক্কর, দুই দলের নজর আওয়ামী লীগের ভোটে

বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে চলে এসেছে বিএনপিরই একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটি নির্বাচনের প্রার্থী নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি শুরু করেছে আরও প্রায় বছরখানেক আগে।

১ দিন আগে

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হচ্ছে না : মিয়া গোলাম পরওয়ার

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনের আগে কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হচ্ছে না। পুলিশ থেকে শুরু করে আমলা পর্যন্ত অনেককেই দেখা যাচ্ছে, বিশেষ দলের প্রতি দুর্বল হয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এগুলো পরিহার করে নির্বাচনের মাঠকে সমান ও সমতল করতে হবে।

২ দিন আগে