তাজউদ্দীনের জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১: ৩১
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে তাজউদ্দীন পরিবার। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে তাজউদ্দীন পরিবার। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন তাজউদ্দীনের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ ও ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাতে শারমিন আহমদ তার লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ বইয়ের একটি কপি প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন যে সরকার গঠন করা হয়েছিল, তাজউদ্দীন আহমদ সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাহাত্তরের মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ হলেও একসময় তার সঙ্গে তাজউদ্দীনের দূরত্ব তৈরি হয়। ১৯৭৪ সালের ২৬শে অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা-পরবর্তী সময়ে অবশ্য তাজউদ্দীনের স্ত্রী আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বড় ভূমিকা রাখেন। তবে পরে তাজউদ্দীর পরিবারের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক সরলরৈখিক ছিল না।

তাজউদ্দীনের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে সিমিন হোসেন রিমি ও তানজিম আহমদ সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে সোহেল তাজ গাজীপুর-৪ আসন থেকে দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন।

মাস পাঁচেক পরই অবশ্য নানা বিরোধে মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে নানা গুঞ্জন উঠলেও সোহেল তাজ আর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সেভাবে সক্রিয় হননি।

এদিকে সোহেল তাজ সরে দাঁড়ানোর পর তার আসনে উপনির্বাচন করে বিজয়ী হন তার বোন সিমিন হোসেন রিমি। পরে আরও তিন নির্বাচনে জয় পান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত বছর, সেই সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের পতনের পর নানা সময়ে দলটির পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা উঠেছে। শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারকে বাদ দিয়ে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠন নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। এখনো গুঞ্জন রয়েছে, সোহেল তাজসহ ‘ক্লিন ইমেজের’ আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠন করা হতে পারে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ব্যাটল অব থার্মোপিলাই: সাহস ও আত্মত্যাগের অমর ইতিহাস

এই যুদ্ধের পটভূমি বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে তার আগের দশকগুলোতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সালের আশপাশে পারস্য সাম্রাজ্য তখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য। বর্তমান ইরান, ইরাক, তুরস্ক, আফগানিস্তান, মিশরসহ এক বিশাল এলাকা জুড়ে পারস্যের শাসন বিস্তৃত ছিল।

৯ ঘণ্টা আগে

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদের মোকাবেলা করতে হবে: দুলু

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘মহল্লায়-মহল্লায় আমাদের পাহারা দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ফ্যাসিবাদ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। তাই নিজেদের মধ্য বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

১০ ঘণ্টা আগে

গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ

গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বৈঠক আশা করা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো অত্যন্ত সর্তকতার সঙ্গে তাদের কর্মসূচি নির্ধারণ করবে, অন্যথায় গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া হবে।

১১ ঘণ্টা আগে

'সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আরেকটা ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে'

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, রাজনৈতিক ময়দানে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার প্রয়োজনে যে মাঠের সমতা প্রয়োজন সেই সমতা নেই। সেজন্য আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণের দাবি এই সমাবেশ থেকে জানাব। ’

১২ ঘণ্টা আগে