উপ-পরিচালক, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
সকল লেখা
এই সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজন সমন্বিত, তথ্যনির্ভর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা সংস্কার। সর্বপ্রথম, সরকারকে হারিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সনাক্ত করার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্কুল ট্র্যাকিং সিস্টেম, স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিওগুলোর সমন্বয়ে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
কিন্তু সরকার সংলাপের পরিবর্তে বেপরোয়া দমন-পীড়ন শুরু করে। ১৫ জুলাই থেকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে অভিযান চালায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে রাতের অন্ধকারে হানা দেওয়া হয়, ছাত্রদের হোস্টেল থেকে টেনে বের করে নির্যাতন করা হয়, নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালানো হয়, চিকিৎসার সুযোগ স
অনেক মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী–শিক্ষক অনুপাত ২০:১, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত মানের দ্বিগুণ। ২০২৪ সালের বিএমঅ্যান্ডডিসি জরিপে দেখা যায়, ৩৫% বেসরকারি কলেজে মৌলিক বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। দুর্বল বেডসাইড প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপ তত্ত্বাবধানের অভাবে নতুন ডাক্তাররা বাস্তব অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে
উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান: বাংলাদেশের শ্রমবাজারে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে সার্বিক বেকারত্ব দাঁড়ায় ৪.৬৩%, যা আগের বছরের ৩.৯৫% থেকে বেড়ে প্রায় ২৭ লাখ মানুষকে কর্মহীন করেছে।
কোচিং সংস্কৃতি শুধু শিক্ষাকে পুনর্নির্ধারণ করেনি, পরিবারের ওপর এক অসহনীয় আর্থিক বোঝাও চাপিয়েছে। প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের যথাযথ আন্তরিকতার অভাবের কারণেই অভিবাবকের তাদের সন্তারদের নিয়ে হতাশায় থাকেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মতে, নিরাপদ কর্মপরিবেশ মানে শুধু শারীরিক নিরাপত্তা নয়, বরং রাজনৈতিক ও মানসিক চাপমুক্ত একটি পেশাগত পরিবেশও নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বেসরকারি খাতেও দক্ষ জনবল টিকে থাকতে পারে না, উৎপাদনশীলতা কমে যায় এবং প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়ে।