দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গরমের এই অনুভূতি থাকবে কিছুদিন। অন্তত বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বজায় থাকবে এই পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দুদিন টানা বৃষ্টির কারণে বাতাসে ও মাটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। আর এতে করে শরীরের ঘাম শুকাচ্ছে না, অস্বস্তি লাগছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশব্যাপী ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার পর তাপমাত্রার পারদের তুলনায় বেশি উত্তাপ অনুভূত হচ্ছে। এতে অস্বস্তিকর গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন নানা বয়সী মানুষেরা। অস্বস্তিকর এই গরমের কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
দেশের ছয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজশাহীতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আজ সোমবার (২৭ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। বেশ কয়েকটি জেলা বিদ্যুৎহীন আছে।
রাজধানী ঢাকাতে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ প্রভাবে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত সোমবার সারাদিন থাকতে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি। এ সময় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা, স্যালাইন, ওষুধ পর্যাপ্ত রাখার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক চালু রাখাসহ ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়ায় ১৬টি উপকূলীয় জেলা, এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলিতে জোয়ারের সঙ্গে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। এ বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আজ দুপুর নাগাদ আঘাত হানতে পারে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যার পর চূড়ান্ত আঘাত আনতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের মর্যাদা পেলে তার নাম হবে 'রেমাল'। নামটি ওমানের দেওয়া। আরবি ‘রেমাল’ অর্থ বালু।
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, বাড়ছে শক্তিও। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তোলা হয়েছে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত।
নিম্নচাপটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দুপুর দেড়টা থেকে চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তাপপ্রবাহের ঝুঁকি, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সবাই মিলে চাইলে এবং চেষ্টা করলে ঢাকার তীব্র তাপপ্রবাহ কমানো অসম্ভব কিছু নয়।
দেশের উপকূলে আগামী রোববার (২৬ মে) আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রেমাল লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের রূপে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। শুক্রবার (২৪ মে) সকালে এ ত
দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এদিকে দেশের চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যেখানে বলা হয়েছে শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।