ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় আসছে। বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের মর্যাদা পেলে তার নাম হবে 'রেমাল'। নামটি ওমানের দেওয়া। আরবি ‘রেমাল’ অর্থ বালু।বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় আসছে। বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের মর্যাদা পেলে তার নাম হবে 'রেমাল'। নামটি ওমানের দেওয়া। আরবি ‘রেমাল’ অর্থ বালু।
দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের জন্য ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামের তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় কলাম চলছে। এই তালিকা ১৩টি দেশের নামের প্রস্তাব নিয়ে গঠিত হয়। দ্বিতীয় কলাম শেষ হলে তৃতীয় কলাম শুরু হবে। কলামের প্রথম নাম বাংলাদেশের। বাংলাদেশের দেওয়া সবশেষ নামটি ছিল 'বিপর্যয়। পরের নামটি 'অর্ণব', তৃতীয় কলাম শুরু হলে আসবে।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ইতিকথা
বেশিদিন আগে নয়, শুরুটা হয় ১৯৫৩ সালে। অ্যামেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড়ো শহর মায়ামির জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার আটলান্টিক অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের একটি ইউনিট ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল ওয়েদার অর্গানাইজেশন এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ২০০০ সালে এর সদস্য দেশগুলোর পরামর্শ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের জন্য নাম প্রস্তুত করার কাজ শুরু করে— বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, ওমান, পাকিস্তানের মতো আরও ১২টি দেশকে সাথে নিয়ে। শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্যানেলের অংশ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়—তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলো নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নামকরণ করে থাকে।
নামকরণের এই সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ন্ত্রণিত হয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিওএমও) মাধ্যমে। ২০০৪ সালে ৮টি দেশ ৮টি করে মোট ৮৪টি নাম দেয়। সেখানে প্রথম নামটি ছিল বাংলাদেশের (অনিল)। নামের ক্রম আসে দেশের ক্রম অনুযায়ী। অর্থাৎ দেশের নামের ইংরেজি বর্ণানুক্রমে একটি করে দেশের নাম নির্ধারিত হয় আগত ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
২০২০ সালে মোট ১৩টি দেশ ১৩টি করে মোট ১৬৯টি নাম দেয়। ১৩ টি দেশ হলো: বাংলাদেশ, ভারত, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, আরব-আমিরাত এবং ইয়েমেন। ডব্লিওএমও-র ভারতীয় উপমহাদেশের এই সদস্য দেশগুলোই নাম দেয়।
ঝড়ের নাম দিতেই হবে কেন?
ঝড়ের নাম দেওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এদের মাঝে অন্যতম, এটা ঝড়ের অঞ্চলে বসবাস করেন যাঁরা তাঁদের সতর্ক করে দিতে সহজ হয়। তাছাড়া ঝড়ের নাম দেওয়া হলে, কোন ঝড়ে কেমন ক্ষতি হয়েছে বা কোনো গবেষণার প্রয়োজনে তথ্য ঘাঁটতে সুবিধে হবে।
বেশিরভাগ নামগুলোই নারীদের নামে কেন?
বিশ শতকের মাঝের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে মেয়েদের নাম বেশি ব্যবহৃত হতো। এক্ষেত্রে আবহাওয়াবিদদের যুক্তি ছিল, মেয়েদের নামগুলো মানুষ সহজে মনে রাখতে পারবেন। সেজন্যই নার্গিস, রেশমি, রিটা, বিজলি, নিশা, গিরি, হেলেন, চপলা, অক্ষি, লুবান, তিতলি, নিলুফার, ক্যাটরিনা-সহ অনেকগুলো ভয়ংকর ঝড়ের নাম অমর হয়ে আছে। যেগুলো নারীদের নামেই রাখা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক শর্ত দেওয়া হয়— নামগুলো লিঙ্গ নিরপেক্ষ হবে।
নাম দেওয়ার আছে কিছু শর্ত
একই নাম বারবার দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ নামের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আদর্শে আঘাত হানতে পারে— এমন নাম দেওয়া যাবে না। নামটি হতে হবে লিঙ্গ নিরপেক্ষ। বিশ্বের কোনো জনগোষ্ঠীর ভাবাবেগে যেন আঘাত না করে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখা চাই। নামের মাধ্যমে কোনো প্রকার নিষ্ঠুরতা, রুক্ষভাষা বা নির্মমতা প্রকাশ পাবে না। নামের উচ্চারণ হবে সহজ। নাম হবে সর্বোচ্চ আটটি বর্ণে। সাথে থাকতে হবে উচ্চারণ নির্দেশিকা। আবহাওয়া সংক্রান্ত বৈঠকে আলোচনার পর নামের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে।
এসব শর্ত পূরণ করলেই চূড়ান্ত হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
সূত্র:
১. Tropical Cyclone Naming/World Meteorological Organization,
২. বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদপ্তরh)
বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় আসছে। বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের মর্যাদা পেলে তার নাম হবে 'রেমাল'। নামটি ওমানের দেওয়া। আরবি ‘রেমাল’ অর্থ বালু।বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় আসছে। বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের মর্যাদা পেলে তার নাম হবে 'রেমাল'। নামটি ওমানের দেওয়া। আরবি ‘রেমাল’ অর্থ বালু।
দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের জন্য ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামের তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় কলাম চলছে। এই তালিকা ১৩টি দেশের নামের প্রস্তাব নিয়ে গঠিত হয়। দ্বিতীয় কলাম শেষ হলে তৃতীয় কলাম শুরু হবে। কলামের প্রথম নাম বাংলাদেশের। বাংলাদেশের দেওয়া সবশেষ নামটি ছিল 'বিপর্যয়। পরের নামটি 'অর্ণব', তৃতীয় কলাম শুরু হলে আসবে।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ইতিকথা
বেশিদিন আগে নয়, শুরুটা হয় ১৯৫৩ সালে। অ্যামেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড়ো শহর মায়ামির জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার আটলান্টিক অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের একটি ইউনিট ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল ওয়েদার অর্গানাইজেশন এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ২০০০ সালে এর সদস্য দেশগুলোর পরামর্শ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের জন্য নাম প্রস্তুত করার কাজ শুরু করে— বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, ওমান, পাকিস্তানের মতো আরও ১২টি দেশকে সাথে নিয়ে। শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্যানেলের অংশ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়—তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলো নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নামকরণ করে থাকে।
নামকরণের এই সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ন্ত্রণিত হয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিওএমও) মাধ্যমে। ২০০৪ সালে ৮টি দেশ ৮টি করে মোট ৮৪টি নাম দেয়। সেখানে প্রথম নামটি ছিল বাংলাদেশের (অনিল)। নামের ক্রম আসে দেশের ক্রম অনুযায়ী। অর্থাৎ দেশের নামের ইংরেজি বর্ণানুক্রমে একটি করে দেশের নাম নির্ধারিত হয় আগত ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
২০২০ সালে মোট ১৩টি দেশ ১৩টি করে মোট ১৬৯টি নাম দেয়। ১৩ টি দেশ হলো: বাংলাদেশ, ভারত, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, আরব-আমিরাত এবং ইয়েমেন। ডব্লিওএমও-র ভারতীয় উপমহাদেশের এই সদস্য দেশগুলোই নাম দেয়।
ঝড়ের নাম দিতেই হবে কেন?
ঝড়ের নাম দেওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এদের মাঝে অন্যতম, এটা ঝড়ের অঞ্চলে বসবাস করেন যাঁরা তাঁদের সতর্ক করে দিতে সহজ হয়। তাছাড়া ঝড়ের নাম দেওয়া হলে, কোন ঝড়ে কেমন ক্ষতি হয়েছে বা কোনো গবেষণার প্রয়োজনে তথ্য ঘাঁটতে সুবিধে হবে।
বেশিরভাগ নামগুলোই নারীদের নামে কেন?
বিশ শতকের মাঝের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে মেয়েদের নাম বেশি ব্যবহৃত হতো। এক্ষেত্রে আবহাওয়াবিদদের যুক্তি ছিল, মেয়েদের নামগুলো মানুষ সহজে মনে রাখতে পারবেন। সেজন্যই নার্গিস, রেশমি, রিটা, বিজলি, নিশা, গিরি, হেলেন, চপলা, অক্ষি, লুবান, তিতলি, নিলুফার, ক্যাটরিনা-সহ অনেকগুলো ভয়ংকর ঝড়ের নাম অমর হয়ে আছে। যেগুলো নারীদের নামেই রাখা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক শর্ত দেওয়া হয়— নামগুলো লিঙ্গ নিরপেক্ষ হবে।
নাম দেওয়ার আছে কিছু শর্ত
একই নাম বারবার দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ নামের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আদর্শে আঘাত হানতে পারে— এমন নাম দেওয়া যাবে না। নামটি হতে হবে লিঙ্গ নিরপেক্ষ। বিশ্বের কোনো জনগোষ্ঠীর ভাবাবেগে যেন আঘাত না করে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখা চাই। নামের মাধ্যমে কোনো প্রকার নিষ্ঠুরতা, রুক্ষভাষা বা নির্মমতা প্রকাশ পাবে না। নামের উচ্চারণ হবে সহজ। নাম হবে সর্বোচ্চ আটটি বর্ণে। সাথে থাকতে হবে উচ্চারণ নির্দেশিকা। আবহাওয়া সংক্রান্ত বৈঠকে আলোচনার পর নামের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে।
এসব শর্ত পূরণ করলেই চূড়ান্ত হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
সূত্র:
১. Tropical Cyclone Naming/World Meteorological Organization,
২. বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদপ্তরh)
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১৮ ঘণ্টা আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে