ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
কাঁচা আমলকি, যাকে অনেকে ধাত্রীফল বা ইন্ডিয়ান গুজবেরি বলে চেনে, আমাদের দেশে বহুদিন ধরে আয়ুর্বেদিক ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শীতের শেষে এবং গরমের শুরুতে বাজারে কাঁচা সবুজ আমলকি দেখা যায়। ছোট্ট এই ফলটির ভেতরে লুকিয়ে আছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য নানা দিক থেকে উপকারী। অনেকেই হয়তো আমলকি কাঁচা খাওয়ার থেকে আচারে, চাটনিতে বা আচার-জুসে বেশি স্বাদ পান, কিন্তু গবেষকরা বলছেন, কাঁচা আমলকি খাওয়ার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা রান্না বা প্রক্রিয়াজাত করার পর অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়।
কাঁচা আমলকি হলো প্রাকৃতিক ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস। একটি মাঝারি আকারের কাঁচা আমলকিতে কমলালেবুর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার পুষ্টি গবেষক ড. জেনিফার কুপার এ বিষয়ে বলেছেন, “প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি শরীরে সহজে শোষিত হয় এবং এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, বরং কোষের ক্ষতি কমিয়ে বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে।” তাঁর মতে, কাঁচা আমলকির মতো ফলগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা হলে তা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
শুধু ভিটামিন সি-ই নয়, কাঁচা আমলকিতে রয়েছে পলিফেনলস, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ট্যানিনসের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীরের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং স্নায়ুরোগের ঝুঁকি কমায়। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের বায়োকেমিস্ট্রি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মার্ক হেন্ডারসন বলেছেন, “কাঁচা আমলকিতে থাকা পলিফেনলস কোষের ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, গরমে প্রক্রিয়াজাত করলে এই উপকারী উপাদানের বড় অংশ হারিয়ে যায়, তাই কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
কাঁচা আমলকি হজমশক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রেও অনন্য। এর আঁশ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমে যায়। ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশনের (হায়দরাবাদ) পুষ্টিবিদ ড. অরুণা শর্মা বলেন, “আমলকির প্রাকৃতিক আঁশ হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, পাশাপাশি এর হালকা টক স্বাদ লালা উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য হজমে সহায়তা করে।”
কাঁচা আমলকির আরেকটি বড় উপকার হলো রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ। সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা আমলকি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনির ডায়াবেটিস গবেষক ড. মাইকেল লুইস বলেন, “আমলকিতে থাকা পলিফেনলস ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।” তবে তিনি পরামর্শ দেন, ডায়াবেটিস রোগীরা যেন এটি চিকিৎসকের পরামর্শে খাদ্যতালিকায় যোগ করেন।
কাঁচা আমলকি হৃদযন্ত্রের জন্যও ভালো। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ধমনীর প্রদাহ কমায়। নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর এলডিএল মাত্রা কমে এবং উপকারী এইচডিএল মাত্রা বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের কার্ডিওলজিস্ট ড. এমিলি রবার্টস বলেছেন, “আমলকির পুষ্টিগুণ হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।”
চুল ও ত্বকের যত্নেও কাঁচা আমলকি বহুদিন ধরে জনপ্রিয়। ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে। পাশাপাশি, চুলের গোড়াকে শক্ত করে চুল পড়া কমায় এবং অকাল পাকা রোধ করে। অনেক আয়ুর্বেদিক তেল ও চুলের যত্নের পণ্যে কাঁচা আমলকি ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডার্মাটোলজি বিশেষজ্ঞ ড. হান সু-কিম জানান, “আমলকি ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে বয়সের ছাপ দেরিতে আনে, আর মাথার ত্বকের রক্তসঞ্চালন উন্নত করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।”
এছাড়া কাঁচা আমলকি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ। এটি লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে, ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। নিয়মিত কাঁচা আমলকি খাওয়ায় লিভারের প্রদাহ কমতে পারে, যা হেপাটাইটিস বা ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য উপকারী। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর হেপাটোলজি গবেষক ড. ক্রিস্টোফার মিলার বলেছেন, “আমলকির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘমেয়াদে লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।”
সবশেষে বলা যায়, কাঁচা আমলকি একটি প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যরক্ষাকারী ফল। এটি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সকালবেলায় খালি পেটে একটি বা দুটি কাঁচা আমলকি খাওয়া। কেউ চাইলে পাতলা কেটে মধু দিয়ে খেতে পারেন, তবে চিনি বা লবণ মেশানো থেকে বিরত থাকাই ভালো। যদিও কাঁচা আমলকি বেশ টক, তবুও এর অসংখ্য স্বাস্থ্যগুণের জন্য একটু স্বাদ সহ্য করাই লাভজনক। তবে যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা বা কিডনির পাথরের ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সুতরাং, প্রকৃতির এই ছোট্ট সবুজ ফলটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং এক প্রাকৃতিক ওষুধের ভাণ্ডার। সঠিক পরিমাণে ও নিয়মিত কাঁচা আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর, মন ও চেহারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে বাধ্য। যেমনটি প্রাচীন আয়ুর্বেদের চিকিৎসকেরা বলেছেন, “যদি আমলকি থাকে, তবে শরীর থাকবে সবল, মন থাকবে প্রফুল্ল, আর বয়সও হার মানবে।”
কাঁচা আমলকি, যাকে অনেকে ধাত্রীফল বা ইন্ডিয়ান গুজবেরি বলে চেনে, আমাদের দেশে বহুদিন ধরে আয়ুর্বেদিক ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শীতের শেষে এবং গরমের শুরুতে বাজারে কাঁচা সবুজ আমলকি দেখা যায়। ছোট্ট এই ফলটির ভেতরে লুকিয়ে আছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য নানা দিক থেকে উপকারী। অনেকেই হয়তো আমলকি কাঁচা খাওয়ার থেকে আচারে, চাটনিতে বা আচার-জুসে বেশি স্বাদ পান, কিন্তু গবেষকরা বলছেন, কাঁচা আমলকি খাওয়ার মধ্যে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা রান্না বা প্রক্রিয়াজাত করার পর অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়।
কাঁচা আমলকি হলো প্রাকৃতিক ভিটামিন সি-এর অন্যতম সেরা উৎস। একটি মাঝারি আকারের কাঁচা আমলকিতে কমলালেবুর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার পুষ্টি গবেষক ড. জেনিফার কুপার এ বিষয়ে বলেছেন, “প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া ভিটামিন সি শরীরে সহজে শোষিত হয় এবং এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, বরং কোষের ক্ষতি কমিয়ে বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে।” তাঁর মতে, কাঁচা আমলকির মতো ফলগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা হলে তা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
শুধু ভিটামিন সি-ই নয়, কাঁচা আমলকিতে রয়েছে পলিফেনলস, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ট্যানিনসের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীরের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং স্নায়ুরোগের ঝুঁকি কমায়। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের বায়োকেমিস্ট্রি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মার্ক হেন্ডারসন বলেছেন, “কাঁচা আমলকিতে থাকা পলিফেনলস কোষের ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, গরমে প্রক্রিয়াজাত করলে এই উপকারী উপাদানের বড় অংশ হারিয়ে যায়, তাই কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
কাঁচা আমলকি হজমশক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রেও অনন্য। এর আঁশ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমে যায়। ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশনের (হায়দরাবাদ) পুষ্টিবিদ ড. অরুণা শর্মা বলেন, “আমলকির প্রাকৃতিক আঁশ হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, পাশাপাশি এর হালকা টক স্বাদ লালা উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য হজমে সহায়তা করে।”
কাঁচা আমলকির আরেকটি বড় উপকার হলো রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ। সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা আমলকি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনির ডায়াবেটিস গবেষক ড. মাইকেল লুইস বলেন, “আমলকিতে থাকা পলিফেনলস ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।” তবে তিনি পরামর্শ দেন, ডায়াবেটিস রোগীরা যেন এটি চিকিৎসকের পরামর্শে খাদ্যতালিকায় যোগ করেন।
কাঁচা আমলকি হৃদযন্ত্রের জন্যও ভালো। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ধমনীর প্রদাহ কমায়। নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর এলডিএল মাত্রা কমে এবং উপকারী এইচডিএল মাত্রা বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের কার্ডিওলজিস্ট ড. এমিলি রবার্টস বলেছেন, “আমলকির পুষ্টিগুণ হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।”
চুল ও ত্বকের যত্নেও কাঁচা আমলকি বহুদিন ধরে জনপ্রিয়। ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে। পাশাপাশি, চুলের গোড়াকে শক্ত করে চুল পড়া কমায় এবং অকাল পাকা রোধ করে। অনেক আয়ুর্বেদিক তেল ও চুলের যত্নের পণ্যে কাঁচা আমলকি ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডার্মাটোলজি বিশেষজ্ঞ ড. হান সু-কিম জানান, “আমলকি ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে বয়সের ছাপ দেরিতে আনে, আর মাথার ত্বকের রক্তসঞ্চালন উন্নত করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।”
এছাড়া কাঁচা আমলকি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ। এটি লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে, ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। নিয়মিত কাঁচা আমলকি খাওয়ায় লিভারের প্রদাহ কমতে পারে, যা হেপাটাইটিস বা ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য উপকারী। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর হেপাটোলজি গবেষক ড. ক্রিস্টোফার মিলার বলেছেন, “আমলকির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘমেয়াদে লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।”
সবশেষে বলা যায়, কাঁচা আমলকি একটি প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যরক্ষাকারী ফল। এটি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সকালবেলায় খালি পেটে একটি বা দুটি কাঁচা আমলকি খাওয়া। কেউ চাইলে পাতলা কেটে মধু দিয়ে খেতে পারেন, তবে চিনি বা লবণ মেশানো থেকে বিরত থাকাই ভালো। যদিও কাঁচা আমলকি বেশ টক, তবুও এর অসংখ্য স্বাস্থ্যগুণের জন্য একটু স্বাদ সহ্য করাই লাভজনক। তবে যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা বা কিডনির পাথরের ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সুতরাং, প্রকৃতির এই ছোট্ট সবুজ ফলটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং এক প্রাকৃতিক ওষুধের ভাণ্ডার। সঠিক পরিমাণে ও নিয়মিত কাঁচা আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর, মন ও চেহারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে বাধ্য। যেমনটি প্রাচীন আয়ুর্বেদের চিকিৎসকেরা বলেছেন, “যদি আমলকি থাকে, তবে শরীর থাকবে সবল, মন থাকবে প্রফুল্ল, আর বয়সও হার মানবে।”
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
২১ ঘণ্টা আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
১ দিন আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগে