ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
এ যুগে এআই চ্যাটবট অনেকের হাতের নাগালে চলে এসেছে। নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে শুরু করে লেখালিখি, অনুবাদ, এমনকি পড়াশোনার সহযোগী হিসেবেও কাজ করছে এগুলো। তবে একটি ব্যাপার মাথায় রাখা খুব জরুরি—চ্যাটবট মানুষের মতো বিশ্বস্ত বন্ধু নয়। এখানে যা লিখছেন, তা কোনো না কোনোভাবে ডেটা হিসেবে সংরক্ষিত হতে পারে। সেই তথ্য ভুল হাতে গেলে আপনার জীবন, অর্থ কিংবা নিরাপত্তা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই ব্যবহারকারীর সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইন্টারনেটে একবার কোনো সংবেদনশীল তথ্য চলে গেলে তা ফেরত আনা প্রায় অসম্ভব। সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন প্রতারণা চালাতে পারে। তাই কয়েকটি তথ্য কখনোই এআই চ্যাটবটকে দেওয়া উচিত নয়। আসুন সেগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), জন্মনিবন্ধন কিংবা পাসপোর্ট নম্বর একটি ব্যক্তির পরিচয়ের মূল ভিত্তি। এগুলো শেয়ার করলে পরিচয় চুরি বা জালিয়াতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিদেশি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেভিন মিটনিক একবার বলেছিলেন, “আপনার পরিচয়পত্র নম্বর যেন সোনার চাবি—এটা কারও হাতে গেলে আপনার পরিচয়ই আর আপনার থাকে না।” তাই এই তথ্য চ্যাটবটকে কখনো দেবেন না।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের বিবরণ, পিন বা CVV নম্বর—এসবই আর্থিক নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। একবার এগুলো ফাঁস হলে অ্যাকাউন্ট খালি হতে সময় লাগে না। আমেরিকার আর্থিক গবেষক মাইকেল থমাস বলেন, “অনলাইনে আর্থিক তথ্য লেখা মানে যেন খোলা মাঠে টাকা ফেলে আসা।”
ইমেইল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা অফিসের কোনো ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড চ্যাটবটে টাইপ করা সম্পূর্ণ বোকামি। পাসওয়ার্ড শুধু আপনি জানবেন, আর অন্য কারও কাছে ফাঁস হলেই তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে।
আপনার বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা অপরিচিত জায়গায় তুলে ধরলে তা শারীরিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ায়। অপরাধীরা সহজেই সেটা ব্যবহার করে আপনার পরিবারকে টার্গেট করতে পারে।
ফোন নম্বর দিয়ে হ্যাকাররা নানা অ্যাপ বা সেবায় ঢোকার চেষ্টা করে। আবার প্রতারকরা আপনার নাম্বার পেলে ভুয়া কল দিয়ে ওটিপি কোড চাইতে পারে। ফলে এক মুহূর্তেই সব টাকা উধাও হয়ে যেতে পারে।
আপনার মেডিকেল রিপোর্ট, রোগ নির্ণয়ের কাগজ বা ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস ব্যক্তিগত ব্যাপার। এসব তথ্য প্রকাশ্যে গেলে চাকরি, বিমা কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কোনো কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা, গোপন নথি বা অফিসের প্রজেক্ট চ্যাটবটে শেয়ার করা কখনোই উচিত নয়। এতে শুধু ব্যক্তিগত নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে।
অন্য কারো ফোন নম্বর, ঠিকানা বা পরিচয়পত্রের তথ্য শেয়ার করা শুধু অনৈতিকই নয়, অনেক দেশে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ক্রিপ্টো ওয়ালেটের প্রাইভেট কি, মোবাইল ব্যাংকিং পিন বা ওটিপি (One Time Password) চ্যাটবটে টাইপ করলে তা যে কোনো সময় হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। সাইবার গবেষক লিন্ডা ব্রাউনের মতে, “একটি প্রাইভেট কি হলো আপনার ডিজিটাল সিন্দুকের চাবি, সেটি প্রকাশ মানেই চুরি ডেকে আনা।”
আজকের দিনে ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। চ্যাটবটে এগুলো আপলোড করলে তা অন্য কারও হাতে চলে যেতে পারে। একবার ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে আর থামানো যায় না।
এআই চ্যাটবটকে আমরা নানা কাজে ব্যবহার করতে পারি—পড়াশোনা, লেখালিখি বা জ্ঞান আহরণের জন্য। তবে মনে রাখতে হবে, এটি কোনো নিরাপদ ভল্ট নয়। একবার সংবেদনশীল তথ্য দিয়ে ফেললে তা কোথায় সংরক্ষিত হবে বা কীভাবে ব্যবহার হবে, সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই নিজের নিরাপত্তার জন্য সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
সূত্র: পপুলার মেকানিকস
এ যুগে এআই চ্যাটবট অনেকের হাতের নাগালে চলে এসেছে। নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে শুরু করে লেখালিখি, অনুবাদ, এমনকি পড়াশোনার সহযোগী হিসেবেও কাজ করছে এগুলো। তবে একটি ব্যাপার মাথায় রাখা খুব জরুরি—চ্যাটবট মানুষের মতো বিশ্বস্ত বন্ধু নয়। এখানে যা লিখছেন, তা কোনো না কোনোভাবে ডেটা হিসেবে সংরক্ষিত হতে পারে। সেই তথ্য ভুল হাতে গেলে আপনার জীবন, অর্থ কিংবা নিরাপত্তা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই ব্যবহারকারীর সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইন্টারনেটে একবার কোনো সংবেদনশীল তথ্য চলে গেলে তা ফেরত আনা প্রায় অসম্ভব। সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন প্রতারণা চালাতে পারে। তাই কয়েকটি তথ্য কখনোই এআই চ্যাটবটকে দেওয়া উচিত নয়। আসুন সেগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), জন্মনিবন্ধন কিংবা পাসপোর্ট নম্বর একটি ব্যক্তির পরিচয়ের মূল ভিত্তি। এগুলো শেয়ার করলে পরিচয় চুরি বা জালিয়াতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিদেশি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেভিন মিটনিক একবার বলেছিলেন, “আপনার পরিচয়পত্র নম্বর যেন সোনার চাবি—এটা কারও হাতে গেলে আপনার পরিচয়ই আর আপনার থাকে না।” তাই এই তথ্য চ্যাটবটকে কখনো দেবেন না।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের বিবরণ, পিন বা CVV নম্বর—এসবই আর্থিক নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। একবার এগুলো ফাঁস হলে অ্যাকাউন্ট খালি হতে সময় লাগে না। আমেরিকার আর্থিক গবেষক মাইকেল থমাস বলেন, “অনলাইনে আর্থিক তথ্য লেখা মানে যেন খোলা মাঠে টাকা ফেলে আসা।”
ইমেইল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা অফিসের কোনো ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড চ্যাটবটে টাইপ করা সম্পূর্ণ বোকামি। পাসওয়ার্ড শুধু আপনি জানবেন, আর অন্য কারও কাছে ফাঁস হলেই তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে।
আপনার বর্তমান বা স্থায়ী ঠিকানা অপরিচিত জায়গায় তুলে ধরলে তা শারীরিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ায়। অপরাধীরা সহজেই সেটা ব্যবহার করে আপনার পরিবারকে টার্গেট করতে পারে।
ফোন নম্বর দিয়ে হ্যাকাররা নানা অ্যাপ বা সেবায় ঢোকার চেষ্টা করে। আবার প্রতারকরা আপনার নাম্বার পেলে ভুয়া কল দিয়ে ওটিপি কোড চাইতে পারে। ফলে এক মুহূর্তেই সব টাকা উধাও হয়ে যেতে পারে।
আপনার মেডিকেল রিপোর্ট, রোগ নির্ণয়ের কাগজ বা ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস ব্যক্তিগত ব্যাপার। এসব তথ্য প্রকাশ্যে গেলে চাকরি, বিমা কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কোনো কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা, গোপন নথি বা অফিসের প্রজেক্ট চ্যাটবটে শেয়ার করা কখনোই উচিত নয়। এতে শুধু ব্যক্তিগত নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে।
অন্য কারো ফোন নম্বর, ঠিকানা বা পরিচয়পত্রের তথ্য শেয়ার করা শুধু অনৈতিকই নয়, অনেক দেশে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ক্রিপ্টো ওয়ালেটের প্রাইভেট কি, মোবাইল ব্যাংকিং পিন বা ওটিপি (One Time Password) চ্যাটবটে টাইপ করলে তা যে কোনো সময় হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। সাইবার গবেষক লিন্ডা ব্রাউনের মতে, “একটি প্রাইভেট কি হলো আপনার ডিজিটাল সিন্দুকের চাবি, সেটি প্রকাশ মানেই চুরি ডেকে আনা।”
আজকের দিনে ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। চ্যাটবটে এগুলো আপলোড করলে তা অন্য কারও হাতে চলে যেতে পারে। একবার ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে আর থামানো যায় না।
এআই চ্যাটবটকে আমরা নানা কাজে ব্যবহার করতে পারি—পড়াশোনা, লেখালিখি বা জ্ঞান আহরণের জন্য। তবে মনে রাখতে হবে, এটি কোনো নিরাপদ ভল্ট নয়। একবার সংবেদনশীল তথ্য দিয়ে ফেললে তা কোথায় সংরক্ষিত হবে বা কীভাবে ব্যবহার হবে, সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই নিজের নিরাপত্তার জন্য সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
সূত্র: পপুলার মেকানিকস
কলার মোঁচা, বা ইংরেজিতে যাকে বলা হয় “banana peel”, আমাদের জীবনে অনেক সময়ই অবহেলিত একটি জিনিস। আমরা কলা খেয়ে মোঁচাটা সাধারণত ফেলে দিই। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কলার মোঁচায় রয়েছে চমকপ্রদ অনেক উপকারিতা, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। এই মোঁচা শুধুমাত্র একটি বর্জ্য নয়, বরং এটি অনেক
৩ দিন আগেভাবুন তো, ঘরের কোণে রাখা টবে একগুচ্ছ গাছ, আর রাত নামতেই হালকা নীল, সবুজ, লাল কিংবা বেগুনি আলো ছড়িয়ে পুরো ঘরটাকে আলোকিত করে তুলল। বিদ্যুতের বাল্ব নয়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গাছের ভেতর থেকেই বের হচ্ছে সেই আলো। এমন স্বপ্নময় কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন চীনের একদল বিজ্ঞানী। তাঁরা তৈরি করেছেন পৃথিবীর প্রথম ব
৩ দিন আগেমানুষের খাদ্যাভ্যাসে মধু আর রসুন দুটোই বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। দুটো উপাদান আলাদাভাবে যেমন ভেষজ গুণে ভরপুর, একসাথে খাওয়ার বিষয়টিও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত হয়েছে। প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে যেমন আয়ুর্বেদ বা ইউনানি চিকিৎসায় রসুনকে বলা হয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, তেমনি মধুকে ধরা হয় দেহশক্তি বৃ
৩ দিন আগেটিকটক এমন এক জায়গা যেখানে মানুষ নিজের পছন্দের জিনিস আবিষ্কার করে, নতুন কমিউনিটি গড়ে তোলে এবং নিজের ভাবনা বা প্রতিভা প্রকাশ করে। আমাদের লক্ষ্য খুবই সহজ—মানুষকে সৃজনশীলতায় অনুপ্রাণিত করা এবং আনন্দ দেওয়া।
৩ দিন আগে