অরুণ কুমার
অ্যারিস্টটল মনে করতেন স্থিরতাই বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম, শুধু বল প্রয়োগ করেই বস্তুকে গতিশীল করা সম্ভব। কোনো বস্তুতে যতক্ষণ পর্যন্ত বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত্ম সেটা গতিশীল থাকবে। বল প্রয়োগ বন্ধ হলে থেমে যাবে গতিশীল বস্তু। এ যুগের হাইস্কুলপড়ুয়া একটা ছেলেও জানে, এটা ঠিক নয়। কারণ, তারা নিউটনের গতিবিদ্যা পড়ে। নিউটন বলেছিলেন, বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল যেমন স্থির থাকবে, তেমনি গতিশীল বস্তু বাধা না পেলে একই গতিতে অনন্ত্মকাল ধরে চলতে থাকবে।অ্যারিস্টটল মনে করতেন স্থিরতাই বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম, শুধু বল প্রয়োগ করেই বস্তুকে গতিশীল করা সম্ভব। কোনো বস্তুতে যতক্ষণ পর্যন্ত বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত্ম সেটা গতিশীল থাকবে। বল প্রয়োগ বন্ধ হলে থেমে যাবে গতিশীল বস্তু। এ যুগের হাইস্কুলপড়ুয়া একটা ছেলেও জানে, এটা ঠিক নয়। কারণ, তারা নিউটনের গতিবিদ্যা পড়ে। নিউটন বলেছিলেন, বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল যেমন স্থির থাকবে, তেমনি গতিশীল বস্তু বাধা না পেলে একই গতিতে অনন্ত্মকাল ধরে চলতে থাকবে।
অ্যারিস্টটল আর নিউটনের গতিবিষয়ক তত্ত্বে আকাশ-পাতাল ফারাক। কারণ, নিউটনের হাতে ছিল গণিতের ভাষা আর পরীক্ষামূলক প্রমাণ। অ্যারিস্টটলের কালে যুক্তিতর্ক আর কাণ্ডজ্ঞান দিয়ে যেটাকে ঠিক মনে করা হতো, সেটাই হয়ে উঠত অমর বাণী। সেই অমোঘ বাণী ঠিক না বেঠিক, সেটাকে পরীক্ষা করে যাচাই করার ভাবনা সেকালে কারও মাথায় আসেনি। অ্যারিস্টটলের জানা ছিল না মহাকর্ষ বল কী? মহাকর্ষ বলশূন্য কোনো স্থানের কল্পনা করাও তাঁর পক্ষে যেমন সম্ভব ছিল না, সম্ভব ছিল না মহাকর্ষীয় টানে বস্তু থেমে যাওয়ার ব্যাপারটা অনুধাবন করাও। অ্যারিস্টটলের জানা ছিল না, মৌলিক পদার্থ আর এদের অণু-পরমাণুর কথা। সব মিলিয়ে ভর এবং ভারত্ব নিয়ে পরিষ্কার কোনো চিত্র ছিল না অ্যারিস্টটলের মনে। তিনি মনে করতেন পানি, মাটি, আগুন আর বাতাস দিয়েই মহাবিশ্বের তাবৎ বস্তু তৈরি। সুতরাং দাঁড়িপাল্লা ছাড়া আর কোনো উপায়ে বস্তুর ভর মাপার পদ্ধতি সেকালের দার্শনিকদের জানা ছিল না। দাঁড়িপাল্লা দিয়ে আমরা যে ভর মাপি, সেটা তো আসল ভর নয়। কিন্তু বস্তুর সত্যিকারের ভরের হদিস পেতে বহুদিন সময় লেগেছে।
ভারী আর হালকা বস্তু নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল অ্যারিস্টটলীয় দর্শনে। মনে করা হতো, যেসব বস্তু স্বর্গীয় সেগুলো উড়ে ওপর দিকে উঠে যায়, তার শেষ গন্ত্মব্য হয় স্বর্গে। যেমন ধোঁয়া-বাষ্প, এগুলোকে স্বর্গীয় বস্তু বলে মনে করতেন অ্যারিস্টটল। আর যেসব বস্তু স্বর্গীয় নয়, তাদের পক্ষে সম্ভব নয় ওপরে উঠে স্বর্গের পথে চলে যাওয়া। ভারী বস্তু স্বর্গীয় নয়, তাই এদের ওপর দিকে ছুড়ে মারলে আবার মাটিতে ফিরে আসে। যে বস্তু যত বেশি ভারী, অ্যারিস্টটল বলেন, পৃথিবীর সঙ্গে সে বস্তুর সম্পর্ক তত বেশি ঘনিষ্ঠ; ঠিক ততটাই বেশি দূরত্ব স্বর্গের সঙ্গে। এ কারণেই বস্তু যত ভারী, তাকে ওপর থেকে ছেড়ে দিলে তত দ্রুত নিচে নেমে আসবে।
সুতরাং অ্যারিস্টটলের অনেক ভাবনা যেমন সভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিভ্রান্তিকর ভাবনাও কম ছিল না।
অ্যারিস্টটল মনে করতেন স্থিরতাই বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম, শুধু বল প্রয়োগ করেই বস্তুকে গতিশীল করা সম্ভব। কোনো বস্তুতে যতক্ষণ পর্যন্ত বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত্ম সেটা গতিশীল থাকবে। বল প্রয়োগ বন্ধ হলে থেমে যাবে গতিশীল বস্তু। এ যুগের হাইস্কুলপড়ুয়া একটা ছেলেও জানে, এটা ঠিক নয়। কারণ, তারা নিউটনের গতিবিদ্যা পড়ে। নিউটন বলেছিলেন, বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল যেমন স্থির থাকবে, তেমনি গতিশীল বস্তু বাধা না পেলে একই গতিতে অনন্ত্মকাল ধরে চলতে থাকবে।অ্যারিস্টটল মনে করতেন স্থিরতাই বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম, শুধু বল প্রয়োগ করেই বস্তুকে গতিশীল করা সম্ভব। কোনো বস্তুতে যতক্ষণ পর্যন্ত বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত্ম সেটা গতিশীল থাকবে। বল প্রয়োগ বন্ধ হলে থেমে যাবে গতিশীল বস্তু। এ যুগের হাইস্কুলপড়ুয়া একটা ছেলেও জানে, এটা ঠিক নয়। কারণ, তারা নিউটনের গতিবিদ্যা পড়ে। নিউটন বলেছিলেন, বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল যেমন স্থির থাকবে, তেমনি গতিশীল বস্তু বাধা না পেলে একই গতিতে অনন্ত্মকাল ধরে চলতে থাকবে।
অ্যারিস্টটল আর নিউটনের গতিবিষয়ক তত্ত্বে আকাশ-পাতাল ফারাক। কারণ, নিউটনের হাতে ছিল গণিতের ভাষা আর পরীক্ষামূলক প্রমাণ। অ্যারিস্টটলের কালে যুক্তিতর্ক আর কাণ্ডজ্ঞান দিয়ে যেটাকে ঠিক মনে করা হতো, সেটাই হয়ে উঠত অমর বাণী। সেই অমোঘ বাণী ঠিক না বেঠিক, সেটাকে পরীক্ষা করে যাচাই করার ভাবনা সেকালে কারও মাথায় আসেনি। অ্যারিস্টটলের জানা ছিল না মহাকর্ষ বল কী? মহাকর্ষ বলশূন্য কোনো স্থানের কল্পনা করাও তাঁর পক্ষে যেমন সম্ভব ছিল না, সম্ভব ছিল না মহাকর্ষীয় টানে বস্তু থেমে যাওয়ার ব্যাপারটা অনুধাবন করাও। অ্যারিস্টটলের জানা ছিল না, মৌলিক পদার্থ আর এদের অণু-পরমাণুর কথা। সব মিলিয়ে ভর এবং ভারত্ব নিয়ে পরিষ্কার কোনো চিত্র ছিল না অ্যারিস্টটলের মনে। তিনি মনে করতেন পানি, মাটি, আগুন আর বাতাস দিয়েই মহাবিশ্বের তাবৎ বস্তু তৈরি। সুতরাং দাঁড়িপাল্লা ছাড়া আর কোনো উপায়ে বস্তুর ভর মাপার পদ্ধতি সেকালের দার্শনিকদের জানা ছিল না। দাঁড়িপাল্লা দিয়ে আমরা যে ভর মাপি, সেটা তো আসল ভর নয়। কিন্তু বস্তুর সত্যিকারের ভরের হদিস পেতে বহুদিন সময় লেগেছে।
ভারী আর হালকা বস্তু নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল অ্যারিস্টটলীয় দর্শনে। মনে করা হতো, যেসব বস্তু স্বর্গীয় সেগুলো উড়ে ওপর দিকে উঠে যায়, তার শেষ গন্ত্মব্য হয় স্বর্গে। যেমন ধোঁয়া-বাষ্প, এগুলোকে স্বর্গীয় বস্তু বলে মনে করতেন অ্যারিস্টটল। আর যেসব বস্তু স্বর্গীয় নয়, তাদের পক্ষে সম্ভব নয় ওপরে উঠে স্বর্গের পথে চলে যাওয়া। ভারী বস্তু স্বর্গীয় নয়, তাই এদের ওপর দিকে ছুড়ে মারলে আবার মাটিতে ফিরে আসে। যে বস্তু যত বেশি ভারী, অ্যারিস্টটল বলেন, পৃথিবীর সঙ্গে সে বস্তুর সম্পর্ক তত বেশি ঘনিষ্ঠ; ঠিক ততটাই বেশি দূরত্ব স্বর্গের সঙ্গে। এ কারণেই বস্তু যত ভারী, তাকে ওপর থেকে ছেড়ে দিলে তত দ্রুত নিচে নেমে আসবে।
সুতরাং অ্যারিস্টটলের অনেক ভাবনা যেমন সভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিভ্রান্তিকর ভাবনাও কম ছিল না।
দারুচিনি শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন অনেক রোগের মূল কারণ হতে পারে, যেমন আর্থ্রাইটিস বা হৃদরোগ। দারুচিনির ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মার্কিন গবেষক ড. জর্জ স্যাভান্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “দারুচিনির মধ্যে থাকা পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টিঅক্
২ দিন আগেযেদিকেই তাকান না কেন, কেবল দূরেই মনে হবে আকাশ আর মাটি মিশেছে। কিন্তু কাছাকাছি কোথাও তা খুঁজে পাবেন না। এমনটা কেন হয়?
২ দিন আগেবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
২ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
৩ দিন আগে