সকাল ও সন্ধ্যায় সূর্য লাল কেন হয়?

সকাল ও সন্ধ্যায় সূর্য লাল কেন হয়?

অরুণ কুমার
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ৪০
সকাল-সন্ধ্যায় সূর্য লাল দেখায়

সূর্য সাধারণ হলুদাভাব সাদা রঙের। অন্তত সারাদিন সূর্যকে আমরা এমনই দেখি। কিন্তু সবসময়ই সূর্য হলুদ-সাদা। সকাল সন্ধ্যায় সূর্য রং টকটকে লাল।

এর কারণ কী?

আমাদের দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। আর যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বড় সেই আলো তার শক্তি ধরে রেখে বহুদূর পাড়ি দিতে পারে।

অন্যদিকে বেগুনী আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এর কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশি। বেশি কম্পাঙ্কের আলো ঘন ঘন স্পন্দনের ফলে এক সময় শক্তি হারিয়ে ফেলে। ঠিক যেখানে এই সম্পূর্ণ শক্তি হারায় সেখান থেকে ওই আলো আর দেখা যায় না।

সূর্য থেকে যে শক্তি নিয়ে সাদা আলো বের হয় তা নিয়ে দিনের অন্যভাগে সবটুকু আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্য আমাদের থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে। এ সময় সূর্যালোকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এই পথটুকু পাড়ি দিয়ে আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু অন্যান্য আলোকরশ্মিগুলো মাঝপথেই তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই তারা আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।

সুতরাং শুধু লাল আলোই আমাদের দেখতে হয়। এ কারণে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায়।

ad
ad

ফিচার থেকে আরও পড়ুন

নতুন লড়াইয়ে জুলাই নারী যোদ্ধারা

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের নারীরা গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন৷ তারা রাজপথে লড়াই করেছেন৷ মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেনও অনেকে৷ কিন্তু সেই নারীরা যে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে৷

৩ ঘণ্টা আগে

দক্ষিণ এশিয়ায় ‘আম কূটনীতি’— রেষারেষির সঙ্গে রয়েছে রহস্যও

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে আমকে কেন্দ্র করে কূটনীতি ও পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিযোগিতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। দিল্লি ও ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের সেরা জাতের আম বিশ্বনেতাদের উপহার দিয়ে আসছে।

২০ ঘণ্টা আগে

এক জিবি ইন্টারনেট ডাটা ফ্রি পাচ্ছেন সব মোবাইল গ্রাহক

গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক কিংবা টেলিটক—স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

১ দিন আগে

সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোল যুদ্ধ, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর। সেই দিনে মহাকাশে ঘটে গেল এক ভয়ংকর বড় ঘটনা। দুটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক হয়ে গেল। এই একীভবনের ফলে তৈরি হলো একটি নতুন ব্ল্যাক হোল। তার ওজন আমাদের সূর্যের চেয়ে ২২৫ গুণ বেশি। এটা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ। এই ঘটনার নাম রাখ

২ দিন আগে