ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
অবশ্যই। নিচে একই লেখাটি আরও সহজ ভাষায়, ছোট ছোট বাক্যে এবং সাবলীল ভঙ্গিতে টানা অনুচ্ছেদে ফিচার হিসেবে তুলে ধরা হলো:
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর। সেই দিনে মহাকাশে ঘটে গেল এক ভয়ংকর বড় ঘটনা। দুটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক হয়ে গেল। এই একীভবনের ফলে তৈরি হলো একটি নতুন ব্ল্যাক হোল। তার ওজন আমাদের সূর্যের চেয়ে ২২৫ গুণ বেশি। এটা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ। এই ঘটনার নাম রাখা হয়েছে GW 231123—তারিখ অনুযায়ী নামকরণ।
এর আগে যে ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ রেকর্ড হয়েছিল, সেটি তৈরি করেছিল ১৪২ সূর্য ওজনের ব্ল্যাক হোল। এবার সেটা ছাড়িয়ে গেছে অনেকটাই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এত বড় ব্ল্যাক হোল সাধারণভাবে তৈরি হওয়ার কথা নয়। কারণ কোনো একটি বড় তারা বিস্ফোরিত হয়ে ব্ল্যাক হোল তৈরি করলে, সেটি এত ওজনের হয় না। খুব বড় ওজনের তারা এক ধরনের ভয়াবহ বিস্ফোরণে একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়। সেটিকে বলে পেয়ার-ইনস্ট্যাবিলিটি সুপারনোভা। এই বিস্ফোরণে কিছুই বাকি থাকে না। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দুটি ব্ল্যাক হোল আগে আরও ছোট ব্ল্যাক হোলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। সেখান থেকে তারা বড় হয়েছিল।
এই ঘটনা ধরা পড়ে তিনটি জায়গায়—LIGO, Virgo ও KAGRA নামের গবেষণাগারে। এই গবেষণাগারগুলো মহাকাশের খুব সূক্ষ্ম কম্পন ধরতে পারে। এমন কম্পন হয়, যখন দুই ব্ল্যাক হোল একত্র হয়। এই কম্পনকে বলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। ২০১৫ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গ ধরতে পারছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ পাওয়া গেছে। তবে GW 231123 সবচেয়ে শক্তিশালী সংকেত দিয়েছে।
বিজ্ঞানী মার্ক হ্যানাম বলছেন, এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাক হোল যুগল। তিনি বলেন, এত ভারী ব্ল্যাক হোল সাধারণ নিয়মে তৈরি হওয়ার কথা নয়। তাই এটা আমাদের পুরনো ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আরেক বিজ্ঞানী গ্রেগরিও কারুল্লো বলেন, পুরো সংকেত বুঝে ফেলতে অনেক সময় লাগবে। তিনি বলেন, এটা হয়তো শুধু একটা সংঘর্ষ নয়। এর মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে আরও অনেক রহস্য।
বিজ্ঞানীরা আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন। সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুই ব্ল্যাক হোলই খুব দ্রুত ঘুরছিল। অনেক বেশি গতিতে। সাধারণত যখন দুটি ব্ল্যাক হোল মিলে যায়, তখন নতুন ব্ল্যাক হোলটি আগের চেয়েও বেশি ঘোরে। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এত দ্রুত ঘূর্ণনের মানে হলো—এই ব্ল্যাক হোলগুলো আগে অন্য সংঘর্ষেও অংশ নিয়েছিল।
ছোট ব্ল্যাক হোল আমরা চোখে দেখতে পাই না। কারণ এগুলো আলো দেয় না। তাই তাদের খুঁজে বের করতে হয় এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দিয়ে। এইভাবে বিজ্ঞানীরা এখন অনেক তথ্য জানতে পারছেন। আগে এসব ছিল শুধু তত্ত্ব। এখন তা বাস্তব ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, GW 231123 আমাদের আরও বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। যেমন—সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল কীভাবে তৈরি হয়? এই বিশাল ব্ল্যাক হোলগুলো গ্যালাক্সির মাঝে থাকে। তাদের ওজন হয় লাখ লাখ সূর্যের মতো। কিন্তু তারা এত বড় হয় কীভাবে, তা এখনো জানা যায়নি। হতে পারে, GW 231123 তার একটা সূত্র দিতে পারে।
এই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হবে আন্তর্জাতিক দুটি বড় সম্মেলনে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটা এক নতুন সময়ের শুরু। এই আবিষ্কার আমাদের মহাবিশ্ব নিয়ে ভাবার ধরন বদলে দিতে পারে। এটা প্রমাণ করে, মহাকাশ এখনো অজানায় ভরা। আমরা যতই জানি, জানার শেষ নেই। GW 231123 সেই রহস্যের আরও এক দরজা খুলে দিল।
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
অবশ্যই। নিচে একই লেখাটি আরও সহজ ভাষায়, ছোট ছোট বাক্যে এবং সাবলীল ভঙ্গিতে টানা অনুচ্ছেদে ফিচার হিসেবে তুলে ধরা হলো:
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর। সেই দিনে মহাকাশে ঘটে গেল এক ভয়ংকর বড় ঘটনা। দুটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক হয়ে গেল। এই একীভবনের ফলে তৈরি হলো একটি নতুন ব্ল্যাক হোল। তার ওজন আমাদের সূর্যের চেয়ে ২২৫ গুণ বেশি। এটা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ। এই ঘটনার নাম রাখা হয়েছে GW 231123—তারিখ অনুযায়ী নামকরণ।
এর আগে যে ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ রেকর্ড হয়েছিল, সেটি তৈরি করেছিল ১৪২ সূর্য ওজনের ব্ল্যাক হোল। এবার সেটা ছাড়িয়ে গেছে অনেকটাই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এত বড় ব্ল্যাক হোল সাধারণভাবে তৈরি হওয়ার কথা নয়। কারণ কোনো একটি বড় তারা বিস্ফোরিত হয়ে ব্ল্যাক হোল তৈরি করলে, সেটি এত ওজনের হয় না। খুব বড় ওজনের তারা এক ধরনের ভয়াবহ বিস্ফোরণে একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়। সেটিকে বলে পেয়ার-ইনস্ট্যাবিলিটি সুপারনোভা। এই বিস্ফোরণে কিছুই বাকি থাকে না। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দুটি ব্ল্যাক হোল আগে আরও ছোট ব্ল্যাক হোলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। সেখান থেকে তারা বড় হয়েছিল।
এই ঘটনা ধরা পড়ে তিনটি জায়গায়—LIGO, Virgo ও KAGRA নামের গবেষণাগারে। এই গবেষণাগারগুলো মহাকাশের খুব সূক্ষ্ম কম্পন ধরতে পারে। এমন কম্পন হয়, যখন দুই ব্ল্যাক হোল একত্র হয়। এই কম্পনকে বলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। ২০১৫ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গ ধরতে পারছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষ পাওয়া গেছে। তবে GW 231123 সবচেয়ে শক্তিশালী সংকেত দিয়েছে।
বিজ্ঞানী মার্ক হ্যানাম বলছেন, এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাক হোল যুগল। তিনি বলেন, এত ভারী ব্ল্যাক হোল সাধারণ নিয়মে তৈরি হওয়ার কথা নয়। তাই এটা আমাদের পুরনো ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আরেক বিজ্ঞানী গ্রেগরিও কারুল্লো বলেন, পুরো সংকেত বুঝে ফেলতে অনেক সময় লাগবে। তিনি বলেন, এটা হয়তো শুধু একটা সংঘর্ষ নয়। এর মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে আরও অনেক রহস্য।
বিজ্ঞানীরা আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন। সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুই ব্ল্যাক হোলই খুব দ্রুত ঘুরছিল। অনেক বেশি গতিতে। সাধারণত যখন দুটি ব্ল্যাক হোল মিলে যায়, তখন নতুন ব্ল্যাক হোলটি আগের চেয়েও বেশি ঘোরে। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এত দ্রুত ঘূর্ণনের মানে হলো—এই ব্ল্যাক হোলগুলো আগে অন্য সংঘর্ষেও অংশ নিয়েছিল।
ছোট ব্ল্যাক হোল আমরা চোখে দেখতে পাই না। কারণ এগুলো আলো দেয় না। তাই তাদের খুঁজে বের করতে হয় এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দিয়ে। এইভাবে বিজ্ঞানীরা এখন অনেক তথ্য জানতে পারছেন। আগে এসব ছিল শুধু তত্ত্ব। এখন তা বাস্তব ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, GW 231123 আমাদের আরও বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। যেমন—সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল কীভাবে তৈরি হয়? এই বিশাল ব্ল্যাক হোলগুলো গ্যালাক্সির মাঝে থাকে। তাদের ওজন হয় লাখ লাখ সূর্যের মতো। কিন্তু তারা এত বড় হয় কীভাবে, তা এখনো জানা যায়নি। হতে পারে, GW 231123 তার একটা সূত্র দিতে পারে।
এই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হবে আন্তর্জাতিক দুটি বড় সম্মেলনে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটা এক নতুন সময়ের শুরু। এই আবিষ্কার আমাদের মহাবিশ্ব নিয়ে ভাবার ধরন বদলে দিতে পারে। এটা প্রমাণ করে, মহাকাশ এখনো অজানায় ভরা। আমরা যতই জানি, জানার শেষ নেই। GW 231123 সেই রহস্যের আরও এক দরজা খুলে দিল।
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও বেনাপোল-খুলনা-মোংলা (যশোর হয়ে) রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বেতনা কমিউটার ট্রেন বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বর্তমান আয়ের তুলনায় বেশি অর্থ পেলে নীতিমালা অনুযায়ী লিজ দেওয়া যেতে পারে। যদিও এই উদ্যোগ ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
১৬ ঘণ্টা আগেআগে অনেকেই এমন করতেন—ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে যাওয়া কোনো ভিডিও বা ক্লিপ নিয়ে সেটি নিজের চ্যানেলে দিয়ে দিতেন, যাতে প্রচুর ভিউ হয় এবং সহজেই অর্থ আয় করা যায়। ইউটিউব এবার এটিকে বলছে ‘ইনঅথেন্টিকেটেড কন্টেন্ট’ বা ‘অসত্য কনটেন্ট’। এর মানে, যা নিজের নয় এবং তাতে নতুন কিছু যোগ করা হয়নি—সেই কনটেন্ট আর মানিটাইজ হবে না
২ দিন আগেসমস্যার শুরু যখন পারস্যের অধীনে থাকা আয়োনীয় (বর্তমান তুরস্কের উপকূলীয় অঞ্চল) কিছু গ্রিক নগররাষ্ট্র বিদ্রোহ করে এবং অ্যাথেন্স তাদের সাহায্য করে। দরিয়ুস এটাকে নিজের সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেন এবং অ্যাথেন্সকে শিক্ষা দিতে একটি সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেন।
২ দিন আগেপুদিনা পাতা হজমে সহায়ক। প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় পুদিনা পাতাকে পেট ঠাণ্ডা রাখা, গ্যাস-অম্বল কমানো এবং হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২ দিন আগে