অরণ্যের অধিকারের দাবিতে ব্রাজিলে জনজাতিদের আন্দোলন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ১৭
অরণ্যের অধিকার দাবি করছেন জনজাতিরা। ছবি: এপি

নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় প্রতিবাদে নেমেছেন জনজাতি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ। একই সঙ্গে আগামী নভেম্বরে ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠেয় কপ৩০ সম্মেলনে জৈব জ্বালানির ব্যবহার কম করার প্রতিশ্রুতি আদায়েরও দাবি রেখেছেন এই প্রতিবাদীরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০২৩-এর আইন তাদের পৈত্রিক জমির অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এর ফলে চাষ ও কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে জমি হারাচ্ছেন কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর মানুষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই বিবাদ দেশের সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছে। জনজাতি ও প্রভাবশালী কৃষি ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনজাতিদের সংগঠন নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ করেছে, জমির ওপর তাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে এ সপ্তাহের শুরুতে অ্যামাজন ও ওশেনিয়া থেকে আগত হাজার হাজার জনজাতিভুক্ত মানুষ ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক টেরা লিভ্র বা মুক্ত জমি প্রতিবাদ মঞ্চে অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এই জনজাতি সম্প্রদায়ের একাংশ কংগ্রেস অভিমুখে যাত্রা করলে দিকে স্থানীয় সুরক্ষা বাহিনী তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং তার থেকে উত্তেজনা ছড়ায়।

ব্রাজিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, জনজাতিদের একাংশ কংগ্রেসে প্রবেশ করতে চাইছিল। বিক্ষোভকারীরা অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নতুন করে তেল উত্তোলন ও জৈব গ্যাসের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য বৃহস্পতিবারই ১৮০টি জনজাতি গোষ্ঠী ও সারা বিশ্বের জলবায়ু সংগঠনের প্রতিনিধিরা কপ সচিব আন্দ্রে কোরিয়া দো লাগোকে একটি চিঠি দেন।

জৈব গ্যাসের বদলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার সহজতর করার জন্য এবং উষ্ণায়নের মাত্রাকে শিল্প-পূর্ববর্তী মাত্রা থেকে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখারও আবেদন করা হয় ওই চিঠিতে।

ল্যাটিন অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদক দেশ ব্রাজিল। প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা অ্যামাজন নদীর মুখ থেকে ৫০০ কিমির মধ্যে তেলের জন্য ড্রিলিংয়ের অনুমতি দিতে চান।

প্রেসিডেন্ট বলসেনারোর শাসনকালে জনজাতির অধিকার এবং অরণ্য রক্ষা বিপন্ন হয়েছিল। ২০২২-এ ক্ষমতায় ফিরে লুলা সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে এতটা সফল কীভাবে

হুতিদের প্রযুক্তিগত উত্থান শুরু হয় ২০১৫ সালের দিকে, যখন সৌদি আরব তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। এই সময় থেকেই হুতিরা বুঝে যায়, শুধু ছোট অস্ত্র বা স্থানীয় হামলা দিয়ে টিকে থাকা যাবে না। দরকার প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরোধ। সেই থেকেই শুরু হয় তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, এবং স্যাটেলাইট-নির্ভর হামলা

২ দিন আগে

চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হতে চায়

ওয়াং ই বলেন, চীন বাংলাদেশের কেবল বন্ধু নয়, বরং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশী ও উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে পাশে থাকতে চায়। এছাড়া চীন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন জানায় বলে জানান তিনি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়নের পথ অন্বেষণে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

২ দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্র সবসময় কেন ইসরায়েলের পক্ষ নেয়

যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন আবার সম্পর্ক উষ্ণ হলো। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন, মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করলেন এবং গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নিলেন। এ সময়ের নীতিগুলো ফিলিস্তিনের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।

২ দিন আগে

লোহিত সাগরে আবারও জাহাজ ডোবাল হুতিরা, নিহত ৪

লোহিত সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ও মানববিহীন নৌকা দিয়ে হামলা চালিয়ে আরও একটি মালবাহী জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। এতে চারজন নিহত এবং আরও অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

২ দিন আগে