বিহারে জয়ের পথে বিজেপি জোট

বিবিসি বাংলা
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৯
নীতিশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদী

ভারতের বিহারে দুই দফার ভোটগ্রহণ শেষে প্রকাশিত বিভিন্ন বুথ-ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোলে যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, শুক্রবার ভোট গণনার শুরু থেকেই সেই ধারা বজায় রয়েছে। বিপুল ভোটে জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে বিজেপিসহ এনডিএ জোট।

ভোটের ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি কিন্তু গণনার যে ট্রেন্ড সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট বিপুল সংখ্যক আসন পেতে চলেছে।

এই জোটে রয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড – জেডিইউ এবং বিজেপিসহ আরও কিছু দল।

অন্যদিকে রাজ্য রাজনীতিতে প্রধান বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল - আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামপন্থি দলগুলোর 'মহাজোট'-এর একরকম ভরাডুবি হয়েছে।

বিবিসি হিন্দির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এনডিএ জোট এগিয়ে আছে ২০১টি আসনে, আর 'মহাজোট' এগিয়ে আছে ৩৬টি আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে ছয়টি আসনে। বিহার বিধানসভায় মোট আসন ২৪৩টি।

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই নির্বাচনে অবশ্য প্রার্থী ছিলেন না। তিনি ২০০৬ সাল থেকে বিহার বিধান পরিষদের সদস্য, যেখানে সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচন হয় না।

এছাড়া 'স্টার' প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরি এবারই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রথম থেকেই তিনি এগিয়ে আছেন।

বিরোধী মহাজোট যাকে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরেছিল, সেই তেজস্বী যাদব ভোট গণনায় কখনো এগিয়ে যাচ্ছেন, আবার কখনো সামান্য পিছিয়ে পড়ছেন।

আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা বিজয় কুমার সিনহা লক্ষীসরাই আসনে প্রথম থেকেই এগিয়ে আছেন।

বিহারের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন চলে আসা দ্বিপক্ষীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে এবার বড় আকারে ভোটের ময়দানে নেমে ২৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিলেন ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক দল জন-সুরজ পার্টি। তারা এখন পর্যন্ত কোনো আসনেই এগিয়ে নেই।

ঘটনাচক্রে নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন, তখন এই প্রশান্ত কিশোরই ছিলেন তার ভোট কুশলী। এরপরে পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস এবং তামিলনাডুতে এমকে স্তালিনের নির্বাচনি বিজয়ও মি. কিশোরের পরামর্শেই সম্ভব হয়েছিল।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ভোট গণনা যতই এগিয়েছে, ততই উদ্দীপনা বেড়েছে ক্ষমতাসীন এনডিএ মহলে। জেডিইউ এবং বিজেপির দফতরগুলোতে ঢোল বাজিয়ে আবির মেখে উৎসব শুরু হয়ে যায়। বিলি হতে থাকে মিষ্টি।

অন্যদিকে শোকের আবহাওয়া আরজেডি আর কংগ্রেসের দফতরগুলোতে।

একইসঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়াও আসতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, "বিহারের জনগণ বিজেপি-এনডিএ-কে বিপুল ভোটে জয়ী করেছে। প্রথমেই তো তাদের অভিনন্দন জানাব। বিহারের মানুষ জানিয়ে দিয়েছেন যে এখন রাজ্যে উন্নয়ন দরকার, নিজের আর সন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা দরকার। বিহারে আর জঙ্গল-রাজ দরকার নেই"।

"তুষ্টিকরণের রাজনীতি করা, পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী, দুর্নীতিবাজ আরজেডি-মহাজোটকে বিহারের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিও বিহারের মানুষের বিশ্বাস অটুট আছে," মন্তব্য মি. রাইয়ের।

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, "এখনো তো সম্পূর্ণ ফলাফল আসেনি। আমি নিশ্চিত যে ফলাফল বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব আমাদের দলের আছে, কেন এই ফল হলো তা খতিয়ে দেখা দরকার। তবে এটাও সত্য যে বিহারের জোটে আমাদের দল সিনিয়র অংশীদার ছিল না, আরজেডিকেও খতিয়ে দেখতে হবে তাদের ফলাফল"।

এই ফলাফলে অবশ্য আশ্চর্য হননি প্রখ্যাত নির্বাচন বিশেষজ্ঞ যোগেন্দ্র ইয়াদভ।

বিবিসি হিন্দিকে তিনি জানিয়েছেন, "প্রথমদিন থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে এই নির্বাচন এনডিএ-র পক্ষে যাবে। মহাজোটের তুলনায় এনডিএ অনেক বড় জোট। প্রথম থেকেই এনডিএ পাঁচ শতাংশ বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ত, এনডিএ-র সামাজিক জোট অনেকটা বড়"।

"বিহারের জাতিগত অংক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে মহাজোটের হাতে জাতিগত ভোটব্যাংকের ৪০ শতাংশ আছে, আর এনডিএর হাতে আছে ৫০ শতাংশ। এছাড়াও গত কয়েক বছরে এনডিএ, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার নারীদের ভোট নিজের পক্ষে টেনে আনার প্রচেষ্টায় সফল হচ্ছেন," বলছিলেন যোগেন্দ্র ইয়াদভ।

নীতীশ কুমার কি আবারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন?

নীতীশ কুমার লাগাতার পঞ্চমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তিনি যে জোটে থেকেছেন ২০০৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত, সেই জোটই বিহারের ক্ষমতায় এসেছে।

সত্তরের দশকে সমাজবাদী রাজনীতিতে হাতে খড়ি হওয়া বিহারের দুই শীর্ষ নেতা লালু প্রসাধ ইয়াদভ আর নীতীশ কুমার দীর্ঘদিন এক সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তবে ১৯৯৫ সালে প্রথম বিজেপির হাত ধরেন নীতীশ কুমার।

সেই জোটের হয়ে ২০০০ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মি. কুমার। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

শেষমেষ ২০০৫ সালে তিনি পূর্ণ সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। নরেন্দ্র মোদী যেবার প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, সেই ২০১৪-র ভোটের বছর খানেক আগে থেকে নীতীশ কুমার নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গ ছাড়েন তিনি। কিন্তু সেবারের লোকসভা ভোটে তার দল বিহারে মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল।

এরপরে তিনি ২০১৫ সালে নীতীশ কুমার আর লালু প্রসাদ ইয়াদভের আরজেডির সঙ্গে ছিলেন, সেই জোট জয়ী হয়েছিল। বিজেপি সেবার পেয়েছিল মাত্র ৫৩টি আসন।

আবার ২০১৭ সালে তিনি ফিরে যান বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে। কিন্তু ২০২২ সালে আবারও পক্ষ বদলিয়ে তিনি বিজেপি বিরোধী মহাজোটে শামিল হন।

কিন্তু গত বছর জানুয়ারি মাসে ফের হাত ধরেন বিজেপির। এবারের নির্বাচনেও তিনিই ছিলেন এনডিএ জোটের নেতা।

যদিও পাঁচ বছর আগে পূর্ণিয়াতে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন যে সেটাই হতে চলেছে তার রাজনৈতিক জীবনের শেষ নির্বাচন।

এই পরিস্থিতিতে এবারও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, তা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।

এসআইআরের পরে হয় ভোটগ্রহণ

ভারতের নির্বাচন কমিশন বিহারের ভোটের আগে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া চালিয়েছিল। এ নিয়ে একদিকে যেমন ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক হয়েছে, তেমনই সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ছিল মৃত এবং ভুয়া ভোটার খুঁজে বের করাই এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ বিপুলসংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক এবং মুসলমান ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়েছে তালিকা থেকে।

এর ফলে বিজেপিসহ ক্ষমতাসীন জোটেরই সুবিধা হবে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও সেসব অভিযোগ খারিজ করে দেয় কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল এবং নির্বাচন কমিশন।

প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন, বাদ যায় প্রায় ৪৭ লাখ নাম।

বিহারের পরে এখন ওই একই নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডুসহ ১২টি রাজ্যে।

ভোটগণনার দিনে এই এসআইআর প্রক্রিয়ার ফলে বিজেপিসহ এনডিএ জোট বিপুল জয় পেল বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ ইয়াদভ। তিনি বলেন, "বিহারে এসআইআর যে খেলা দেখালো, সেটা পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু বা উত্তর প্রদেশসহ অন্যান্য রাজ্যে আর সম্ভব হবে না কারণ এই নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হয়ে গেছে"।

নারীদের ব্যাপক ভোটদান

বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে এবারেই সব থেকে বেশি ভোট দিয়েছেন মানুষ।

গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে এ বছর ৬৭ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে আবার পুরুষদের তুলনায় নারীদের ভোটদানের হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।

বিহারে প্রায় তিন কোটি ৫১ লাখ নারী ভোটার আছেন, পুরুষ ভোটারের সংখ্যা তিন কোটি ৯৩ লাখ।

বড় সংখ্যায় নারীদের ভোট দেওয়া দেখে বিশ্লেষকরা মনে করছিলেন এর ফলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এনডিএ জোটই হয়ত এর সুবিধা পাবে, কারণ প্রায় দুই দশক ধরে ক্ষমতাসীন মি. কুমার নারীদের ক্ষমতায়নে নানা প্রকল্প নিয়েছেন।

এমনকি ভোটের ঠিক আগেই নীতীশ কুমার 'মুখ্যমন্ত্রী নারী রোজগার প্রকল্প' নামে একটি প্রকল্প চালু করেন, যাতে বিহারের সব নারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ভারতীয় টাকা দেওয়া হয়।

এমনকি আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরেও অর্থ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু কমিশন রায় দেয় যে এটি একটি পূর্বঘোষিত প্রকল্প, সেটা আদর্শ আচরণবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।

আগ্রহ তৈরি করেছিল যেসব আসন

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে বিহারের বাইরেও মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, যেখানে হয়ত রাজনৈতিক হেভিওয়েটরা কেউ প্রার্থী নন। তবে এগুলোর কোনোটাতে প্রার্থী হয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা, আবার কোনো আসনে এমন প্রার্থী ছিলেন যাকে ভোটের ঠিক আগে গ্রেফতার করা হয়।

এ ধরনের আসনগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি আলোচনায় ছিল আলিনগর আসনটি।

দারভাঙ্গা জেলার আলিনগর আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়ক মৈথিলী ঠাকুর। মাত্র ২৫ বছর বয়সি এই গায়িকা নির্বাচনী প্রচারে নিজের 'মৈথিলী' পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট সরব ছিলেন। ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।

বিরোধীদের 'মহাজোট'-ও একজন গায়ককে প্রার্থী করেছিল। ছাপরা আসন থেকে আরজেডির প্রার্থী হয়েছিলেন জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক খোসারি লাল যাদব। তিনি অবশ্য ভোটগণনায় এখনো দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

আরেকটি নজরকাড়া আসন ছিল মোকামা। সেখানে ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করা হয়। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর এক সমর্থক হত্যার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। ভোটগণনার শেষে মি. সিং জয়ী হয়েছেন। গত প্রায় ৩৫ বছর ধরে মি. সিংয়ের পরিবার এই আসনটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

এই আসনেই আবার প্রার্থী হয়েছেন বিরোধী 'মহাজোটের প্রার্থী বীণা দেবী – যিনি এলাকার বাহুবলী নেতা সুরজভান সিংয়ের স্ত্রী।

বৈশালী জেলার মহুয়া আসনটিতে অনেকের নজর ছিল। কারণ এখান থেকে ভোটে নেমেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব আর রাবড়ী দেবীর বড়ো ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। তিনি নিজের আলাদা দল গড়েছেন। ভোটগণনায় তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এখন।

সিওয়ান জেলার রঘুনাথপুর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ওসামা শাহাব। তার বাবা সৈয়দ শাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা জেডিইউ-র সংসদ সদস্য ছিলেন, কিন্তু তিনি (মি. শাহাবুদ্দিন) বেশি পরিচিত বিহারের অন্যতম 'বাহুবলী' নেতা হিসেবে। ওসামা শাহাব অবশ্য গণনায় এগিয়ে আছেন।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

যুদ্ধবিরতির এক মাস: দিনে গড়ে ৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

অধিকৃত পশ্চিম তীরেও অব্যাহত আছে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলা ও অভিযান। হেবরনের উত্তরাঞ্চলে বেইত উমর শহরে দখলদারদের গুলিতে কয়েকজন শিশু নিহত হয়েছে। আনতাবা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের লড়াই ও কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। জেরুজালেমে দখলদারদের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হন অনেকে।

১০ ঘণ্টা আগে

সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়িয়ে পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন, বিরোধীদের ওয়াকআউট

সংশোধনী অনুযায়ী, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীও এখন থেকে সেনাপ্রধানের অধীনে থাকবে। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পদমর্যাদা বজায় থাকবে। সমালোচকরা বলছেন, এ পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনী ও ক্ষমতাসীন জোটের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে।

১ দিন আগে

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ১৫শ ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, গত ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার যেসব এলাকায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ ছিল সেখানে দেড় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস করেছে দখলদার বাহিনী। খবর বিবিসির।

১ দিন আগে

পুলিশ-মাওবাদীদের সংঘর্ষে নিহত ৬

মঙ্গলবার ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুর জেলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে মাও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়েছে। ছত্তিশগড়ের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সুন্দররাজ পাট্টিলিনগম টেলিফোনে এএফপিকে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর আমরা এখন পর্যন্ত জঙ্গল থেকে ছয় মাওবাদীর লাশ উদ্ধার করেছি।

২ দিন আগে