
ক্রীড়া ডেস্ক

ফাইনালে উঠতে লক্ষ্য ছিল ১৩৬ রান। টি-টুয়ান্টি ক্রিকেটের জন্য এ লক্ষ্যকে কোনোভাবেই বড় বলার উপায় নেই। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা সেটিকে 'বিশাল' বলে প্রমাণ করে ছাড়লেন। ব্যাটিংয়ের পুরনো 'রোগ' অবিবেক ক্রিকেটীয় শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারলেন না। তাতেই ১১ রানে হেরে ফাইনলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে বাংলাদেশের। ফাইনালে টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটিতে পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে বেঁধে রেখে বোলাররা তাদের কাজটি সেরে রেখেছিলেন সূচারুরূপে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ আর জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
১৩৬ রানের টার্গেটে যেভাবে ধীরস্থির ব্যাটিং করার কথা ছিল, তা কেউ করে দেখাতে পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন থেকে শুরু করে তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদি হাসান, জাকের আলীরা যেভাবে চালিয়ে খেলতে চাইলেন, মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বোধহয় ১৯০ বা ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে।
টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে ধারাবাহিক সাইফ হাসানও এ দিন ১৫ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। এতে ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো, একের পর এক ব্যাটাররা ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ রানের জুটি এলো সপ্তম উইকেটে।
নবম উইকেট যখন পড়ল ১০১ রান রানে, তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪ বলে ৩৫ রান। রিশাদ হোসেন আর মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য সেটি সামর্থ্যের বাইরে। তবু তারা চেষ্টা করলেন। ১৪ বলে ২৩ রানের অপরাজিত জুটিও গড়লেন, যেটি কি না ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি! তাতে ১২৪ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এর বাইরে কেবল দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ আর হৃদয় ২১ বলে ২২ রানের জুটি গড়তে পেরেছেন। আর কোনো জুটিতেই আসেনি ২০ রান।
ব্যাটারদের মধ্যে পাঁচজনের রান এক অঙ্গে। পারভেজ ইমন ২ বলে কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন। ১০ বলে ৫ করেছেন হৃদয়, ৯ বলে ৫ জাকের আলী। তাসকিন করেছেন ২ বলে ৪। মোস্তাফিজ অপরাজিত ছিলেন ৪ বলে ৬ করে।
ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩০ রান এসেছে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। সাইফের ১৫ বলে ১৮ রানের কথা আগেই বলা হয়েছে। পরে নুরুল হাসান সোহান ১৬ রান করেছেন ২১ বলে, ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন রিশাদ। এর বাইরে ১০ বলে ১১ করেছেন শেখ মেহেদি আর ১১ বলে ১০ করেছেন তানজিম সাকিব।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি আর হারিস রউফ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এর মধ্যে রউফ ৪ ওভারের ৩৩ দিলেও শাহিন দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
বোলিংয়ে ৩ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ১৩ বলে ১৯ রান করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ হারিসের ২৩ বলে ৩১, মোহাম্মদ নওয়াজের ১৫ বলে ২৫ আর শাহিনের ১৩ বলে ১৯ রানের সুবাদে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। এর বাইরে সালমান আগা করেছেন ২৩ বলে ১৯ রান, ৯ বলে ১৪ করেছেন ফাহিম আশরাফ, ২০ বলে ১৩ রান করেছেন ফখর জামান।
পাকিস্তানের ইনিংসে অবশ্য একাদশ ওভারের পঞ্চম বলেই পতন ঘটে পঞ্চম উইকেটের। দলের রান তখন মাত্র ৪৯। সেখান থেকে ১৩৫ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পাকিস্তানের ব্যাটারদের ভূমিকা যতটা, তার চেয়ে সম্ভব বেশি ভূমিকা বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরই। শাহিন ৩ রানে থাকার সময় ক্যাচ ছেড়েছেন মেহেদি, শূন্য রানেই ক্যাচ ছেড়ে নওয়াজকে জীবন দিয়েছেন পারভেজ ইমন। রান আউটের সুযোগও মিস হয়েছে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন। এর মধ্যে মেহেদিও ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন। তবে রিশাদ ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ১৮।
মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন বাকি একটি উইকেট। অন্যদের তুলনায় তিনি একটু বেশি খরুচেও ছিলেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান। উইকেট না পাওয়া তানজিম হাসান সাকিবও ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন।

ফাইনালে উঠতে লক্ষ্য ছিল ১৩৬ রান। টি-টুয়ান্টি ক্রিকেটের জন্য এ লক্ষ্যকে কোনোভাবেই বড় বলার উপায় নেই। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা সেটিকে 'বিশাল' বলে প্রমাণ করে ছাড়লেন। ব্যাটিংয়ের পুরনো 'রোগ' অবিবেক ক্রিকেটীয় শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারলেন না। তাতেই ১১ রানে হেরে ফাইনলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে বাংলাদেশের। ফাইনালে টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটিতে পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে বেঁধে রেখে বোলাররা তাদের কাজটি সেরে রেখেছিলেন সূচারুরূপে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ আর জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
১৩৬ রানের টার্গেটে যেভাবে ধীরস্থির ব্যাটিং করার কথা ছিল, তা কেউ করে দেখাতে পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন থেকে শুরু করে তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদি হাসান, জাকের আলীরা যেভাবে চালিয়ে খেলতে চাইলেন, মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বোধহয় ১৯০ বা ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে।
টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে ধারাবাহিক সাইফ হাসানও এ দিন ১৫ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। এতে ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো, একের পর এক ব্যাটাররা ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ রানের জুটি এলো সপ্তম উইকেটে।
নবম উইকেট যখন পড়ল ১০১ রান রানে, তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪ বলে ৩৫ রান। রিশাদ হোসেন আর মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য সেটি সামর্থ্যের বাইরে। তবু তারা চেষ্টা করলেন। ১৪ বলে ২৩ রানের অপরাজিত জুটিও গড়লেন, যেটি কি না ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি! তাতে ১২৪ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এর বাইরে কেবল দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ আর হৃদয় ২১ বলে ২২ রানের জুটি গড়তে পেরেছেন। আর কোনো জুটিতেই আসেনি ২০ রান।
ব্যাটারদের মধ্যে পাঁচজনের রান এক অঙ্গে। পারভেজ ইমন ২ বলে কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন। ১০ বলে ৫ করেছেন হৃদয়, ৯ বলে ৫ জাকের আলী। তাসকিন করেছেন ২ বলে ৪। মোস্তাফিজ অপরাজিত ছিলেন ৪ বলে ৬ করে।
ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩০ রান এসেছে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। সাইফের ১৫ বলে ১৮ রানের কথা আগেই বলা হয়েছে। পরে নুরুল হাসান সোহান ১৬ রান করেছেন ২১ বলে, ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন রিশাদ। এর বাইরে ১০ বলে ১১ করেছেন শেখ মেহেদি আর ১১ বলে ১০ করেছেন তানজিম সাকিব।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি আর হারিস রউফ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এর মধ্যে রউফ ৪ ওভারের ৩৩ দিলেও শাহিন দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
বোলিংয়ে ৩ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ১৩ বলে ১৯ রান করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ হারিসের ২৩ বলে ৩১, মোহাম্মদ নওয়াজের ১৫ বলে ২৫ আর শাহিনের ১৩ বলে ১৯ রানের সুবাদে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। এর বাইরে সালমান আগা করেছেন ২৩ বলে ১৯ রান, ৯ বলে ১৪ করেছেন ফাহিম আশরাফ, ২০ বলে ১৩ রান করেছেন ফখর জামান।
পাকিস্তানের ইনিংসে অবশ্য একাদশ ওভারের পঞ্চম বলেই পতন ঘটে পঞ্চম উইকেটের। দলের রান তখন মাত্র ৪৯। সেখান থেকে ১৩৫ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পাকিস্তানের ব্যাটারদের ভূমিকা যতটা, তার চেয়ে সম্ভব বেশি ভূমিকা বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরই। শাহিন ৩ রানে থাকার সময় ক্যাচ ছেড়েছেন মেহেদি, শূন্য রানেই ক্যাচ ছেড়ে নওয়াজকে জীবন দিয়েছেন পারভেজ ইমন। রান আউটের সুযোগও মিস হয়েছে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন। এর মধ্যে মেহেদিও ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন। তবে রিশাদ ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ১৮।
মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন বাকি একটি উইকেট। অন্যদের তুলনায় তিনি একটু বেশি খরুচেও ছিলেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান। উইকেট না পাওয়া তানজিম হাসান সাকিবও ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন।

মিরপুরে চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২১১ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। ১১ রানে পিছিয়ে থাকায় আয়ারল্যান্ড ফলোঅনে পড়লেও টাইগাররা ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৪ দিন আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে আইরিশ অফ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের ঘূর্ণিতে অলআউট হওয়ার আগে বড় স্কোরের শক্ত ভিত পায় স্বাগতিকরা।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলা, এই অর্জনের পাশেই এবার যুক্ত হলো আরও এক স্মরণীয় মাইলফলক। টেস্টে বিশ্বের মাত্র ১১ জন ক্রিকেটারের কাতারে জায়গা করে নিলেন তিনি, যারা নিজেদের ১০০তম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন।
৬ দিন আগে
র্যাংকিংয়ের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের মার্চে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৭তম। তবে পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানও নামতে থাকে। ২০১৬ সাল শেষ হতে হতে বাংলাদেশ নেমে আসে ১৮৮তম স্থানে। এরপর এক-দুই ধাপ করে ওঠানামা চললেও ১৮০-তে ফিরে আসতে সময় লাগল ৯ বছর।
৬ দিন আগে