বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের এক বার্তা সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ন্যায় বিচারের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের কয়েক দিনে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদপত্র বা চ্যানেলকেও দেওয়া একাধিক সাক্ষাৎকারেও তিনি মোটামুটি একই ধরনের সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন, আর প্রতিবারই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন এই ‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দবন্ধটি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। নানাভাবে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে শিক্ষকদের৷শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরেও দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এ বিষয়টি নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি’র সমন্বয়ক,
মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের নানাভাবে অপমান, অপদস্থ করে পদত্যাগে বাধ্য করার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বাংলাদেশে আদালত প্রাঙ্গনে আসামিদের ওপর হামলা এবং জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাগুলো নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হামলা এবং মামলার বিষয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্দেশনা দেয়ার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদন করা হয়েছে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় যেসব মামলা হচ্ছে তা নিয়ে এর মধ্যেই নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে যেভাবে ঢালাওভাবে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির নেতাকর্মী এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে সেই চর্চা এখনও চলছে বলে প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবী ও
এই সময়ে প্রাইম চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশের প্রশাসন, বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের যে কাজ করার কথা তার আশপাশেও তারা নাই। সরকারের দিক থেকেও বলা হচ্ছিল এটা ফার্ষ্ট চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অ্যাচিভমেন্টের দিক দিয়ে ভালো কিছু হয়নি।
যে সংস্কার হবে, সেখানে যেন জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয়। সংস্কারের জন্য যে রোড ম্যাপ, কীভাবে কোনটার পর কোনটা এবং কী কী সংস্কার করা হবে, কত দিনে হবে সেই বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে দেওয়া উচিত। তাহলেই এইটার ওপর আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে সংস্কারের ব্যাপারে যে মতগুলো সেটার পূর্ণাঙ্গত
আমাদের আবহাওয়া দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে আরও সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। যাতে বন্যা আসার আগেই আমরা প্রস্তুতি নিতে পারি। ভারতের সাথে অমীমাংসিত বিষয়গুলিরও সুরাহা করতে হবে। আমরা চাই, ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থরক্ষা করে বিষয়গুলির সমাধান হোক।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত ১৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা দরকার।
বাংলাদেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নিজেদের দাবি আদায়ে সংগঠনটির ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দূর করে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনায় অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, সাধারণ সভা করে নির্বাচন করতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই তত্ত্বাধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে সঠিক সময়ে নির্বাচন দেওয়াই উচিত হবে অন
বাংলাদেশে ১০ দিন আগে গঠন হয়েছে নতুন সরকার। শুরু থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যে বিষয়টি বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে, তা হচ্ছে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার তথ্য সামনে আসছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এতদিন কোণঠাসা কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব নিতে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত দেড় দশকে পুলিশ, জনপ্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কিংবা পদায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতার চেয়ে দলীয় বিবেচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছিল বেশি। যে কারণে সরকার পরিবর্তনে
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যাত্রা শুরু হলেও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে তারা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা কমিটিতেও রয়েছে তাদের দুজন সমন্বয়ক।
জনরোষের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর গা ঢাকা দিয়ে আছে দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমন অবস্থায় ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী কেন্দ্র করে ঢাকায় শোক ও শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।