ওরা তাকে খাওয়াতো। জানত ক্ষুধা নিয়েই এসেছে। ১৮ তারিখও তফাজ্জল এসেছিল ক্ষুধার তাড়নায়। সেদিন তার সাথে এলাকার কারো দেখা হয়নি। দেখা হয়েছিল ছাত্র নামধারী কয়েকজন দুর্বৃত্তর সাথে। তারা তাকে মোবাইল চোর বানিয়ে ফেলল। আসলে এটা ছিল একটা কৌশল। না হলে এতদিনে জাতি জানত কার মোবাইল চুরি হয়েছে, কোথা থেকে চুরি হয়েছে,
বাংলাদেশে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবসা বাণিজ্যে কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর একচেটিয়া আধিপত্য দেখা গেছে। ক্ষমতার ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কারণে বাংলাদেশে এসব শিল্প মালিকদেরকে ‘অলিগার্ক’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে
ছাত্র-জনতার সরকার পতনের আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভিসি, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষকদের অপসারণ দাবি তুলে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ভিসিসহ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের পদত্যাগ এবং পদগুলোতে নিয়োগ দিতে দেরি হওয়ার মতো কারণে উচ্চশ
বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক সবসময়ই একটা সংবেদনশীল বিষয় ছিল। ১৯৭১ সালের ইতিহাস বিবেচনায় এ নিয়ে আলোচনা, রাজনীতি কম হয়নি। তবে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভয়াবহ অবনতি ঘটে আওয়ামী লীগ আমলে, বিশেষত যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রেক্ষাপটে।
তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন কি না, তা নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার একটি ফোন রেকর্ড ফাঁসের ও কথিত ‘পদত্যাগপত্র’ ঘিরেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ দেশ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনারগণ পদত্যাগ করেছেন সেও বেশ কিছুদিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বিদায়ী ভাষণে বলে গেছেন, সর্বশেষ নির্বাচনটি হয়েছিল একদলীয়। দলের মধ্যে নয়, ব্যক্তির মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল। আজ এতদিন পর পাশাই যখন উল্টে গেছে তখন তিনি এ কথা বললেন!
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় আক্রান্তদের সাহায্যার্থে গত আগস্টে গণত্রাণ সংগ্রহের ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অসংখ্য মানুষকে তখন ট্রাকভরে ত্রাণের মাল নিয়ে সমবেত হতে দেখা গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কও তথাকথিত ‘মব জাস্টিসের' বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়েছেন৷ কিন্তু এসবে কোনো কাজ হচ্ছে না৷
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে তিনটি বড় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতির বাঁক বদল ঘটেছে, তার সবগুলোতে দৃশ্যত লাভবান হয়েছে বিএনপি। এই তিনটি ঘটনা ঘটেছে ১৯৭৫ সাল, ১৯৯০ সাল এবং ২০২৪ সালে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবেশি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত অবস্থায় রয়েছে। একদিকে যখন হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক এ
কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে তীব্র লোডশেডিংয়ে নাকাল মানুষ। ডলারসংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন কমেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। একইসাথে জ্বালানির আমদানি নির্ভর এ খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বাড়ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।
রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রোববার জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে আত্মপ্রকাশ করার পরদিনই কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর শুরু করেছে। এ সফরকে ঘিরে তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদর দফতরের এক চিঠিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব
দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি সরকারি আমলাদের নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়েক দিন ধরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে একাধিক হত্যা মামলায় বিচার করার কথা বেশ জোরে দিয়ে বলা হচ্ছে। অন্তনর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মাদ ইউনূস, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি’র নব-নিযুক্ত চিফ প্রস
ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বিশাল জায়গাজুড়ে যে স্থাপনাটি ‘গণভবন’ নামে পরিচিত সেটি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। বাংলাদেশের যত সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন তাদের মধ্যে শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গণভবনে বসবাস করেছেন। এছাড়া অন্য কোন সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান সেখানে বসবাস করেননি। যদিও নানাবিধ রাষ্ট্রীয়
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটছে। মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ঘিরে মানুষজন আহতও হয়েছে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভেন্ট খুলেও মাজার ভাঙ্গার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। প্রথম এক মাসে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষকার কতটুকু প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে? সরকার কি সঠিক পথে আছে?