কোনো অজুহাতেই বই মেলার স্থান পরিবর্তন করা যাবে না

বার্তাকক্ষ, রাজনীতি ডট কম

বাংলাদেশের বই ও বই মেলা নিয়ে যেসব ষড়যন্ত্র চলছে, তা মোকাবেলার জন্য এখনই কয়েকটি‌ দাবি তোলা জরুরি হয়েছে পড়েছে।

১. অমর একুশে বই মেলা আয়োজনের স্থান একুশের স্মৃতি বিজড়িত বাংলা একডেমি ও সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই রাখতে হবে। কোনো অজুহাতেই এটি স্থানান্তর বা বন্ধ করা যাবে না।

২. একুশে বই মেলার জাতীয় চরিত্র ক্ষুণ্ন করা যাবে না। বাংলাদেশে প্রকাশিত বই ছাড়া অন্য দেশে প্রকাশিত বই এ মেলায় বিক্রি ও প্রদর্শন করা যাবে না। এই বই মেলায় দেশের ছোট-বড় সকল প্রকাশনীকে স্থান দিতে হবে। লিটল ম্যাগাজিনগুলোকে ভালো জায়গা দিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশিত বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে প্রকাশিত বই সহ অন্য দেশে প্রকাশিত বই বিক্রি ও প্রদর্শনীর জন্য বঙ্গবন্ধু চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র বা এ রকম কোনো স্থানে পয়লা বৈশাখ বা ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বই মেলা আয়োজন করতে হবে।

৪. বাংলাদেশের বই বিপনন কেন্দ্রগুলোতে অন্য দেশের বইয়ের পাশাপাশি বিক্রির জন্য বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ বইয়ের প্রদর্শনী নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সকল সেন্সরশিপ, ভিন্নমত দমনের পদক্ষেপ বন্ধ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

এসব দাবির পক্ষে জনমত গড়ে উঠুক।

লেখক: মাহবুব মোর্শেদ, কবি ও সাংবাদিক

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

বাংলাদেশে ভেজাল খাদ্য: মানবতার নীরব বিশ্বাসঘাতকতা

ক্ষুধা ধীরে হত্যা করে, ভেজাল নীরবে হত্যা করে। খাদ্যে ভেজাল কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সংকট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, প্রতি বছর ৬০ কোটি মানুষ খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে চার লাখ ২০ হাজার মানুষ মারাও যায়।

৬ দিন আগে

ইতিহাসের সাক্ষী আহমদ রফিক

এ জাতির মুক্তির মন্দিরের সোপানতলে কে হবেন কান্ডারী? আমরা কি সেই ইতিহাসের ভারবাহী নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে পেরেছি? না পারার দায় কার? লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক

৮ দিন আগে

তিন শূন্যের পৃথিবী গড়া জাতিপুঞ্জের সকলের স্বপ্ন হোক

গত আট দশক ধরে জাতিসংঘ ধারাবাহিকভাবে তার কর্মপরিধি সম্প্রসারিত করেছে এবং নানা ক্ষেত্রে আরো গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে । বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা ও সমতা প্রসারে জাতিসংঘ অনস্বীকার্য ভূমিকা রেখেছে। জাতিসংঘের কারণেই আজ বিশ্বের ১২০ টি দে

১৪ দিন আগে

‘রূপালী ক্যাশ’, ডিজিটাল জালিয়াতি ও গ্রাহকের অসহায়ত্ব

এসব গ্রাহকের কাজ ছিল টাকা ওঠানো থেকে শুরু করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রভৃতি সংগ্রহ। কিন্তু সেজন্য কেন তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষমান ছিলেন? কারণ ব্যাংকের ‘সার্ভার ডাউন’, তাই কোনো কাজই করা যাচ্ছিল না!

১৫ দিন আগে