মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধীরা কী পরাজিত শক্তির স্বজন

জান্নাতুল বাকেয়া কেকা
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১: ৩৮
জান্নাতুল বাকেয়া কেকা। ফাইল ছবি

রাজাকার, আল বদর আর একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা মন্ত্রী হয়েছেন। ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতায় সেই তাদের চরম বিরোধিতা ও বৈরিতার মুখে স্বাধীনতা পাওয়া এই দেশে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন তারাই। যে লোকেরা ভিনদেশি পাকিস্তানিদের পথ চিনিয়ে কোন বাড়িতে মুক্তি আছে, কোন বাড়ির মেয়েরা বালেগ হয়েছেন কিংবা নাবালিকা হলেও সুন্দর তাদের বাড়ি চিনিয়েছেন ভিন্ন দেশিদের। পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের যৌনসুখের যোগান দিতে সবকিছুই করেছেন সেই রাজাকার আলবদরেরা। মন্ত্রী হয়ে তাদের গাড়িতে পতপত করে উড়েছে রক্তের বন্যায় পাওয়া স্বাধীনতা। তখন আজকের মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধীরা কোথায় ছিলেন?

ধরেই নিলাম তারা বয়সে হয়তো নালায়েক ছিলেন কিন্তু রাজাকারের গাড়িতে স্বাধীন দেশের পতাকা বইতে দেখে তাদের বাবা-চাচা বা দাদাদের শরীরের পশমে কী টান পড়েছিল? হৃদযন্ত্রে খানিক ধাক্কা লেগেছিল? না এসবের কিছুই হয়নি। যদি হতো তবে নালায়েক নাবালক সেদিনের তরুণ যুবাদের স্মৃতিতে কিছু হলেও থাকতো।

যে দেশে চিহ্নিত রাজাকার আল বদর আর তাদের উত্তরসূরিরা নানান পদ-পদবি, মন্ত্রিত্বের মর্যাদা পান, গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ঘোরেন নানান সুযোগসুবিধা ভোগ করেন তখন আজকের মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা কোথায় থাকেন?

যখনই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-স্বজনদের জন্য নামেমাত্র কোটা বরাদ্দ হয় তখন আপনারা যারা ফাল দিয়ে উঠেন? তাদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় জানতে বড্ড ইচ্ছা হয়-আপনারা কারা কাদের উত্তরসূরি? আন্দোলনকারীদের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের মোটিভ উন্মোচন আজ জরুরি।

আপনারা কী এমন ঘটনা জানেন, যে মুক্তিযোদ্ধার এক সন্তান লিখিত পরীক্ষায় পাস করে উপরন্ত রের্কড পরিমাণ মার্কসও পায়। সেই সন্তানটিকে শুধু ভাইভাতে গিয়ে সেই কোটার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বাস্তবতা হলো নারী কোটা, জেলা কোটা, লিখিত পরীক্ষার রের্কড মার্কস থাকার পরও শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটার আবেদন করেছে বলে সেই শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীকে ভাইভা বোর্ডে আপেক্ষমাণ রুমে বসিয়ে রাখা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা? সেই পরীক্ষার্থীর আকুতির মুখে ভাইভা বোর্ডে বিচারকদের সামনে নেওয়া হলেও সেই শিক্ষার্থীকে কোনো প্রশ্নই জিঙ্গেস করা হয়নি বরং বলা হয়েছে, তোমার ভাইভার কী দরকার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ধুয়ে খাওগে.....এসব বাস্তবতা এবং এমন অদ্ভুত সত্য বাস্তব ঘটনা এদেশেই ঘটেছে!

কষ্ট হয় বড় কষ্ট এদেশের চোর-দুর্নীতিবাজরা চুরি করে পার পায়। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিলেও কোনো সম্মানহানি হয় না। অথচ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীকে ভাইভা বোর্ডে এই সমাজের দর্পণ শিক্ষককূল তার সন্তানের বয়সী স্বপ্নবাজ সন্তানসম পরীক্ষার্থীকে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আবেদন করায় লজ্জা দেন। অপদস্ত করেন। একবারও ভাবেন না এই শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার কতবড় ঝক্কি লম্বা পথ পেরিয়ে ভাইভা বোর্ডে এসেছে তাকে ভাইভা বোর্ডের জায়গায় কয়েকজন শিক্ষক সম্মিলিতভাবে অপদস্থ করছে এর ফলে একজন শিক্ষার্থী একজন সন্তানের মানসিকতা কোনো পর্যায়ে যেতে পারে? সংবিধানের প্রতি সম্মান জানাতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েও ভাইভা বোর্ডের সম্মানিক শিক্ষক ও সদস্যরা?

আশ্চর্য বাস্তবে দেখেছি, ‘বাপে মানে না মায়ে গছে না’ এমন লোকও মামাশ্বশুরের জোরে লবিং করে এনজিও’র অনুমোদন নেন। জোর তদবির করে লবিংয়ের জোওর পত্রিকার লাইসেন্স পান দেশ-বিদেশ ঘোরেন ভিন্ন দেশে মরুর বুকে কবিতা গাইতে যাওয়ার তদবির করেন তখন তাদের লজ্জা লাগে না। কিন্তু যখনই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রের সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রীয় খরচে হজে নেওয়া হয় তখন সেই তারা নিজের কাজে না পরের কাজে লজ্জা পান। অথচ এই জ্ঞানী-গুণীজন আপনারা যে সারাদিন লবিং করে তেলবাজি করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে কতকিছু ছলেবলে কৌশলে আদায় করেন তখন সেই সব হিসেব রাখে কে?

শোনেন মুক্তিযুদ্ধের কোটাবিরোধীরা, একাত্তরের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, সত্যিই যারা সন্মুখসারির যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছিলোন তাদের বেশির ভাগ সাধারণ আমজনতা। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। কারণ যুদ্ধের ময়দানে খেয়ে না খেয়ে সাপ পোঁকা বেজি ইদুর বাঁদুর আর পাকিস্তানি সেনাদের বেয়োনেট ও গুলির মুখে নিজের বুক চিটিয়ে জীবনবাজি রেখেই কলিজাটা হাতে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন।

বাস্তবতায় সেই প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের সন্তান পরিবারের কতজনকে দেখেছেন? যুদ্ধের বছর যে ছেলেটি ছিল সবচেয়ে মেধাবী ক্লাসে প্রথম সেই ছেলে যুদ্ধে গিয়ে হাত কিংবা পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছেন। একসময়ে মেধাবী তরুণ অসহায় জীবনযাপন করছেন। আর যারা যুদ্ধ থেকে জীবন নিয়ে ফেরেননি সেই পরিবারের স্বজন-প্রিয়জন, স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের কী অবস্থা গেছে সেই খবর আপনি আমি কী রেখেছিলাম। তাদের সন্তানেরা মেধাবী হলেও পিতার বা পরিবারের অসহায়ত্বের কারনণ উচ্চশিক্ষা, উন্নত জীবন মানের সন্ধান হারিয়ে ধুকেধুকে জীবন কাটিয়েছেন এমন কতজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছেন আপনারা? প্রকৃত বীর যোদ্ধা তাদের স্বজন, সন্তানেরা এই সমাজেই আছেন তবে পানির নিচের আইসের মত ডুবে আছেন! ১৯৭১ এ একবার জীবনের খেরো খাতার হিসেবে যেভাবে তাঁরা ছিটকে গেছেন তাতে তাঁরা সমাজের আলোর সারিতে পৌঁছাতে আর কোন দিনই পারবেন না। সেই যে পিছিয়ে পড়া লাইনচুত্য বীর ও তাদের স্বজনদের জীবনের লাইনে আনতে এখনো মুক্তিদোদ্ধার কোটা প্রয়োজন।

আরো কী জানেন, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বাবা-চাচা ও তাদের স্বজনদের বাস্তবতায় দেখেছি, আজ মুক্তিযোদ্ধার নামে অর্থ ও বিত্তশালী যাদের দেখছেন, তাদের সবাই সমাজের সুবিধাভোগী। তাদের বেশিরভাগ যুদ্ধের ময়দান পালালেও স্বাধীনতার পর সুবিধা আদানে এগিয়ে ছিলেন। আমার বাবার সাথে তাঁর বিত্তবান যে বন্ধুরা আবেগের বশে সহযাত্রী হয়ে যুদ্ধ করার মনেবৃত্তি নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন সংখ্যায় সমবয়সী ও একই এলাকার ১৫ থেকে ২০ জন। সেই বন্ধু গ্রুপের মাত্র ৭-৯ জন শেষ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে যুদ্ধ করেছেন। বাকিরা কদিন এদিক সেদিক ঘুওর, হোটেলে আরাম আয়েশে কাটিয়েছেন যুদ্ধদিন গুজরান করেছেন। তাদের কেউ কেউ পালিয়েও গেছেন। কারণ যুদ্ধের ময়দানের অনিশ্চয়তা, কঠোর কঠিন পরিশ্রম, দিনের পর দিন তারা মানাতে পারেননি। যুদ্ধের ময়দানেও তারা ঘরের যেই আরাম আয়েশের জীবনের মোহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। যুদ্ধ করার জন্য যে সাহস ও কঠিন আত্মত্যাগী মনোভাবের প্রয়োজন হয় বেশির ভাগের সেই সাহস ছিল না। ফলে ১৯৭১’র ভয়াবহ যুদ্ধদিনে প্রশিক্ষণের নামে পালিয়ে ভিন্ন দেশে কোনোমতে ঘাপতি মেরে পার করেছেন।

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধ শেষ হওয়া মাত্র তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে সেই আগের সুযোগ আরাম আয়েশের জীবনে ফিরেছেন। লেখাপড়া শুরু করেছেন, চাকরি উচ্চশিক্ষা সবই শুরু করে নিজেকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছেন নতুন রুটিনে। আর সত্যিকারের অকুতোভয় বীররা যুদ্ধদিনের ভয়াবহতাকে জয় করে কী করেছেন জানেন, উচ্চশিক্ষায় রাশিয়া, আমেরিকা ইউরোপে পালিয়ে বা পাড়ি দেননি। বরং যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশকে গড়ে তুলতে নিজেকে আরেক দফায় নিয়োজিত করেছেন। উচ্চশিক্ষার হাতছানি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলো যেন আবারো সচল হয়, তাই ছোট বড় পদ-পদবি ভাবেননি যে যে পদে পেরেছেন যোগদান করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। তবে যুদ্ধদিনে ময়দান পালানো ভিরুরা ঠিকই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বসবাসযোগ্য স্বাধীন দেশে সুসময়ে ফিরেছন। এখনো কী বোঝা গেছে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেই হাল ছাড়েননি। বরং সংসারের ন্যায় জোড়াতালি দিয়ে ভাঙ্গাচোরা ফসলহীন দেশের মাটিতে ফল ফসল ফলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন।

তবে আমার আপনার চারপাশে নানান সুযোগ-সুবিধায় বেষ্টিত হয়ে থাকা ওইসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যারা ভিরু কাপুরুষ যারা আমার আপনার বাবা-চাচাদের সাথে যুদ্ধে যেতে ঘর ছেড়েছিলেন বটে, কিন্তু যুদ্ধের ময়দান যে ভোগ-আরাম-আয়েসের জায়গা না বুঝে কঠিন সময়ে সেই যুদ্ধদিনে সামিল হতে গিয়েও ভোগের জীবনে ফিরে এসেছিলেন তাদের দেখে প্রকৃত বীরদের মূল্যায়ন করবেন না প্লিজ। যদিও যুদ্ধদিনে ময়দান পালানো সেই চেনা মুখগুলোই আজ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের প্রথম সারিতে। কারণ, যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে তারাই সময়মতো লেখাপড়া শেষ করে খেয়ে পড়ে আরামে আয়েশে উন্নত জীবন গড়েছেন।

কী দুর্ভাগ্য আমাদের এদেশের তরুণ সমাজের। যে দেশে উচ্চবিত্তের উচ্চপদধারীরা উত্তরা, গুলশান, বনানীতে, রিমঝিম, পূর্বাচল বা পশ্চিমাচল প্লট, ফ্ল্যাট আর কোটি টাকার শুল্কমুক্ত গাড়ি পেতে পারেন তাতে দোষ নেই। তখন প্রতিবাদ করার কেউ থাকে না, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করলেই গাঁ জ্বলে যাদের, আপনারা কারা? তাদের চিহ্নিত করার আবেদন করছি। আজ রাজনৈতিক বিকিকিনিতে ব্যবহার হয় দেশ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুটি। দুর্বত্তায়নের উদ্দেশ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃত যোদ্ধোদের আবেগ-অনূভুতি কেন বুঝবে? তবে সময় যেভাবে এগোচ্ছে আপনাদের না হোক আপনার সন্তান-নাতিদের হয়তো নিজের দেশে পরাধীনতা কী তার মুখোমুখি হতেই হবে; সেদিন বুঝবেন দেশের স্বাধীনতা কী এক অমূল্য রতন?

জান্নাতুল বাকেয়া কেকা : বিশেষ প্রতিনিধি, চ্যানেল আই এবং লেখক ও গবেষক

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

স্লোগানের স্বরূপ: নান্দনিকতা, সহিংসতা ও অশ্লীলতা

স্লোগান বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিছ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে স্লোগানের ব্যবহার ছিল। “ব্রিটিশ হটাও, দেশ বাঁচাও”; “বিদেশি পণ্য বর্জন করো, দেশি পণ্য ব্যবহার করো”; “তুমি আমি স্বদেশি, স্বদেশি স্বদেশি” “আমরা লড়ব, আমরা জিতব” ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এরূপ অনেক স্লোগানই রাজনৈতিক সচেতন

৪ দিন আগে

প্রধান শিক্ষক : দশম গ্রেড প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি

২২ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । তাতে প্রধান শিক্ষকরা আগে কত টাকা বেতন ও ভাতা পেতেন, আর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে কত পাবেন—তা নিয়ে পরিপূর্ণ হিসাব রয়েছে ।

৫ দিন আগে

ভারত এবং গ্লোবাল সাউথ

ভিওজিএসএস হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্বেগ, স্বার্থ ও অগ্রাধিকারসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা, ধারণা ও সমাধান বিনিময় করা, এবং উন্নয়ন সমাধান বিনির্মাণে কণ্ঠ ও উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি অভিন্ন মঞ্চ প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা।

৫ দিন আগে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হোক

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই খাজা সলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা ইকবাল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করেন যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকবে। রা

৯ দিন আগে