দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা আজও জাগ্রত

আফরোজা পারভীন
আফরোজা পারভীন| ফাইল ছবি

ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ দেশ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনারগণ পদত্যাগ করেছেন সেও বেশ কিছুদিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বিদায়ী ভাষণে বলে গেছেন, সর্বশেষ নির্বাচনটি হয়েছিল একদলীয়। দলের মধ্যে নয়, ব্যক্তির মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল। আজ এতদিন পর পাশাই যখন উল্টে গেছে তখন তিনি এ কথা বললেন! বড় দেরিতে ঝেড়ে কাশলেন তিনি।

এদিকে আন্দোলনের এক মাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদ ছাত্র-জনতার স্মরণে ছাত্ররা আয়োজন করেছিল দেশব্যাপী শহীদী মার্চ। সেটাও বেশ কয়েকদিন আগে। এটা খুবই জরুরি ছিল। শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

অন্যদিকে ঢাকার শহীদ মিনার, প্রেসক্লাবসহ সারা দেশে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়েছে জাতীয় সঙ্গীত। গাওয়া হয়েছে একই সময়ে, একযোগে। অকারণে নয়। আয়নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে এক ব্যক্তি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সম্মেলনে তিনি ধরা পড়ার দিনটি সম্পর্কে বিশদে আলোকপাত করেছেন। জানিয়েছেন তিনি তখন মায়ের সাথে বসে খাচ্ছিলেন। সেই অবস্থায় তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। যারা আসে তাদের কাছে কোন ওয়ারেন্ট ছিল না। তিনি ক্রসফায়ারের ভয়ে ভীত ছিলেন। আয়নাঘরে তিনি ৮ বছর দিনের আলো দেখেননি। টয়লেটে যাবার সময় পর্যন্ত তার চোখ বেধে রাখা হতো। বাড়িতে ফিরে জেনেছেন তার স্ত্রী ও গৃহকর্মীর উপরও নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ নয় ৩ লাখ একথাও বলেছেন। সেই যে তিনি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা বললেন, সেই বিতর্ক এখনো চলছে। ইতোমধ্যে একাধিক জাতীয় সঙ্গীত রচনা এবং গাওয়াও হয়ে গেছে।

আয়নাঘর, হাওয়াভবন, গুম, খুন, জবাই, ক্রসফায়ার কোনটাই আমরা সমর্থন করি না। দেশে প্রচলিত আইন আছে। কেউ যদি অপরাধী হন সেই আইনে তার বিচার হবে। কারো অধিকার নেই কাউকে তুলে নিয়ে গিয়ে বছরের পর বছর আটকে রাখার। সে যদি খুনি হয় জালিম দেশোদ্রোহী অথবা যুদ্ধাপরাধী হয়, তাও না। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে তিনি দোষি প্রমাণিত না হচ্ছেন তিনি দোষি নন।

তিনি তার প্রতি অত্যাচারের কথা বলেছেন কিন্তু একটিবারের জন্যও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বা শহীদদের কথা স্মরণ করেননি। স্মরণ করেননি সম্ভ্রম হারানো মা বোনদের কথা। কাঁঠাল গছে কাঁঠাল আর গাব গাছে গাবই জন্মায়। তিনি তো মুক্তিযুদ্ধ স্বীকারই করেন না। জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে লেখালিখি হচ্ছে। ফেসবুক তোলপাড়। বিভিন্নজন বিভিন্নরকম মতামত প্রকাশ করছেন।

জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথমত রবীন্দ্রনাথ অমুসলিম, দ্বিতীয়ত এ গানে যুদ্ধ বিদ্রোহের কথা নেই, তৃতীয়ত এটি বঙ্গভঙ্গ রদের প্রচেষ্টায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন। গানটি যে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ রদের জন্য লিখেছিলেন এর কোন দালিলিক প্রমাণ নেই। ওই সময় গানটি গাওয়া হয় এটি সত্য। তবে গানটি লেখা হয়েছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গের শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ জমিদারি চালানোকালীন। তখন দেশভাগ হয়নি। তখন রবীন্দ্রনাথের দেশ আর আমাদের দেশ একই ছিল। আর আমাদের নদীমাতৃক ষড়ঋতুর বাংলাদেশের সাথে এমন সামঞ্জস্যপূর্ণ বাণী সুর ব্যঞ্জনা আর কোনও গানে নেই।

তাছাড়া কবি লেখক শিল্পীর কোনো জাত নেই, কোনো ধর্ম নেই। সে কথাতো লালনই বলে গেছেন, সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে/ লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে। সাহিত্য শিল্প সঙ্গীতের কোনো সীমান্ত নেই। থাকলে এদেশে বসে আমরা ইউরোপ আমেরিকার লেখা পড়তে বা গান শুনতে পারতাম না। তারপরও এসব কথা উঠানো হচ্ছে ইচ্ছে করেই। আরও অনেক কথা তোলা হচ্ছে এমনকি দেশের নাম পরিবর্তন, সংবিধান পরিবর্তন, পতাকা পরিবর্তন আরও কত কি।

অবাক হয়ে ভাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স একমাস হয়েছে কেবল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিল বলেই এই লোকগুলো আয়নাঘর থেকে রেহাই পেয়েছেন। কিন্তু সেই ছাত্র-জনতা কিন্তু একবারও বলেনি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে হবে। অথচ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন ছাত্ররাই তাদের নিয়োগকর্তা। আমি অন্তত কোনদিন ভাবিনি একজন সরকার প্রধান এভাবে বলতে পারেন। আসলেই একজন ভদ্র শিক্ষিত লোক ক্ষমতায় এলেন, যিনি একজন নোবেল লরিয়েট।

কিন্তু মজার ব্যাপার, তার এই শিক্ষা নিয়েও কথা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তার শিক্ষা আছে কিন্তু অভিজ্ঞতা নেই। তিনি রাজনীতিবিদি নন, একথা সত্য। কিন্তু জীবনব্যাপী তিনি দেশের সাধারণ মানুষ নিয়েই কাজ করেছেন। তাছাড়া তিনি রাজনীতি করতে আসেনওনি। ভাষণে স্পষ্ট করে বলেছেন, যারা সরকারে এসেছেন তারা নিজেদের কাজ করে আনন্দ পান। মনে রাখতে হবে, তিনি অন্তর্বতীকালীন সরকারে আছেন, কোন দলীয় সরকারে নন।

দেশে এখন অজস্র সমস্যা। একের পর এক দাবিতে সরকার বিপর্যস্ত। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদ খালি। পাচার হয়ে লক্ষ কোটি টাকা চলে গেছে বিদেশে। ব্যাংকের রিজার্ভের অবস্থা শোচনীয়। অবকাঠামোগুলোর ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সামলে ওঠার জন্য যে সময়টুকু দরকার সেটুকুও পাচ্ছে না সরকার। এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের নাম ভাঙিয়ে চলছে নানান অরাজকতা। তাদের নাম করে অনেক পরিবহন সেতুতে টোল দিচ্ছে না। তাদের সই জাল করে ইমিগ্রেশনে আটকে দিচ্ছে, মামলা মোকদ্দমা করছে। প্রতিদিনই তাদের বক্তব্য দিয়ে এসব বিষয় থেকে সাবধান থাকতে হচ্ছে। যেটুকু জানতে পারছে বলছে, জানতে না পারলে বলতে পারছে না। একদল উঠে পড়ে লেগেছে এদের ডুবাতে।

মানুষের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগেছেন অকারণ সমালোচনায়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পানির বোতলের পরিবর্তে জগ গøাস এসেছে এটা নিয়েও কথা হচ্ছে। এতে নাকি অপচয় বেশি হবে। আমার অন্তত মাথায় আসছে না অপচয় কী করে বেশি হবে। আমি আমার দীর্ঘ চাকুরি জীবনে দেখেছি যে বোতলগুলো দেয়া হয় তার অর্ধেকই খোলা হয় না। যেগুলো খোলা হয় সেগুলো দু’এক ঢোক করে খেয়ে রেখে যাওয়া হয়। ছোট বোতল তো আগে ছিলই না। এখন বেরিয়েছে। এখনও অফিস আদালতে ছোট বোতল ব্যবহার করা হয় না। সেক্ষেত্রে জগে পানি দিলে অব্যবহৃত পানিটা জগেই থেকে যায়। প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজনমতো পানি ঢেলে নিয়ে খেতে পারে। আর এই পানি নিশ্চয়ই ফিল্টার দিয়ে ফুটানো পানি যা কিনে আনা হয় না। তাহলে কতটা সাশ্রয় হয় ভেবে দেখুন। বলতে পারেন, এটুকু সাশ্রয় দিয়ে কী হবে।

আমি বলতে চাই দেশের সকল অফিস আদালতে যদি এই নিয়ম মানা হয় প্রতিদিন প্রচুর সাশ্রয় হবে । সেই অংকটা একসাথে করলে মোটেও কম হবে না। বিন্দু বিন্দু জমেই সিন্ধু হয়! কত ভাবে সাশ্রয় হচ্ছে দেখুন। প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যাচ্ছেন মাত্র সাতজন সফরসঙ্গী নিয়ে। এ ঘটনা এ দেশে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। সাশ্রয় সততা নিয়েও কথা হচ্ছে। বেশি যারা সৎ তারা নাকি সমাজে টিকতে পারে না। হয়রানির শিকার হন। তাহলে সব মানুষ কী অসৎ হবে! এটা কেমন কথা! এখন শুনছি তিনি যাচ্ছেন না। কেন যাচ্ছেন না সেসব নিয়েও অনেক কথা। কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে কে জানে!

গোটা দেশ অস্থির। কোথাও কাউকে পদায়ন করলে পছন্দ না হলে সেটা নিয়েও কথা হচ্ছে। কেউ বলছে উনি তো অমুক দলের। ছোট এই দেশটিতে সবাই কোন না কোন দলের সাথে যুক্ত। কেউ সক্রিয়ভাবে কেউ নিষ্ক্রিয়ভাবে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ লোক আপনি কোথায় পাবেন! আর একটা বড় সমস্যা মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হবার পর এদেশে আর ওই মাপের বুদ্ধিজীবী তৈরি হয়নি। অফিসারদের মধ্যেও যারা ভাল, দক্ষ তাদের গায়ে কোন না কোন দলের সিল পড়েছে। কাজেই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ কর্মকর্তা পাওয়া ভার! আরও সমস্যা আছে। বিগত দিনগুলোতে যারা দল করেনি তারা বঞ্চিত হয়েছে।

একসময় সরকারি কর্মকর্তারা রাজনীতি করতেন না। তারা যখন যে সরকার আসত তার সাথেই কাজ করত, অন্যায় করত না। কিন্তু একসময় এমনভাবে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে রাজনীতি ঢুকে পড়ল যে, বিএনপির আমলে বিএনপি না করলে বঞ্চিত হল, আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ না করলে বঞ্চিত হল। ফলে যারা কোন দলেই ছিল না তাদের নিয়ে বঞ্চিতদের সংখ্যা অনেক হয়ে দাঁড়াল। তারা উপলব্ধি করল সুযোগ সুবিধা পদোন্নতি পেতে হলে দল করতে হবে। তখন আস্তে আস্তে তারা দলে ঢুকে পড়ল। এ অবস্থা এখন সরকারি বেসরকারি সব ক্ষেত্রে। কাজেই নিরপেক্ষ লোক আপনি পাবেন হাতে গোনা। তবে কোথাও পদায়নের সময় দুর্নীতি বা অসততা প্রমাণিত হয়েছে এমন সরাসরি দল করেন এমন লোককে পদায়ন করা ঠিক হবে না।

এখন চারদিকে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। এতদিন যারা বঞ্চিত ছিল এখন তারা সামনের সারিতে। কেউ দখল করছে কবিতার সংগঠন, কেউ গল্পের। কেউ দখল করছে ক্লাব, কেউ এসোসিয়েশন। এতটা মোটেও ঠিক না। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে সত্যিই নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন হয়েছে। এমন দু’একটি প্রতিষ্ঠানের মেম্বার আমি নিজেও। ভোটও দিয়েছি। তখন লোকজন বলাবলি করেছে, জাতীয় নির্বাচনে ভোট না হলেও এই ক্লাবে/ এই সংগঠনে খাঁটি ভোট হয়। তাদেরও জোর করে নামানো হয়েছে। এটা কী ঠিক? অনেকে বলবেন, এমন তো আগেও হয়েছে। তাহলে আমরা কী কোন শিক্ষাই নেব না। আগে যা হয়েছে পরেও তাই করব, আমাদের পরে যারা আসবে তারাও তাই করবে। তাহলে বদল হবে কী করে? আমরা এগোবো কী করে?

দেশের শীর্ষনেতারা অধিকাংশ পলাতক, পলাতক শীর্ষ কর্মকর্তারা। একটা সরকারের পতন হলে অধিকাংশ সরকারী দলীয় এবং ক্ষমতাধর কর্মকর্তারা যে পালিয়ে যায় অতীতে এমনটা আর কখনও ঘটেনি! প্রত্যেকের দুর্নীতির খতিয়ান দীর্ঘ। ভাবতে অবাক লাগে! এত টাকা দিয়ে মানুষ কী করে! আর এত সম্পদ। দেশে-বিদেশে, একটি দুটি নয়, অজস্র। এত টাকা এত সম্পদ কী কাজে লাগে ! শেষ বয়সে তো মানুষ খেতেও পারে না। তাহলে কেন এই লুটপাট। কে খাবে, কার জন্য?

দেশে যে কত রকম লুটপাট হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। যৌথ বাহিনী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিককে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে তিনি হিরের বদলে কাঁচ বেঁচেছেন বছরের পর বছর। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ যারা অনেকদিন ধরে একটু একটু করে জমিয়ে একটা আংটি বা নাকফুল কিনেছে তারাও রক্তজল করা পয়সা দিয়ে কাচ কিনেছে। আর কোন কোন সেক্টরে আরো কী কী হয়েছে কে জানে।

শুরুর কথায় ফিরে আসি। ২০২৪ সালের জুলাইতে ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান হয়েছে তা আমরা সম্মানের সাথে স্মরণ করি। স্মরণ করি অভ্যুত্থানের শহীদদের। কিন্তু একথাও ভুললে চলবে না যে, ছাত্ররা আন্দোলন করেছেন ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। সেই স্বাধীনতাকে, সেই শহীদদের, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের, যুদ্ধাহতদের, সেই জাতীয় সঙ্গীত আর জাতীয় পতাকাকে ছোট করার কোন প্রচেষ্টা এদেশে সফল হবে না। সফল হবে না জাতীয় সংগীত বদলের চেষ্টা। কিছু লোক সেই চেষ্টায় রত। মুক্তিযোদ্ধারা, দেশপ্রেমিক ছাত্র জনতা আজও জাগ্রত। তারা সব অপচেষ্টা রুখে দেবে।

লেখক: কথাশিল্পী, গবেষক

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

স্লোগানের স্বরূপ: নান্দনিকতা, সহিংসতা ও অশ্লীলতা

স্লোগান বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিছ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে স্লোগানের ব্যবহার ছিল। “ব্রিটিশ হটাও, দেশ বাঁচাও”; “বিদেশি পণ্য বর্জন করো, দেশি পণ্য ব্যবহার করো”; “তুমি আমি স্বদেশি, স্বদেশি স্বদেশি” “আমরা লড়ব, আমরা জিতব” ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এরূপ অনেক স্লোগানই রাজনৈতিক সচেতন

৪ দিন আগে

প্রধান শিক্ষক : দশম গ্রেড প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি

২২ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । তাতে প্রধান শিক্ষকরা আগে কত টাকা বেতন ও ভাতা পেতেন, আর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে কত পাবেন—তা নিয়ে পরিপূর্ণ হিসাব রয়েছে ।

৫ দিন আগে

ভারত এবং গ্লোবাল সাউথ

ভিওজিএসএস হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্বেগ, স্বার্থ ও অগ্রাধিকারসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা, ধারণা ও সমাধান বিনিময় করা, এবং উন্নয়ন সমাধান বিনির্মাণে কণ্ঠ ও উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি অভিন্ন মঞ্চ প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা।

৫ দিন আগে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হোক

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই খাজা সলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা ইকবাল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করেন যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকবে। রা

৯ দিন আগে