ডয়চে ভেলে
১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে প্রথম দফায় গঠিত ছয় সংস্কার কমিশন। প্রস্তাবনা পাওয়ার পর সংস্কারের রূপরেখা কীভাবে চূড়ান্ত হবে বা কোন পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
সংস্কার কমিশনের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বল জানা গেছে, সরকারের গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন' সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে ভূমিকা রাখবে। এরজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ক্রমান্বয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে ওই কমিশন। চূড়ান্ত রূপরেখা বাস্তবায়নের কীভাবে হতে পারে সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করবে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ছয় সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন' গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন' সদস্য হিসেবে থাকছেন৷ আমাদের জানানো হয়েছে।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘ওই কমিশনটা (জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন) মূলত প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যমতের কমিশন৷ ওখানেই কী কী সংস্কার হবে, তা চূড়ান্ত হবে।’
আর বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেটা কীভাবে হবে তাও জাতীয় কমিশন ঠিক করবে৷ তবে নির্বাচিত সংসদ ছাড়াতো আর সংবিধান সংস্কার বা আইনগত সংস্কার করা যাবে না।’
সংস্কারের রূপরেখা তৈরিতে সংলাপ
বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় কমিশনের সংলাপে যেসব বিষয়ে সংস্কারের ব্যাপারে ঐকমত্য বা একমত হওয়া যাবে সেই সংস্কারগুলো করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছয়টি কমিশন প্রতিবেদন দেয়ার পরই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের কাজ শুরু হবে। এই কমিশন আলাদাভাবে প্রত্যেক কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সংলাপ করবে। আর সেখানে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আসলে মূল সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে নির্বাচিত সংসদকে। শুধু নির্বাচন বা একান্ত না করলেই নয়, এমন সংস্কারগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারে৷ সংবিধান সংস্কার বা পরিবর্তন তো এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই ঐকমত্য হলে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে। এজন্য জাতীয় ঐকমত্যের কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চুক্তি হতে পারে। কীভাবে সেটা হবে তা ওই সংলাপেই ঠিক হবে।’
অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেও সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন সাবজেক্ট ওয়াইজ কনসালটেশনের জন্য আবার আলাদা একটা কমিশন করা হয়েছে। ওই কমিশনের চেয়ারম্যান আমি নিজে৷ এবং প্রফেসর আলী রীয়াজ সহ-সভাপতি৷ এখন আমরা মিলে আরেকটা কনসেনসান ডেভেলপের চেষ্টা করছি। সেটা কীভাবে হবে৷ সমাজের আদানপ্রদান কীভাবে হবে৷ যাতে সর্ববসম্মত কিছু এটা বের করা যায়৷ সব বিষয়ে একমত না হলেও যেন অন্তত কিছু বিষয়ে একমত হওয়া যায়। তখন সেটাই আমাদের সংস্কার৷ সবার যেহেতু সম্মতি থাকবে তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে৷ আশা করছি জানুয়রিতেই এটা শুরু করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সংস্কার আমাদের একজনের মাথা থেকেতো আসবে না৷ সবার কাছ থেকে নিয়েই এটা হবে। ১০ জনের মাথা থেকে নিয়ে নির্যাস হয়ে এটা আসল৷ বাইরে সরকারের নিজস্ব কোনো প্রোগ্রাম নাই। আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দল না যে আমাদের নিজস্ব থাকবে। আমাদের একেক জনের একেক মত৷ একেক জন একেক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কাজেই সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই।’
বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ
এদিকে সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের সুপারিশমালা প্রায় চূড়ান্ত করেছে বিভিন্ন কমিশন। এ বিষয়ে তিনটি কমিশন থেকে তাদের প্রস্তাবনার বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশের মূলে রয়েছে একটা স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক দুর্নীতি দমন কমিশন৷ আমরা চাইছি যাতে যে কারুর দুর্নীতি তারা তদন্ত করতে পারে৷ আবার তাদের জবাবদিহিতাও যাতে থাকে৷ তারা যাতে কাউকে ছাড় না দেয়৷ আবার কাউকে অযথা হয়রানি না করে৷ এজন্য আমাদের প্রস্তাবে কাঠামোগত দিকও থাকছে৷ আবার তারা জবাবদিহিতা কোথায় করবেন, নিয়োগ কীভাবে হবে তারও প্রস্তাব থাকছে।’
‘আর টিআইবির একজন হিসাবে বলছি যে, আমরা ওয়াচডগ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করব। আমাদের প্রস্তাবগুলো কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটাও আমরা দেখব,’ বলেন তিনি।
এদিকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, ‘আমাদের প্রস্তবগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা জাতীয় কমিশন ঠিক করবে। আমাদের কমিশনের প্রধান ওই কমিশনেরও সদস্য৷ সেখানে তিনি নিশ্চয়ই আমাদের অবস্থান তুলে ধরবেন।’
তিনি জানান, ‘আমরা একটি জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার সুপারিশ করছি। মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে আমরা প্রধান্য দিয়েছি। আর পুলিশের বিশেষ করে কনস্টেবল বা নিম্নপদে যারা আছেন তাদের ওয়ালফেয়ারের ব্যাপারেও সুপারিশ আছে।’
‘আমরা চিন্তা করছি পুলিশের বাইরে একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থার প্রস্তাব দেয়ার৷ যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত হবে,’ বলেন তিনি।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নতুন করে সংবিধান লেখা বা পরিবর্তনের কোনো সুপারিশ করছি না৷ এগুলো জনগণই ঠিক করবে৷ আমরা কিছু জায়গায় সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ করছি। যেমন ৭০ অনুচ্ছেদ এখন যেভাবে আছে সেভাবে থাকা উচিত কী না৷ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এখন অনেক বেশি ক্ষমতা আছে, সেটা থাকা উচিত কী না৷ সেটা কীভাবে ভারসাম্য অবস্থায় আনা যায়৷ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরো কীভাবে র্যাশনালাইজ করা যায়৷ নির্বাচন কমিশন আরো কীভাবে স্বাধীন করা যায়৷ আমরা পদ্ধতিগত দিকগুলো বলেছি।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এই সরকার সংস্কার এবং নির্বাচন দুইটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে৷ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে৷ প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জুন মাসে নির্বাচন হবে।
সংস্কারের জন্য ৩ অক্টোবর পাঁচটি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ করা হয়৷ সেগুলো হলো: বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ও দুর্নীতি দমন কমিশন৷ ৭ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের৷ প্রথম ধাপের এই ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে৷ পরে আরো পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়েছে তারাও নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিলে তা নিয়েও জাতীয় সংস্কার কমিশনে সংলাপ হবে৷ প্রতিটি কমিশনের নির্ধারিত মেয়াদ ৯০ দিন।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে প্রথম দফায় গঠিত ছয় সংস্কার কমিশন। প্রস্তাবনা পাওয়ার পর সংস্কারের রূপরেখা কীভাবে চূড়ান্ত হবে বা কোন পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
সংস্কার কমিশনের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বল জানা গেছে, সরকারের গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন' সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে ভূমিকা রাখবে। এরজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ক্রমান্বয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে ওই কমিশন। চূড়ান্ত রূপরেখা বাস্তবায়নের কীভাবে হতে পারে সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করবে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ছয় সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন' গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন' সদস্য হিসেবে থাকছেন৷ আমাদের জানানো হয়েছে।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘ওই কমিশনটা (জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন) মূলত প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যমতের কমিশন৷ ওখানেই কী কী সংস্কার হবে, তা চূড়ান্ত হবে।’
আর বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেটা কীভাবে হবে তাও জাতীয় কমিশন ঠিক করবে৷ তবে নির্বাচিত সংসদ ছাড়াতো আর সংবিধান সংস্কার বা আইনগত সংস্কার করা যাবে না।’
সংস্কারের রূপরেখা তৈরিতে সংলাপ
বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় কমিশনের সংলাপে যেসব বিষয়ে সংস্কারের ব্যাপারে ঐকমত্য বা একমত হওয়া যাবে সেই সংস্কারগুলো করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছয়টি কমিশন প্রতিবেদন দেয়ার পরই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের কাজ শুরু হবে। এই কমিশন আলাদাভাবে প্রত্যেক কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সংলাপ করবে। আর সেখানে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আসলে মূল সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে নির্বাচিত সংসদকে। শুধু নির্বাচন বা একান্ত না করলেই নয়, এমন সংস্কারগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারে৷ সংবিধান সংস্কার বা পরিবর্তন তো এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই ঐকমত্য হলে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে। এজন্য জাতীয় ঐকমত্যের কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চুক্তি হতে পারে। কীভাবে সেটা হবে তা ওই সংলাপেই ঠিক হবে।’
অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেও সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন সাবজেক্ট ওয়াইজ কনসালটেশনের জন্য আবার আলাদা একটা কমিশন করা হয়েছে। ওই কমিশনের চেয়ারম্যান আমি নিজে৷ এবং প্রফেসর আলী রীয়াজ সহ-সভাপতি৷ এখন আমরা মিলে আরেকটা কনসেনসান ডেভেলপের চেষ্টা করছি। সেটা কীভাবে হবে৷ সমাজের আদানপ্রদান কীভাবে হবে৷ যাতে সর্ববসম্মত কিছু এটা বের করা যায়৷ সব বিষয়ে একমত না হলেও যেন অন্তত কিছু বিষয়ে একমত হওয়া যায়। তখন সেটাই আমাদের সংস্কার৷ সবার যেহেতু সম্মতি থাকবে তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে৷ আশা করছি জানুয়রিতেই এটা শুরু করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সংস্কার আমাদের একজনের মাথা থেকেতো আসবে না৷ সবার কাছ থেকে নিয়েই এটা হবে। ১০ জনের মাথা থেকে নিয়ে নির্যাস হয়ে এটা আসল৷ বাইরে সরকারের নিজস্ব কোনো প্রোগ্রাম নাই। আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দল না যে আমাদের নিজস্ব থাকবে। আমাদের একেক জনের একেক মত৷ একেক জন একেক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কাজেই সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই।’
বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ
এদিকে সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের সুপারিশমালা প্রায় চূড়ান্ত করেছে বিভিন্ন কমিশন। এ বিষয়ে তিনটি কমিশন থেকে তাদের প্রস্তাবনার বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশের মূলে রয়েছে একটা স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক দুর্নীতি দমন কমিশন৷ আমরা চাইছি যাতে যে কারুর দুর্নীতি তারা তদন্ত করতে পারে৷ আবার তাদের জবাবদিহিতাও যাতে থাকে৷ তারা যাতে কাউকে ছাড় না দেয়৷ আবার কাউকে অযথা হয়রানি না করে৷ এজন্য আমাদের প্রস্তাবে কাঠামোগত দিকও থাকছে৷ আবার তারা জবাবদিহিতা কোথায় করবেন, নিয়োগ কীভাবে হবে তারও প্রস্তাব থাকছে।’
‘আর টিআইবির একজন হিসাবে বলছি যে, আমরা ওয়াচডগ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করব। আমাদের প্রস্তাবগুলো কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটাও আমরা দেখব,’ বলেন তিনি।
এদিকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, ‘আমাদের প্রস্তবগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা জাতীয় কমিশন ঠিক করবে। আমাদের কমিশনের প্রধান ওই কমিশনেরও সদস্য৷ সেখানে তিনি নিশ্চয়ই আমাদের অবস্থান তুলে ধরবেন।’
তিনি জানান, ‘আমরা একটি জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার সুপারিশ করছি। মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে আমরা প্রধান্য দিয়েছি। আর পুলিশের বিশেষ করে কনস্টেবল বা নিম্নপদে যারা আছেন তাদের ওয়ালফেয়ারের ব্যাপারেও সুপারিশ আছে।’
‘আমরা চিন্তা করছি পুলিশের বাইরে একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থার প্রস্তাব দেয়ার৷ যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত হবে,’ বলেন তিনি।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নতুন করে সংবিধান লেখা বা পরিবর্তনের কোনো সুপারিশ করছি না৷ এগুলো জনগণই ঠিক করবে৷ আমরা কিছু জায়গায় সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ করছি। যেমন ৭০ অনুচ্ছেদ এখন যেভাবে আছে সেভাবে থাকা উচিত কী না৷ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এখন অনেক বেশি ক্ষমতা আছে, সেটা থাকা উচিত কী না৷ সেটা কীভাবে ভারসাম্য অবস্থায় আনা যায়৷ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরো কীভাবে র্যাশনালাইজ করা যায়৷ নির্বাচন কমিশন আরো কীভাবে স্বাধীন করা যায়৷ আমরা পদ্ধতিগত দিকগুলো বলেছি।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এই সরকার সংস্কার এবং নির্বাচন দুইটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে৷ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে৷ প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জুন মাসে নির্বাচন হবে।
সংস্কারের জন্য ৩ অক্টোবর পাঁচটি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ করা হয়৷ সেগুলো হলো: বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ও দুর্নীতি দমন কমিশন৷ ৭ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের৷ প্রথম ধাপের এই ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে৷ পরে আরো পাঁচটি কমিশন গঠন করা হয়েছে তারাও নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিলে তা নিয়েও জাতীয় সংস্কার কমিশনে সংলাপ হবে৷ প্রতিটি কমিশনের নির্ধারিত মেয়াদ ৯০ দিন।
স্লোগান বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিছ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে স্লোগানের ব্যবহার ছিল। “ব্রিটিশ হটাও, দেশ বাঁচাও”; “বিদেশি পণ্য বর্জন করো, দেশি পণ্য ব্যবহার করো”; “তুমি আমি স্বদেশি, স্বদেশি স্বদেশি” “আমরা লড়ব, আমরা জিতব” ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এরূপ অনেক স্লোগানই রাজনৈতিক সচেতন
৫ দিন আগে২২ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । তাতে প্রধান শিক্ষকরা আগে কত টাকা বেতন ও ভাতা পেতেন, আর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে কত পাবেন—তা নিয়ে পরিপূর্ণ হিসাব রয়েছে ।
৫ দিন আগেভিওজিএসএস হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্বেগ, স্বার্থ ও অগ্রাধিকারসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা, ধারণা ও সমাধান বিনিময় করা, এবং উন্নয়ন সমাধান বিনির্মাণে কণ্ঠ ও উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি অভিন্ন মঞ্চ প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা।
৬ দিন আগেবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই খাজা সলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা ইকবাল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করেন যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকবে। রা
৯ দিন আগে