চাই স্বস্তি-সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

অয়ন আমান
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৪১
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে হাটহাজারীর পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা অন্য রকম আন্দোলনের শহরে পরিণত হয়েছে। প্রথমদিকে মনে করা হয়েছিল, সাবেক সরকারের সময়ে মানুষ কথা বলতে পারেনি অথবা বলতে ভয় পেয়েছিল। তাই মন খুলে সবাই কথা বলছে, চিৎকার করেছে রাজপথে। কিন্তু মন খুলে সেই কথা বলা যখন নগরবাসীর বিরক্তির কারণ হয়, সরকারপ্রধানকে বাসা থেকে বের হতে বাধা দেয়, তখনই সরকার নড়েচড়ে বসে। অনুরোধ, সতর্কতা, নিষেধাজ্ঞা এমনকি কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার মতো সিদ্ধান্ত হয়।

গত এক সপ্তাহে নগরবাসীর সেই বিরক্তি যেন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে কী হচ্ছে, কী হবে-এমন সব কথা।

আন্দোলনকারীদের অনেকেই এখন মারমুখী। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তেড়ে যাচ্ছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করতে। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও রক্ষা পাচ্ছেন না রোগীর স্বজনদের আক্রোশ থেকে।

সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যোগ দিচ্ছে শঙ্কা-আশঙ্কা নিয়ে। পথে পথে ভোগান্তির শিকার কর্মজীবী মানুষ। দীর্ঘ যানজট আর নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন পেশাজীবীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অন্যভাবে বললে, নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে না।

মাত্র পাঁচ মাস আগেই এই মানুষেরাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বুক পেতে দাড়িয়েছিল গুলির সামনে। আহত মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।

এখন অনেকেই বলাবলি করছে, শত দিন পার না হতেই কী এমন ঘটলো যে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে? কেন সবাই নিজ নিজ দাবি-দাওয়া আদায়ের আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না? কেন আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করছে? কেউ কেউ এ সব প্রশ্নের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ইন্ধন খোঁজার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ অন্তবর্তীকালীন সরকারের অদক্ষতা, অপরিপক্কতাসহ নানাবিধ কথা বলছেন।

এমন পরিস্থিতির পেছনে মোটা দাগে দুটি কারণ থাকতে পারে যাকে একটি শব্দে প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ হয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেয়া মানুষদের অনেকেই মনে করছেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির পেছনে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শক্তির অপরিপক্কতা থাকতে পারে। অপরিক্কতা রয়েছে অন্তবর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টারও। রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সরকারের প্রতি সন্দেহ ও অবিশ্বাস। ক্ষমতাচ্যুতদের চেষ্টা থাকতে পারে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ দেখানোর।

ছাত্র-জনতার দাবির মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকারের। ৮ আগস্ট নতুন সরকার আসার পর থেকেই মাঠে গড়ায় একের পর এক আন্দোলন। সরকারি চাকরিজীবী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা দাবি নিয়ে হাজির হন সরকারপ্রধানের কাছে। শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ কিছু এলাকায় প্রতিদিন কান ঝালাপালা করা বক্তব্য চলতে থাকে। যানজটে স্থবির হয় ঢাকা।

একপর্যায়ে আনসার বাহিনীও নানা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ে। রিকশাচালকরা নানা দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি শাহবাগের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আসেপাশে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন জানায় বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সংস্কার কাজে সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ঢাকায় প্রথম সমাবেশ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি করে দলটি।

ক্রমেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে আন্দোলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা বা অবদানের কথা। জনমনে সৃষ্টি হয় এক ধরনের বিভ্রান্তি।

বিএনপি মনে করছে, যত দ্রুততম সময়ে নির্বাচন হবে তত বেশি আসনে জয় লাভের সুযোগ রয়েছে। এটি একটি সাধারণ রাজনৈতিক ধারণা যে শক্ত প্রতিপক্ষহীন নির্বাচনে বিএনপির দিকেই ভোটের পাল্লা ভারী হবে। যদিও ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টা একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে বলেছে বিএনপি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্বিদলীয় ধারার একটি বক্তব্য বহু পুরনো। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান এই ধারণার মূলে আঘাত করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতন মানুষেরা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে বিএনপি বহুবার সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। তবে দেশের মানুষ সেই ডাকে সাড়া দেয়নি। এমনকি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও বিএনপি সরকার পতনের ডাক দিয়ে জনমানুষের সাড়া পায়নি।

গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ছাত্র সমাজের ডাকা আন্দোলন যে এ ধরনের পরিণতির দিকে যাবে তা কোনো রাজনৈতিক দল কল্পনাও করতে পারেনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। দলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছে, যা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। তবে এ কথাও সত্য যে ছাত্র সমাজের একদফার আন্দোলনে দেশের শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।

সরকারবিরোধী এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যে নতুন শক্তির উত্থান ঘটেছে সে বাস্তবতা স্বীকার না করলেও অনুভব করছে বিএনপিসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি। শ্রেণি-পেশার মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণে যেমন ব্যর্থতা পরিচয় দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো তেমনি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক ও অন্তবর্তীকালীন সরকার।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের দুজন অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদ গ্রহণ করেছেন। বাকি চারজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামেই সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করেছে। জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দলীয় শক্তিগুলোর সমালোচনা করছেন ছাত্র সমন্বয়করা। এতে কর্মসূচি পালনে যেমন বাধার মুখে পড়েছেন তেমনি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

সাবেক ছাত্র নেতা নাসরুদ্দীনকে আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসাইনকে সদস্যসচিব করে গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই নাগরিক কমিটিতে যারা রয়েছে তাদের অধিকাংশই সমচিন্তার ব্যক্তিত্ব। এতে নতুন আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি আসলে কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। তারা আশঙ্কা করছেন, আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে নতুন দল গঠন হলে ভোটের রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়তে পারে পুরনো দলগুলো। তাই পূর্ব থেকে সংগঠিত দল হিসেবে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি নানা ভাবে ব্যবহার করে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্য নির্বাচন আদায়ের কৌশলে পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না কেউই।

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের মাধ্যমে শ্রেণি-পেশার মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। তবে সরকার পরিচালনায় শ্রেণি-পেশার মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যেমন ঘটেনি, তেমনি আন্দোলনকারীরা সাংগঠনিকভাবে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ঐক্যবদ্ধ রূপ দিতে পারেনি। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ছিলো প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আন্দোলনকারীরা সুনির্দিষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন করতে পারেনি।

আন্দোলনকারীদের এ অপরিপক্কতার সুযোগ নিচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ অব্যাহত রাখাই মূল লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য অর্জনের এ ধরনের তৎপরতায় আরও কিছু রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের যে সমর্থন নেই তা নিশ্চিত করে বলার সুযোগ কম।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকরা যেমন দলীয় নেতাদের মতো আচরণ করছেন, তেমনি অন্তবর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী সরকারগুলোর মতোই বিভিন্ন আন্দোলনকে মোকাবিলা করছেন। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকবে। বাড়বে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ভাবতে হবে তারা কী রাজনৈতিক দল গঠন করবে না নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে। অন্য দিকে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ভাবতে হবে তারা কী একা একা সংস্কার করবে, না দেশের রাজনৈতিক দল, শ্রেণী-পেশার মানুষকে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করবেন।

সাধারণ নাগরিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে যাতে ‘বাঘের হাত থেকে বাঁচতে কুমিরের মুখে ঝাঁপ দেয়া’র পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।

গত কয়েকদিনের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি, চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারতের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য অশনিসংকেত বলা চলে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টার কথা বলছে অন্তর্বতী সরকার। কিন্তু মানুষ কেনো যেনো আশ্বস্ত হতে পারছে না। চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে এভাবে হত্যার পর এক ধরনের অস্বস্তি, চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কান পাতলে সর্বত্র এক ধরনের অজানা আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে।

দ্রুতই সব শঙ্কা দূর হোক। এই বিপুলসংখ্যক দরিদ্র-অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের দেশে স্বস্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরে আসুক। আসুন, আমরা সেই প্রার্থনা করি, পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করি। সবপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দেশটি আমার, আপনার, সবারই। এই সংকটের সময় গুনগুন করে গেয়ে উঠি- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’

লেখক: সাংবাদিক

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

স্লোগানের স্বরূপ: নান্দনিকতা, সহিংসতা ও অশ্লীলতা

স্লোগান বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিছ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে স্লোগানের ব্যবহার ছিল। “ব্রিটিশ হটাও, দেশ বাঁচাও”; “বিদেশি পণ্য বর্জন করো, দেশি পণ্য ব্যবহার করো”; “তুমি আমি স্বদেশি, স্বদেশি স্বদেশি” “আমরা লড়ব, আমরা জিতব” ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এরূপ অনেক স্লোগানই রাজনৈতিক সচেতন

৫ দিন আগে

প্রধান শিক্ষক : দশম গ্রেড প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি

২২ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । তাতে প্রধান শিক্ষকরা আগে কত টাকা বেতন ও ভাতা পেতেন, আর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে কত পাবেন—তা নিয়ে পরিপূর্ণ হিসাব রয়েছে ।

৫ দিন আগে

ভারত এবং গ্লোবাল সাউথ

ভিওজিএসএস হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্বেগ, স্বার্থ ও অগ্রাধিকারসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা, ধারণা ও সমাধান বিনিময় করা, এবং উন্নয়ন সমাধান বিনির্মাণে কণ্ঠ ও উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি অভিন্ন মঞ্চ প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা।

৬ দিন আগে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হোক

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই খাজা সলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা ইকবাল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করেন যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকবে। রা

১০ দিন আগে