
অরুণ কুমার

স্বপ্নের মানে আছে—জ্যেতিষিরা এটা বলেন ঠিকই, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান এটা মানে না। স্বপ্ন আপনার অলৌকিক ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে না। স্বপ্নের মানে খোঁজা তাই বৃথা। স্বপ্ন হলো আপনার অবচেতন মনে ঘটে যাওয়া কোনো দুর্ভাবনা বা সুভাবনার ফল। আপনি হয়তো কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন, সেটাই ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন হয়ে আপনাকে তাড়া করে ফিরতে পারে। আবার হয়তো, কোনো একটা সমস্যার সমাধান খুঁজছেন, সেটা পাচ্ছেন না। আপনার সচেতন মন সেটার সমাধা্ন না পেলেও হয়তো অবচেতন মন পেয়ে গিয়েছে। তখন সেই সমাধানটা হয়তো স্বপ্ন হয়ে ধরা দিতে পারে। এমনই একটা ঘটেছিল ঘটেছিল সেলাই মেশিনের ক্ষেত্রে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক। মার্কিন গবেষক এলিয়াস হাউই করছেন কার্যকরী সেলাই মেশিন তৈরির চেষ্টা। তিনিই প্রথম নন। তাঁর আগে কমবেশি ৮০টি সেলাই মেশিনের মডেল তৈরি করেছেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবিষ্কারক।
কিন্তু কোনোটাই ফলপ্রসূ হয়। এককেটার একেক সমস্যা। তাই নতুন এবং কার্যকরী একটা সেলাই মেশিন বানানোর প্রাণপন চেষ্টা করছেন।
তিনি খেটেখুটে একটা সেলাই মেশিন তৈরি করেও ফেলেছেন।
মেশিনটা মন্দ নয়। কিন্তু সে সেলাই মেশিন ঠিকঠাকমতো কাজ করছে না। বড় কারণ সুচ। হাউই যে যন্ত্রটা বানিয়েছিলেন, তাতে ব্যবহার করেছিলেন সাধারণ সুচ।
নারীরা হাতে সেলাই করার জন্য যে সুচ ব্যবহার করেন, সেই একই ধরনের সুচ। কিন্তু মেশিন এই সুচ দিয়ে কিছুতেই সেলাই করা সম্ভব হচ্ছিল না।
তখন বিকল্প ভাবনা ভাবতে হলো হাউকে। সেই ভাবনাটা যে কী, কিছুতেই মাথায় আসছিল হাউইয়ের। ওদিকে তিনি একটা কম্পানির সঙ্গে রীতিমতো চুক্তি করে বসে আছেন, সেলাই মেশিন যদি তৈরি করতে পারেন, সেটা উৎপাদন আর বাজারজাত করার কাজ সেই কম্পানিই করবে।
এর বদলে হাউইয়ের গবেষণার কাজে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, সেটা ব্যয়ভার বহন করছে ওই কম্পানিটি। কিন্তু হাউয়ের কাজ তো এগোচ্ছে না। এ কারণে বিরক্ত কম্পানি। আর কত দিন সময় নেবেন হাউই? শেষমেশ তারা এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিলেন হাউইকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই দিতে হবে তাদের যন্ত্রের মডেল।
হাউইয়ের তখন ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা। কী করবেন এখন? ঘুম হারাম হলেও, সেই ঘুম থেকেই এলো সমাধান।
কিভাবে?
রাত-দিন এক করে কাজ করেন হাউই। কাজ করতে করতেই একসময় ঘুম আসে দু’চোখে। কিন্তু ঘুমিয়েও শান্তি নেই, দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফেরে। একদিন তেমনই এক দুঃস্বপ্ন আশীর্বাদ হয়ে আসে হাউইয়ের জন্য।
হাউই দেখেন জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে একদল জংলির হাতে ধরা পড়েছেন। তারা বন্দি করে নিয়ে যায় তাদের আস্তানায়। বিচার হবে। টেনিদাকে যেভাবে জঙ্গলে আটক করেছিল জংলিরা, সে রকম জংলি। ভয়ংকর তাদের বেশভূষা। হাতে আদিকালের অস্ত্র—বর্ষা, তির-ধনুক। বেচাল দেখলেই হাউয়ের বুকে বিঁধবে সেসব।
জংলির সর্দার হাঁকডাক দিয়ে বিচার বসিয়েছে। তাদের ডেরায় সভ্য মানুষের পদার্পণ মোটেও পছন্দ করে না জংলিরা। ঘচাং ফুঁ করে হয়তো গলাটাই নামিয়ে দেবে। জংলির সর্দার ভয়ংকর-নির্দয়। তবু হাউইকে একটা সুযোগ দিল। হাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এর মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে হবে সেলাই মেশিন। যদি বানাতে পারেন তবেই প্রাণে বাঁচবেন হাউই। কিন্তু যদি ব্যর্থ হন, তাহলে গর্দান যাবে।
হাউই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেই সেলাই মেশিন বানাতে বসলেন। অনেক সময় দেখা যায়, বাস্তবে না পারলেও, স্বপ্নে ঠিকই কাজটা করা যায়। কিন্তু হাউই পারলেন না। বাস্তবের মতো স্বপ্নেও ব্যর্থ হলেন। অনেক চেষ্টা করেও কাজ হলো না। একসময় জংলির সর্দারের বেঁধে দেওয়া সময়ও শেষ হয়ে গেল। এবার মরার পালা।
জংলির সর্দার মহা খাপ্পা। তার আদেশে জংলিরা সব বর্শা-বল্লম নিয়ে তেড়ে এলো। প্রথমেই একটা বর্শা ছুটে এলো তাঁর দিকে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও হাউই বর্শাটা খেয়াল করলেন। আর দশটা সাধারণ বর্শার মতো নয়। এর চ্যাপ্টা ফলাটার মাঝখানে ছিদ্র।
ফলাটা বুকে এসে বেঁধার আগেই ঘুম ভেঙে যায় হাউয়ের। সেই দুঃস্বপ্ন থেকেই পেয়ে যান দারুণ এক বুদ্ধি। এত দিন তিনি ভুল সুচ ব্যবহার করেছেন, যার পেছনের দিকটা চ্যাপ্টা, সেখানে ছিদ্র করা। এবার তিনি সুচের পেছন দিকে নয়, সামনের দিকটা চ্যাপ্টা করে ফলার মতো আকার দিলেন। তারপর সেই চ্যাপ্টা অংশে ছিদ্র করে তৈরি করলেন সেলাই মেশিনের উপযোগী সুই। পরে ব্যাপক জনপ্রিয় সিঙ্গারের তৈরি সেলাই মেশিনেও একই রকম সুচ ব্যবহার করা হয়।

স্বপ্নের মানে আছে—জ্যেতিষিরা এটা বলেন ঠিকই, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান এটা মানে না। স্বপ্ন আপনার অলৌকিক ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে না। স্বপ্নের মানে খোঁজা তাই বৃথা। স্বপ্ন হলো আপনার অবচেতন মনে ঘটে যাওয়া কোনো দুর্ভাবনা বা সুভাবনার ফল। আপনি হয়তো কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন, সেটাই ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন হয়ে আপনাকে তাড়া করে ফিরতে পারে। আবার হয়তো, কোনো একটা সমস্যার সমাধান খুঁজছেন, সেটা পাচ্ছেন না। আপনার সচেতন মন সেটার সমাধা্ন না পেলেও হয়তো অবচেতন মন পেয়ে গিয়েছে। তখন সেই সমাধানটা হয়তো স্বপ্ন হয়ে ধরা দিতে পারে। এমনই একটা ঘটেছিল ঘটেছিল সেলাই মেশিনের ক্ষেত্রে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক। মার্কিন গবেষক এলিয়াস হাউই করছেন কার্যকরী সেলাই মেশিন তৈরির চেষ্টা। তিনিই প্রথম নন। তাঁর আগে কমবেশি ৮০টি সেলাই মেশিনের মডেল তৈরি করেছেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবিষ্কারক।
কিন্তু কোনোটাই ফলপ্রসূ হয়। এককেটার একেক সমস্যা। তাই নতুন এবং কার্যকরী একটা সেলাই মেশিন বানানোর প্রাণপন চেষ্টা করছেন।
তিনি খেটেখুটে একটা সেলাই মেশিন তৈরি করেও ফেলেছেন।
মেশিনটা মন্দ নয়। কিন্তু সে সেলাই মেশিন ঠিকঠাকমতো কাজ করছে না। বড় কারণ সুচ। হাউই যে যন্ত্রটা বানিয়েছিলেন, তাতে ব্যবহার করেছিলেন সাধারণ সুচ।
নারীরা হাতে সেলাই করার জন্য যে সুচ ব্যবহার করেন, সেই একই ধরনের সুচ। কিন্তু মেশিন এই সুচ দিয়ে কিছুতেই সেলাই করা সম্ভব হচ্ছিল না।
তখন বিকল্প ভাবনা ভাবতে হলো হাউকে। সেই ভাবনাটা যে কী, কিছুতেই মাথায় আসছিল হাউইয়ের। ওদিকে তিনি একটা কম্পানির সঙ্গে রীতিমতো চুক্তি করে বসে আছেন, সেলাই মেশিন যদি তৈরি করতে পারেন, সেটা উৎপাদন আর বাজারজাত করার কাজ সেই কম্পানিই করবে।
এর বদলে হাউইয়ের গবেষণার কাজে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, সেটা ব্যয়ভার বহন করছে ওই কম্পানিটি। কিন্তু হাউয়ের কাজ তো এগোচ্ছে না। এ কারণে বিরক্ত কম্পানি। আর কত দিন সময় নেবেন হাউই? শেষমেশ তারা এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিলেন হাউইকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই দিতে হবে তাদের যন্ত্রের মডেল।
হাউইয়ের তখন ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা। কী করবেন এখন? ঘুম হারাম হলেও, সেই ঘুম থেকেই এলো সমাধান।
কিভাবে?
রাত-দিন এক করে কাজ করেন হাউই। কাজ করতে করতেই একসময় ঘুম আসে দু’চোখে। কিন্তু ঘুমিয়েও শান্তি নেই, দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফেরে। একদিন তেমনই এক দুঃস্বপ্ন আশীর্বাদ হয়ে আসে হাউইয়ের জন্য।
হাউই দেখেন জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে একদল জংলির হাতে ধরা পড়েছেন। তারা বন্দি করে নিয়ে যায় তাদের আস্তানায়। বিচার হবে। টেনিদাকে যেভাবে জঙ্গলে আটক করেছিল জংলিরা, সে রকম জংলি। ভয়ংকর তাদের বেশভূষা। হাতে আদিকালের অস্ত্র—বর্ষা, তির-ধনুক। বেচাল দেখলেই হাউয়ের বুকে বিঁধবে সেসব।
জংলির সর্দার হাঁকডাক দিয়ে বিচার বসিয়েছে। তাদের ডেরায় সভ্য মানুষের পদার্পণ মোটেও পছন্দ করে না জংলিরা। ঘচাং ফুঁ করে হয়তো গলাটাই নামিয়ে দেবে। জংলির সর্দার ভয়ংকর-নির্দয়। তবু হাউইকে একটা সুযোগ দিল। হাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এর মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে হবে সেলাই মেশিন। যদি বানাতে পারেন তবেই প্রাণে বাঁচবেন হাউই। কিন্তু যদি ব্যর্থ হন, তাহলে গর্দান যাবে।
হাউই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেই সেলাই মেশিন বানাতে বসলেন। অনেক সময় দেখা যায়, বাস্তবে না পারলেও, স্বপ্নে ঠিকই কাজটা করা যায়। কিন্তু হাউই পারলেন না। বাস্তবের মতো স্বপ্নেও ব্যর্থ হলেন। অনেক চেষ্টা করেও কাজ হলো না। একসময় জংলির সর্দারের বেঁধে দেওয়া সময়ও শেষ হয়ে গেল। এবার মরার পালা।
জংলির সর্দার মহা খাপ্পা। তার আদেশে জংলিরা সব বর্শা-বল্লম নিয়ে তেড়ে এলো। প্রথমেই একটা বর্শা ছুটে এলো তাঁর দিকে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও হাউই বর্শাটা খেয়াল করলেন। আর দশটা সাধারণ বর্শার মতো নয়। এর চ্যাপ্টা ফলাটার মাঝখানে ছিদ্র।
ফলাটা বুকে এসে বেঁধার আগেই ঘুম ভেঙে যায় হাউয়ের। সেই দুঃস্বপ্ন থেকেই পেয়ে যান দারুণ এক বুদ্ধি। এত দিন তিনি ভুল সুচ ব্যবহার করেছেন, যার পেছনের দিকটা চ্যাপ্টা, সেখানে ছিদ্র করা। এবার তিনি সুচের পেছন দিকে নয়, সামনের দিকটা চ্যাপ্টা করে ফলার মতো আকার দিলেন। তারপর সেই চ্যাপ্টা অংশে ছিদ্র করে তৈরি করলেন সেলাই মেশিনের উপযোগী সুই। পরে ব্যাপক জনপ্রিয় সিঙ্গারের তৈরি সেলাই মেশিনেও একই রকম সুচ ব্যবহার করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৪০ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনা হচ্ছে না। যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, কেবল সেখানে (বডি ওর্ন ক্যামেরা) দেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কেনা হবে। ইসি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করে ঠিক করবে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার এ রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির কাছে পাঠানোর কথা ছিল। এ সত্যায়িত কপিতে চেয়ারম্যানসহ তিন বিচারকের সই প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনাল প্রশাসন বলছে, চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকার কারণেই সেটি পাঠানো সম্ভব হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘এনজিও-গ্রাম’ অভিহিত করে যারা সমালোচনা করে থাকেন, তাদের জবাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ১৪টি বিষয়ে সরকারের ‘অর্জন’ তুলে ধরে বলেছেন, সরকারের সমালোচনাকারীর সমালোচনা অন্যায্য।
১ ঘণ্টা আগে