ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
দেশের বিভিন্ন স্থানে রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। সাপটি স্বাভাবিক চরিত্রও বদলাচ্ছে। সাপের দংশনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। প্রচলিত আছে এ সাপ দংশন করলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামীণ ও কৃষিনির্ভর চর এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছিল।
আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানুষ, জীন ছাড়াও অসংখ্য জীব-জন্তু সৃষ্টি করেছেন। এর কোনোটি স্বাভাবিক, আবার কোনোটি রহস্যেঘেরা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
رَبُّنَا الَّذِیۡۤ اَعۡطٰی كُلَّ شَیۡءٍ خَلۡقَهٗ ثُمَّ هَدٰی
‘আমাদের প্রভু তিনি, যিনি প্রতিটি জিনিসকে এর আকার (গঠন ও অবয়ব) দান করেছেন তারপরে একে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন।’ (সূরা ত্বহা, আয়াত : ৫০)
আল্লাহ তায়ালার অপার সৃষ্টি রহস্যের অন্যতম একটি হলো সাপ। এই প্রাণীটির আকৃতি ও চলার ধরণ মানুষকে আতঙ্কিত করে। সাপ দেখলেই মানুষ তা মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তবে সাপ দেখলেই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি।
সাপের দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তা মারতে বাধা নেই। তবে সাপ মারার আগে আমাদের করণীয় হলো ওই সাপ আমাদের ক্ষতি করবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া। এ ব্যাপারে হাদিসেও খুব সুন্দর নিয়ম উল্লেখ রয়েছে।
নবীজি সা. ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো সাপ মারার আগে তিনবার তাকে সাবধান করবে। এরপরও যদি সে (গর্ত থেকে) বের হয়, তখন তাকে মেরে ফেলবে। কেননা সে শয়তান’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৬৮)।
আরেক হাদিসে হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদিনায় জ্বীনদের একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম কবুল করেছে। তাই যে ব্যক্তি এ সব বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী (সাপ ইত্যাদির রূপধারী)-দের কোন কিছু দেখতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সতর্ক সংকেত দেয়; এরপরও যদি তার সামনে তা প্রকাশ পায়, তবে সে যেন তাকে মেরে ফেলে, কেননা সে একটা (অবাধ্য) শয়তান। (মুসলিম, হাদিস : ৫৬৪৬)
আরেক হাদিসে হজরত সালিম (রহ.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেই সাপ মারবে, যার পিঠে দুটি সাদা রেখা আছে এবং যার লেজ নেই। কেননা এরা বিষধর হওয়ার কারণে দর্শনশক্তি বিনষ্ট করে দেয় এবং গর্ভস্থিত সন্তান ধ্বংস করে দেয়।’ বর্ণনাকারী বলেন, এর পর থেকে আবদুল্লাহ (রা.) যেকোনো সাপ দেখতে পেলে তা মেরে ফেলতেন। একবার আবু লুবাবা (রা.) অথবা জায়েদ ইবনে খাওয়াব (রা.) তাকে একটি সাপ মারতে উদ্যত দেখে বললেন, নবীজি (সা.) ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৬২)
অনেক সময় সাপের রূপ ধারণ করে নেক্কার জিনরা বিচরণ করে থাকে। যেমনটি হাদিস থেকেও জানা যায়। হজরত ইয়াজিদ ইবনে মাওহাব (রহ.) আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন—
একদা আমি আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর কাছে এসে বসি। এ সময় আমি তার চৌকির নিচে কিছুর আওয়াজ শুনতে পাই। আমি তাকিয়ে দেখি যে একটি সাপ। তখন আমি দাঁড়ালে আবু সাইদ (রা.) জিজ্ঞেস করেন, তোমার কী হয়েছে? তখন আমি বললাম, এখানে একটা সাপ আছে। তিনি বলেন, তুমি কী করতে চাও? তখন আমি বললাম, আমি তাকে মেরে ফেলব। তখন তিনি তার বাড়ির একটি ঘরের দিকে ইশারা করে বলেন, এখানে আমার চাচাতো ভাই থাকত। খন্দকের যুদ্ধের সময় সে রাসুল (সা.)-এর কাছে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায়। কেননা সে তখন নতুন বিয়ে করেছিল। তখন রাসুল (সা.) তাকে অনুমতি দেন এবং বলেন, তুমি তোমার হাতিয়ার নিয়ে যাও। সে নিজ ঘরে ফিরে তার স্ত্রীকে ঘরের দরজার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে তার (স্ত্রীর) প্রতি বল্লম দিয়ে ইশারা করে। তখন তার স্ত্রী বলল, তাড়াহুড়ো করো না। এসে দেখো কী যেন আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। তখন সে ঘরে ঢুকে একটি কুৎসিত সাপ দেখতে পায়। সে তাকে বল্লম দিয়ে হত্যা করে এবং বল্লমে তার দেহ ফুঁড়ে বাইরে নিয়ে আসে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, এরপর কে আগে মারা গিয়েছিল-লোকটি, না সাপটি।
তখন তার জাতির লোকেরা রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেছে, আপনি দোয়া করুন, যাতে আমাদের সঙ্গী বেঁচে যায়। তখন নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করো।’
এরপর তিনি বলেন, ‘মদিনার এক দল জিন ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাই তোমরা যখন তাদের (সাপ) কাউকে দেখবে, তখন তাকে তিনবার ভীতি প্রদর্শন করবে যে আর বের হবে না, অন্যথায় মারা পড়বে। এরপর যদি সে (গর্ত থেকে) বের হয়, তখন তাকে মেরে ফেলবে’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৬৭)।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। সাপটি স্বাভাবিক চরিত্রও বদলাচ্ছে। সাপের দংশনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। প্রচলিত আছে এ সাপ দংশন করলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামীণ ও কৃষিনির্ভর চর এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছিল।
আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানুষ, জীন ছাড়াও অসংখ্য জীব-জন্তু সৃষ্টি করেছেন। এর কোনোটি স্বাভাবিক, আবার কোনোটি রহস্যেঘেরা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
رَبُّنَا الَّذِیۡۤ اَعۡطٰی كُلَّ شَیۡءٍ خَلۡقَهٗ ثُمَّ هَدٰی
‘আমাদের প্রভু তিনি, যিনি প্রতিটি জিনিসকে এর আকার (গঠন ও অবয়ব) দান করেছেন তারপরে একে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন।’ (সূরা ত্বহা, আয়াত : ৫০)
আল্লাহ তায়ালার অপার সৃষ্টি রহস্যের অন্যতম একটি হলো সাপ। এই প্রাণীটির আকৃতি ও চলার ধরণ মানুষকে আতঙ্কিত করে। সাপ দেখলেই মানুষ তা মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তবে সাপ দেখলেই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি।
সাপের দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তা মারতে বাধা নেই। তবে সাপ মারার আগে আমাদের করণীয় হলো ওই সাপ আমাদের ক্ষতি করবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া। এ ব্যাপারে হাদিসেও খুব সুন্দর নিয়ম উল্লেখ রয়েছে।
নবীজি সা. ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো সাপ মারার আগে তিনবার তাকে সাবধান করবে। এরপরও যদি সে (গর্ত থেকে) বের হয়, তখন তাকে মেরে ফেলবে। কেননা সে শয়তান’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৬৮)।
আরেক হাদিসে হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদিনায় জ্বীনদের একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম কবুল করেছে। তাই যে ব্যক্তি এ সব বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী (সাপ ইত্যাদির রূপধারী)-দের কোন কিছু দেখতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সতর্ক সংকেত দেয়; এরপরও যদি তার সামনে তা প্রকাশ পায়, তবে সে যেন তাকে মেরে ফেলে, কেননা সে একটা (অবাধ্য) শয়তান। (মুসলিম, হাদিস : ৫৬৪৬)
আরেক হাদিসে হজরত সালিম (রহ.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেই সাপ মারবে, যার পিঠে দুটি সাদা রেখা আছে এবং যার লেজ নেই। কেননা এরা বিষধর হওয়ার কারণে দর্শনশক্তি বিনষ্ট করে দেয় এবং গর্ভস্থিত সন্তান ধ্বংস করে দেয়।’ বর্ণনাকারী বলেন, এর পর থেকে আবদুল্লাহ (রা.) যেকোনো সাপ দেখতে পেলে তা মেরে ফেলতেন। একবার আবু লুবাবা (রা.) অথবা জায়েদ ইবনে খাওয়াব (রা.) তাকে একটি সাপ মারতে উদ্যত দেখে বললেন, নবীজি (সা.) ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৬২)
অনেক সময় সাপের রূপ ধারণ করে নেক্কার জিনরা বিচরণ করে থাকে। যেমনটি হাদিস থেকেও জানা যায়। হজরত ইয়াজিদ ইবনে মাওহাব (রহ.) আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন—
একদা আমি আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর কাছে এসে বসি। এ সময় আমি তার চৌকির নিচে কিছুর আওয়াজ শুনতে পাই। আমি তাকিয়ে দেখি যে একটি সাপ। তখন আমি দাঁড়ালে আবু সাইদ (রা.) জিজ্ঞেস করেন, তোমার কী হয়েছে? তখন আমি বললাম, এখানে একটা সাপ আছে। তিনি বলেন, তুমি কী করতে চাও? তখন আমি বললাম, আমি তাকে মেরে ফেলব। তখন তিনি তার বাড়ির একটি ঘরের দিকে ইশারা করে বলেন, এখানে আমার চাচাতো ভাই থাকত। খন্দকের যুদ্ধের সময় সে রাসুল (সা.)-এর কাছে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায়। কেননা সে তখন নতুন বিয়ে করেছিল। তখন রাসুল (সা.) তাকে অনুমতি দেন এবং বলেন, তুমি তোমার হাতিয়ার নিয়ে যাও। সে নিজ ঘরে ফিরে তার স্ত্রীকে ঘরের দরজার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে তার (স্ত্রীর) প্রতি বল্লম দিয়ে ইশারা করে। তখন তার স্ত্রী বলল, তাড়াহুড়ো করো না। এসে দেখো কী যেন আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। তখন সে ঘরে ঢুকে একটি কুৎসিত সাপ দেখতে পায়। সে তাকে বল্লম দিয়ে হত্যা করে এবং বল্লমে তার দেহ ফুঁড়ে বাইরে নিয়ে আসে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, এরপর কে আগে মারা গিয়েছিল-লোকটি, না সাপটি।
তখন তার জাতির লোকেরা রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেছে, আপনি দোয়া করুন, যাতে আমাদের সঙ্গী বেঁচে যায়। তখন নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করো।’
এরপর তিনি বলেন, ‘মদিনার এক দল জিন ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাই তোমরা যখন তাদের (সাপ) কাউকে দেখবে, তখন তাকে তিনবার ভীতি প্রদর্শন করবে যে আর বের হবে না, অন্যথায় মারা পড়বে। এরপর যদি সে (গর্ত থেকে) বের হয়, তখন তাকে মেরে ফেলবে’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৬৭)।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদ
৪ ঘণ্টা আগেকর কর্মকর্তারা বলছেন, গত মে ও জুনে আন্দোলনের জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। যার শুরু গত জুলাই থেকেই।
৪ ঘণ্টা আগে