
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'সান্ডা' শব্দটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুকে 'কফিলের ছেলে' ও 'সান্ডা' নিয়ে তৈরি হওয়া মিম, রিলস ও ভিডিওগুলো তরুণদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছে।
কিন্তু এই 'সান্ডা' আসলে কী?
কেন এটি নিয়ে এত আলোচনা?
'সান্ডা' শব্দটি মূলত স্পাইনি-টেইলড লিজার্ড বা কাঁটাযুক্ত লেজওয়ালা টিকটিকিকে বোঝায়, যার বৈজ্ঞানিক নাম ইউরোমাস্টিক্স (Uromastyx)। এই প্রজাতির সরীসৃপরা Agamidae গোত্রের অন্তর্গত এবং এদের ১৫টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। এরা মূলত মরু ও আধা-মরু অঞ্চলে বাস করে, যেমন উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ। সৌদি আরবের মরুভূমি এদের অন্যতম প্রাকৃতিক আবাসস্থল।
ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির সরিসৃপগুলো সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার (১০ থেকে ১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে কিছু প্রজাতি, যেমন Uromastyx aegyptia, ৭৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের শরীর মোটা, মাথা চওড়া এবং লেজটি মোটা ও কাঁটাযুক্ত, যা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিপদের সময় এরা গর্তে ঢুকে লেজটি বাইরে রেখে তা দোলাতে থাকে, যাতে শিকারিকে ভয় দেখাতে পারে।
এই সরিসৃপ মূলত নিরামিষভোজী। তারা গাছের পাতা, ফুল, ফলমূল এবং শস্য খেয়ে থাকে। তবে কিছু প্রজাতি মাঝে মাঝে পোকামাকড়ও খায়। তাদের খাদ্যাভ্যাস তাদের বাসস্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির সরিসৃপগুলো মরু ও আধা-মরু অঞ্চলে বাস করে। তারা সাধারণত পাথুরে এলাকা, খাড়া ঢাল এবং গর্তে আশ্রয় নেয়। তারা দিনের বেলা সক্রিয় থাকে এবং রাতে গর্তে বিশ্রাম নেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি ভ্লগার, বিশেষ করে সৌদি আরবে কর্মরত শ্রমিকরা, তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করছেন। এই ভিডিওগুলোতে তারা মরুভূমিতে দেখা পাওয়া বিভিন্ন প্রাণী, যেমন উট, গাধা, ছাগল এবং 'সান্ডা' দেখান। এই ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে, যেখানে একটি সান্ডা ফোঁসফোঁস করছে এবং ভ্লগার আবদুল মান্নান বলছেন, "ও ভাইরে ভাই... সাপের মতো ফঁস ফঁস করে, দেখেন, ওয়াও, অসাধারণ!" এই ভিডিওটি ৬.৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেছেন এবং এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে।’
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অঞ্চলে 'সান্ডা' নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, সান্ডার চর্বি বা তেল পুরুষদের যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়ক। তবে আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণার কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। বিজ্ঞানীদের মতে, সান্ডার চর্বি বা তেলে কোনো ঔষধি গুণ নেই এবং এটি শুধুমাত্র একটি কুসংস্কার।
ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির লিজার্ডগুলো পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা গাছের পাতা ও ফল খেয়ে বীজ ছড়িয়ে দেয়, যা উদ্ভিদের বিস্তারে সহায়ক। তারা মৃত পাতা ও অন্যান্য উদ্ভিদ খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে। তাদের উপস্থিতি একটি সুস্থ বাস্তুতন্ত্রের নির্দেশক।
বাংলাদেশে ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির লিজার্ডের উপস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামে গুইসাপ বা মনিটর লিজার্ড দেখা যায়, যা ইউরোমাস্টিক্স নয়। তবে কিছু অসাধু ব্যক্তি সান্ডা তেল বা চর্বি বিক্রি করে থাকেন, যা অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
'সান্ডা' একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির লিজার্ড নয়, বরং ইউরোমাস্টিক্স গোত্রের বিভিন্ন প্রজাতিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এরা মূলত মরু অঞ্চলে বাস করে এবং পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক মাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা আমাদের কৌতূহল জাগালেও, এ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ও ভুল ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সঠিক তথ্য ও সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এই প্রাণীকে রক্ষা করতে পারি এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারি।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'সান্ডা' শব্দটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুকে 'কফিলের ছেলে' ও 'সান্ডা' নিয়ে তৈরি হওয়া মিম, রিলস ও ভিডিওগুলো তরুণদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছে।
কিন্তু এই 'সান্ডা' আসলে কী?
কেন এটি নিয়ে এত আলোচনা?
'সান্ডা' শব্দটি মূলত স্পাইনি-টেইলড লিজার্ড বা কাঁটাযুক্ত লেজওয়ালা টিকটিকিকে বোঝায়, যার বৈজ্ঞানিক নাম ইউরোমাস্টিক্স (Uromastyx)। এই প্রজাতির সরীসৃপরা Agamidae গোত্রের অন্তর্গত এবং এদের ১৫টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। এরা মূলত মরু ও আধা-মরু অঞ্চলে বাস করে, যেমন উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ। সৌদি আরবের মরুভূমি এদের অন্যতম প্রাকৃতিক আবাসস্থল।
ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির সরিসৃপগুলো সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার (১০ থেকে ১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে কিছু প্রজাতি, যেমন Uromastyx aegyptia, ৭৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এদের শরীর মোটা, মাথা চওড়া এবং লেজটি মোটা ও কাঁটাযুক্ত, যা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিপদের সময় এরা গর্তে ঢুকে লেজটি বাইরে রেখে তা দোলাতে থাকে, যাতে শিকারিকে ভয় দেখাতে পারে।
এই সরিসৃপ মূলত নিরামিষভোজী। তারা গাছের পাতা, ফুল, ফলমূল এবং শস্য খেয়ে থাকে। তবে কিছু প্রজাতি মাঝে মাঝে পোকামাকড়ও খায়। তাদের খাদ্যাভ্যাস তাদের বাসস্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির সরিসৃপগুলো মরু ও আধা-মরু অঞ্চলে বাস করে। তারা সাধারণত পাথুরে এলাকা, খাড়া ঢাল এবং গর্তে আশ্রয় নেয়। তারা দিনের বেলা সক্রিয় থাকে এবং রাতে গর্তে বিশ্রাম নেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি ভ্লগার, বিশেষ করে সৌদি আরবে কর্মরত শ্রমিকরা, তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করছেন। এই ভিডিওগুলোতে তারা মরুভূমিতে দেখা পাওয়া বিভিন্ন প্রাণী, যেমন উট, গাধা, ছাগল এবং 'সান্ডা' দেখান। এই ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে, যেখানে একটি সান্ডা ফোঁসফোঁস করছে এবং ভ্লগার আবদুল মান্নান বলছেন, "ও ভাইরে ভাই... সাপের মতো ফঁস ফঁস করে, দেখেন, ওয়াও, অসাধারণ!" এই ভিডিওটি ৬.৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেছেন এবং এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে।’
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অঞ্চলে 'সান্ডা' নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, সান্ডার চর্বি বা তেল পুরুষদের যৌনশক্তি বাড়াতে সহায়ক। তবে আধুনিক বিজ্ঞান এই ধারণার কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। বিজ্ঞানীদের মতে, সান্ডার চর্বি বা তেলে কোনো ঔষধি গুণ নেই এবং এটি শুধুমাত্র একটি কুসংস্কার।
ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির লিজার্ডগুলো পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা গাছের পাতা ও ফল খেয়ে বীজ ছড়িয়ে দেয়, যা উদ্ভিদের বিস্তারে সহায়ক। তারা মৃত পাতা ও অন্যান্য উদ্ভিদ খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে। তাদের উপস্থিতি একটি সুস্থ বাস্তুতন্ত্রের নির্দেশক।
বাংলাদেশে ইউরোমাস্টিক্স প্রজাতির লিজার্ডের উপস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামে গুইসাপ বা মনিটর লিজার্ড দেখা যায়, যা ইউরোমাস্টিক্স নয়। তবে কিছু অসাধু ব্যক্তি সান্ডা তেল বা চর্বি বিক্রি করে থাকেন, যা অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
'সান্ডা' একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির লিজার্ড নয়, বরং ইউরোমাস্টিক্স গোত্রের বিভিন্ন প্রজাতিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এরা মূলত মরু অঞ্চলে বাস করে এবং পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক মাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা আমাদের কৌতূহল জাগালেও, এ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ও ভুল ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সঠিক তথ্য ও সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এই প্রাণীকে রক্ষা করতে পারি এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে।
১৬ ঘণ্টা আগে
সোমবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, নির্বাসনে থাকা হাসিনার রায় ভারত ‘নজরে নিয়েছে’ এবং ‘বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়
১৭ ঘণ্টা আগে
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন
১৭ ঘণ্টা আগে